বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, এতোদিন যারা অত্যাচার করেছে, যতই আমরা সংস্কারের কথা বলি না কেন, তাদের কি মাফ করা যাবে? বাংলার মানুষ তাদের মাফ করবে না। জনতার আদালতে সেইসব জুলুমকারীদের বিচার করা হবে।
নওগাঁ জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার দুপুরে শহরের পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আজকে যারা আমার কর্মীদের অত্যাচার করেছে, যারা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়েছে, আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের কোনো মাফ হবে না। তাদের বিচার জনতার আদালতে আমরা করতে চাই। কেউ ছাড় পাবে না।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা জনতার সাথে থাকুন। এ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের জনগণ আর এই অবৈধ সরকারকে চায় না। আপনারা দয়া করে আর এই অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। গত ১৫ বছরে যে সমস্ত পুলিশ সদস্যদের সততার সাথে কাজ করার জন্য এবং আওয়ামী লীগ না করার জন্য চাকরি চলে গেছে, তাদের চাকরি ফেরত দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণসহ যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, জনগণের মতামত নিয়েই বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এতে দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। পর পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এস এই সরকার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গকে কলুষিত করেছে, বিতর্কিত করে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য বিএনপি ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই