সৈনিকলীগ মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক নিলুফার ইয়াসমিন রূপাকে গার্ল গাইডস গার্ড অব অনার দিয়েছে কোন যুক্তিতে? এ প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ বেসরকারি কাউকে গার্ড অব অনার দেওয়া যায় না।
জানা গেছে, কম্বলের বিনিময়ে রূপাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় বুধবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির প্রাঙ্গণে।
গার্ল গাইডসের সদস্যদের কম্বল নেওয়ার জন্য আসতে বলা হয়। তারা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে রূপাকে গার্ড অব অনার দিতে বলা হয়। গার্ড অব অনার দেওয়ার পর রূপা প্রত্যেককে একটি করে মোট ২৫ জনকে কম্বল দেন।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহাবুব বলেন, তিনি একজন বিতর্কিত নারী। তিনি দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এ রকম অভিযোগ উঠেছে।
মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি স্কুল ছুটির পর গার্ল গাইডসের উদ্যোগে হয়েছে। কম্বল দেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ কম্বল দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি।
মেহেরপুর স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, যাকে তাকে গার্ড অব অনার দিলে তা হয় রাষ্ট্রের অবমাননা। যারা এটা করেছে তারা আমাদের গার্ল গাইডসের কেউ নয়। তাদের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিল, গার্ল গাইডসের নয়।
মেহেরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি কাউকে গার্ড অব অনার প্রদান করার বিধান নেই। তারপরও যাকে নিয়ে বিতর্ক আছে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি আমি অধ্যক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
রূপা বলেন, গার্ড অব অনার নয়। ওরা প্যারেড করতে করতে আমায় অনুষ্ঠানে নিয়ে সালাম দিয়েছে। আমি ভালো কাজ করছি সমস্যা কী? তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিলেন? প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল