প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বরিশালের রহমতপুর কৃষি কলেজের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী কেয়া আক্তার রত্না (২০)। শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কলেজের ছাত্রী নিবাসের ৩০৪ নম্বর কক্ষে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এ ঘটনায় প্রেমিক ও সহপাঠী অন্তর আলীকে নগরীর বিমান বন্দর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
কেয়া আক্তার রত্মা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছোট ডাকুয়া গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে। প্রেমিক অন্তর আলী গাজীপুর সদরের হাতিয়া গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে।
কৃষি কলেজের ছাত্রী নিবাস তত্ত্বাবধায়ক যুথিকা পাল জানান, শনিবার রাত তিনটার দিকে ছাত্রী নিবাসের অন্যান্য ছাত্রীরা মুঠোফোনে রত্নার আত্মহত্যার বিষয়টি তাকে জানায়। ছাত্রী নিবাসে গিয়ে পুলিশ খবর দেন। পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। রবিবার সকাল ৮টার পুলিশ তার লাশ মর্গে প্রেরন করে।
যুথিকা পাল আরও জানান, অন্তর আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রায়ই ঝগড়া হতো রত্নার। তার ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে রুমমেট পাশের রুমে গিয়ে থাকত। আত্মহত্যার রাতে রত্না তার কক্ষে একা ছিলো।
বিমান বন্দর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, রত্নার আত্মহননে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে তার বাবা বশির মিয়া প্রেমিক অন্তর আলীকে আসামী করে মামলা করেন রবিবার। ওই মামলায় অন্তরকে গ্রেফতার কওে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। আত্মহত্যার আগের ভিডিও কলসহ রতœার মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম