আজ শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝাল মিষ্টি টক নোনতা স্বাদ নানা রুপ রঙের হাজার রকমের পিঠা নিয়ে শেরপুর নাসিং ইনিস্টিটিউট এ খাদ্য মেলা উপলক্ষে জমজমাট পিঠা উৎসব বসে ছিল নাসিং ক্যাম্পাসে। এর আয়োজন করেছিলেন নাসিং এ অধ্যায়নরত তিন শতাধিক নারী শিক্ষার্থী। পিঠার স্বাধ নিতে এসে ছিলেন জেলা হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ জসিম উদ্দিন,বিএমএ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ডাঃএম এ বারি তোতা, ডাঃ নাদিম হাসান, স্বাচিপ সাঃ সম্পাদক ডাঃ মামুন জোস,অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম, ডাক্তারবৃন্দসহ হাসপাতাল প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।সভাপতিত্ব করেন নাসিং ইনিস্টিটিউট এর ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ গোলাম রব্বানী।
সূত্র জানায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা অসংখ্য পিঠার ষ্টল নিয়ে বসেছিলেন। তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দুইরাত দুই দিন পরিশ্রম করে এই হাজার রকমরে পিঠা প্রদর্শন করে। উৎসব নানা রঙের পিঠা ও মুহুমুহু পিঠার গন্ধ আগন্তকদের তৃপ্তি দিয়েছে। উৎসবে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহি ও নতুন প্রজন্মের নানান প্রকারের পিঠা উৎসবকে আকর্ষনীয় করে তোলে। দেশীয় পাটিসাপ্টা, সংসারী, পোয়া, দুধ-চিতই ও চিথই পিঠার পাশাপাশি হৃদয় হরণ, মন কারা, কুমারী পিঠা, বৌ-পিঠা, কেয়া, মাধবীলতা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ক্যামেলীয়া, হাসনাহেনা, অপরাজিতা, দুধ চিতই, সাগুর লস্করা, নয়নতারা, ডালের বরফি, হেয়ালি পিঠা,পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, তালের পিঠা, মাছ পিঠা, মালপোয়া, ঝালপোয়া, সুজি পিঠা, মাংসের সমুচা,ডিম পিঠা, মুগ পাকান, পুডিং, পায়েস, উঠেছিল বেশ। হাজার রকমের পিঠা তৈরিতে শিক্ষার্থীরা পরিবারেব মুরুব্বি,গুগুল ও ইউটিউবের সহযোগীতা নিয়েছেন। উৎসবে আরও শোভা পেয়েছিল নানান প্রকৃতির পুষ্ঠিকর খাবার। তবে পিঠা উৎসবে পিঠা কেনা বেঁচার কোন বিষয় ছিল না। শিক্ষার্থীদের নিজ অর্থায়নে পুষ্টি এবং খাদ্য তালিকাগত একটি ব্যবহারিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এত বড় আয়োজন করা হয়। আয়োজনের পিঠা শিক্ষার্থীরা খেয়েছে ও আগত অতিথিদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
উৎসবের প্রধান অতিথি ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যজুড়ে থাকা পিঠা পুলি হারিয়ে যেতে বসেছে। পরীক্ষার সাথে এই আয়োজন সবার ভাল লেগেছে। আগামি থেকে আরও জমজমাট করে এই উৎসব পালন কার হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ