রংপুরে এবার আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হলেও প্রকৃতির রুক্ষভাব কমেনি। পুরো মাসজুড়েই ছিল কাঠফাটা রোদ। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে দেখা গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৪৯৭ মিলিমিটার। মাসের ৩১ দিনের মধ্যে ২২ দিনই বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রথম বৃষ্টি শুরু হয়েছে ২ আগস্ট। ওইদিন বৃষ্টি হয়েছে ২ দশমিক ৬ মিলিমিটার, ৩ আগস্ট ১ দশমিক ৪ মিলিমিটার, ৪ তারিখে ২ মিলিমিটার, ৫ তারিখে ৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার, ৬ তারিখে ৭ মিলিমিটার, ৮ তারিখে ৭৮ দশমিমক ৪ মিলিমিটার, ৯ তারিখে ২৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার, ১০ তারিখে ৯ মিলিমিটার, ১২ তারিখে ৮২ দশমিক ২ মিলিমিটার, ১৩ তারিখে ৩৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার, ১৪ তারিখে ১০ দশমিক ৬ মিলিমিটার, ১৭ তারিখে ৬ মিলিমিটার, ১৮ তারিখে শূন্য ২ মিলিমিটার, ১৯ তারিখে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার, ২২ তারিখে শূন্য দশমিক ২ মিলিমিটার, ২৩ তারিখে ৫ দশমিক ১ মিলিমিটার, ২৫ তারিখে ১০ দশমিক ২ মিলিমিটার, ২৬ তারিখে ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার, ২৭ তারিখে ১০৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট ১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জুলাই মাসে স্বাভাবিকের অর্ধেকও বৃষ্টিপাত হয়নি। এপ্রিল ও মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে মাত্র ৩ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রকৃতিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। কৃষি সেক্টরে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। প্রকৃতি হয়ে উঠেছে রুক্ষ। গত বছরের এ সময় রংপুরে ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এবার ৩৭/৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা উঠেছিল।
পুরো আগস্ট মাস জুড়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচণ্ড রোদে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। গরম-ঠাণ্ডা দুই ধরনের আবহওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে রোগ বালাইও বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, আগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত