বিয়ে বাড়িতে বর ও বরযাত্রীদের খানাপিনায় ব্যস্ত কনে বাড়ির লোকজন। তবে কনে (১৪) অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এমন সময় আকস্মিকভাবে গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান বর ও অন্যান্যরা। তবে বরের দুলাভাইকে আটকের পর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিয়ের আসরটি পণ্ড করে নেওয়া হয় মুচলেকা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আদালতকে সহযোগিতা করেন কুমারখালী থানা পুলিশ। জরিমানা দেন বরের দুলাভাই মো. ওবাইদুল ইসলাম (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো. সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে আদালতের ভুয়া কাগজপত্রাদি তৈরি করে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের চরবানিয়াপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. বিপ্লবের (২১) সাথে জাহেদপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর কথিত বাল্যবিয়ে হয়। যা দেশের আইনে অবৈধ। শুক্রবার বরযাত্রী নিয়ে বরপক্ষ কথিত বিয়ের কনে নিতে এসেছিল। সেসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযান টের পেয়ে বর ও অন্যান্য অতিথিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিয়ের আসর পণ্ড করে এমন অবৈধ কাজে সহযোগীতার করার অপরাধে বরের দুলাভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বাল্য বিয়ে দিবেনা- এই মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, ভুয়া কাগজপত্রাদি তৈরি করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অনুষ্ঠান করে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও বিয়ের আসর পণ্ড করা হয়েছে। অবৈধভাবে কাজে সহযোগিতার জন্য একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ