রংপুর সিটি করপোরেশন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাবেক ১৫টি ওয়ার্ড মূল নগরীতে। বাকি ১৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকাই গ্রাম এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ।সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকাগুলোতে ঝোপঝাড় ও পুকুর নালা বেশি হওয়ায় সেখানে সাপ নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজে পেয়েছে। ওই সব এলাকায় সাপের উপদ্রবে মানুষজন আতঙ্কিত। সাপের ভয়ে অনেকেই রাতে চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি নগরীর ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডে বিষধর সাপের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে দুইজনকে সাপ ছোঁবল দিয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে আরাজি তামপাট এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র মামুন (২৪) সাপের ছোবলে মারা যান। এর পরে বড় রংপুর এলাকার গফুর মিয়ার স্ত্রী পেয়ারি বেগমকে সাপ ছোবল দেয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন। গত বুধবার বড় রংপুর এলাকার আকবর আলীর বাড়িতে একটি সাপ দেখা গেছে। পরে স্থানীয়রা ওই সাপটি মেরে ফেলে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বড় রংপুর এলাকার মোশারফ হোসেন রাজুর বাড়িতে দুটি সাপের আনাগোনা দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা সাপ দুটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন রাজু বলেন, ৩২ নং ওয়ার্ডের যত্রতত্র সাপ দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসী সন্ধ্যার পরে সাপের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি সাপ নিধনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ