ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে কবুতর বিক্রির অস্থায়ী বাজার। প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে কবুতর বেচাকেনা। কবুতর বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট বাজার না থাকলেও এখানে কয়েক লক্ষ টাকার কবুতর বেচাকেনা হয়।
আজ সরেজমিনে দেখা যায় রাস্তার পাশেই বিভিন্ন জাতের কবুতর বেচাকেনা হচ্ছে। জাত ভেদে এক জোড়া কবুতর বিক্রি হচ্ছে চারশ’ থেকে দুই হাজার টাকা। বিক্রেতারা জানান বর্তমানে কবুতরের দাম কম। কারণ হিসেবে তারা জানান, হঠাৎ খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কবুতর বেচাকেনায় ধস নেমেছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের শহিদ উদ্দিন (৪৫) জানান, তিনি প্রায় আঠার বছর ধরে কবুতর পালন করেন। আগে কবুতরে প্রচুর লাভ হতো, বর্তমানে লাভ হচ্ছে না। খাদ্যের প্রচুর দাম। এক কেজি সরিষার দাম একশত টাকা। তাছাড়া ভুট্টা,কলাই, ডাবড়ি, কাউনসহ অন্যান্য খাবারের দামও অনেক। আগে কবুতর বাইরে থেকে খেয়ে আসতো। বর্তমানে কবুতরকে প্রচুর খাবার দিতে হয়। কবুতর পালন একটি নেশা। তাই লাভ না হলেও কবুতর পালন করেন তিনি। গোলড়া এলাকার আব্দুল আওয়াল বলেন, এ অস্থায়ী বাজারে দেশি গোল্লা, সিরাজি, গিরিবাজ, মুখি, রেসারসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর বেচাকেনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, খরগোস, উন্নত জাতের মুরগি বিক্রী হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কবুতর বেচার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজার থাকা দরকার। রাস্তার পারে এভাবে একটি বাজার চলতে পারে না। শহরে সবজির বাজার, মাছ বাজার, দুধ বাজারসহ সকল পণ্যের বাজার রয়েছে। শুধু কবুতর বিক্রির বাজার নেই। তার পরেও প্রতি শুক্রবার কয়েক লক্ষ টাকার কবুতর বেচা কেনা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারি ও কবুতর পালনকারীরা এখানে আসেন। কোন শেড না থাকায় তারা রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট করেন। এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ রমজান আলী বলেন, কবুতর বিক্রির জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল