শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরে এখন মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরী শেষে সাজসজ্জায় ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা। দিন রাত মণ্ডপগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
এদিকে, পূজার আমেজ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বেড়েছে কেনাকাটা। শহরের বিভিন্ন শপিং মলগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
শনিবার শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। তৈরী হচ্ছে গেট, মণ্ডপ আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। এবার দিনাজপুর জেলায় মণ্ডপ সংখ্যা ১২৯৪টি।প্রতিমা তৈরির কারিগর কার্তিক এবং রতন কুমার বলেন, কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের আর আগের মত লাভ হয় না। তারপরও করতে হয়। দুই একদিনেই তৈরি করা দুর্গার প্রতিমাগুলোর রং ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হবে। আর প্রতিমা তৈরীর মজুরি প্রতিমা সাইজ ও ধরণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। প্রতিমার আকার ও শৈল্পিক গঠন অনুযায়ী প্রতিমা শিল্পীরা ১০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
দিনাজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু জানান, এ বছর জেলায় ১২৯৪টি মণ্ডপে আয়োজন করা হচ্ছে শারদীয় এই দুর্গোৎসব। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মাটির কাজ শেষ করার পর রঙ-তুলির আঁচরে বর্ণিলভাবে প্রতিমার রূপ দেওয়া হচ্ছে। নিজের সন্তানের মতো অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। প্রতিমা গড়া শেষ হলে রঙতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে অবয়ব। ফুটিয়ে তোলা হবে নাক-চোখ-মুখ। হৃদয়ের ভালোবাসায় চলছে প্রতিমা তৈরির এ কাজ।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর বোধন শেষে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা এবং আগামী ২৪ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল