২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০৪

ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন জামাল হোসেন মিয়া

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন জামাল হোসেন মিয়া

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. জামাল হোসেন মিয়া। 

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়ি নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী চেয়ারম্যান বাড়িতে হাজারও নেতা-কর্মীদের অনুরোধে এ ঘোষণা দেন জামাল হোসেন মিয়া।

জামাল হোসেন মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ায় নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারও মানুষ জামাল হোসেন মিয়াকে সমর্থন দিতে তার সাথে দেখা করেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার কথা জানান।

সালথা ও নগরকান্দার আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, জামাল হোসেন মিয়া এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে রয়েছেন। দলের দুঃসময়ে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন। তাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা জামাল হোসেন মিয়াকে বিজয়ী করতে একসাথে কাজ করব। 

ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ইতোমধ্যে জানান দিয়েছেন জামাল হোসেন মিয়া। যে কারণে জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।        

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের জনগণের উদ্দেশ্যে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি কয়েকবার বিপুল ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবায় কাজ করেছেন। বর্তমানে আমার ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। বাবা-মা ও ভাইয়ের মতো আমিও নিজেকে ফরিদপুর-২ আসনের জনগণের সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। তাই নেতা-কর্মী ও জনগণের দাবির মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছি।  

তিনি আরও বলেন, আশা করি নগরকান্দা-সালথার জনগণ কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে আমার নির্বাচন করবে। আমি নির্বাচিত হলে নগরকান্দা-সালথার অবহেলিত, নির্যাতিত ও ভাগ্যহারা মানুষের পাশে থাকব- ইনশাআল্লাহ।

প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তালমা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হরিপদ চন্দ্র দাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আল আমিন প্রমুখ। এছাড়াও নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর