গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নানির বিরুদ্ধে নাতনি আফিফা খানমকে (৭) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আফিফা খানম কেটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের আসলাম শিকদারের মেয়ে ও ২৭ নং বান্ধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
আফিফা খানম বান্ধাবাড়ি গ্রামে তার নানি লাকি বেগমের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো বলে জানিয়েছেন তার পিতা আসলাম শিকদার।
তিনি বলেন, ১০ বছর আগে আমি বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত আক্তার খানের মেয়ে খাদিজা বেগমকে বিয়ে করি। বিয়ের পর সে প্রায়ই বাবার বাড়ি থাকতো। এরই মাঝে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়। আমার কন্যা সন্তানটির বয়স যখন ৫বছর তখন আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম বিভিন্নজনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২ বছর আগে আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম আমাকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। এরপর আমার কন্যা আফিফা খানম তার নানি লাকি বেগমের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। আমি প্রতিনিয়ত আমার কন্যার খোঁজখবর নিতাম ও লেখাপড়ার খরচ দিতাম।
আসলাম শিকদারের বড় ভাই শিক্ষক লিটন শিকদার বলেন, আমরা প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, আফিফা মারা গেছে। এখানে আসার পর আমার মাওই (আসলামের শাশুড়ি) লাকি বেগম আমাদের বলেন যে, গত রাতে আফিফাকে ভুতে মেরে ফেলেছে। আমাদের ধারনা, আমার ভাতিজি আফিফাকে তার নানি গলা টিপে হত্যা করেছে। আফিফার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্ত লাকি বেগম বলেন, গত রাতে বাথরুমে গিয়ে আফিফা চিৎকার দেয়। আমি দরজা খুলে আফিফাকে ঘরে নিয়ে আসি। ঘরে এনে আফিফায় গলায় দাগ দেখতে পাই। এরপর আফিফাকে নিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আফিফাকে মরা দেখতে পাই। আমার ধারণা আফিফাকে ভুতে মেরে ফেলেছে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, আফিফা খানমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল