ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে অন্তত আটজন। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের নদীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত আটজনের মধ্যে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলসহ তিনজনকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি যশোর সদর হাসপাতালে রাতে মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, নদীপাড়া এলাকার দোকানদার দেলোয়ার হোসেন পুরাতন লোহার জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করেন। বিকেলে এলাকার এক শিশু ওই দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করছিল। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সজীব ওই শিশুকে ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর মাগরিবের নামাজ পড়ে ফেরার পথে সজিব হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। পরে এ বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই দোকানে যায় পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল। সেখানেও বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ফেলে রাখা দুটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই