রাজবাড়ীতে ‘মাস্তানি চাঁদা’ বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকরা। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার পান্না চত্ত্বর এলাকায় সহস্রাধিক চালক অবস্থান নেয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে পৌঁছায়। সেখানে সামাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্তত ১০ জন চালক বক্তব্য রাখেন।
চালকরা বলেন, রাজবাড়ী চাঁদাবাজির শহরে পরিণত হয়েছে। জেলায় প্রায় ৩ হাজার ইজিবাইক রয়েছে। পৌরসভার ইজারা প্রদানের নামে প্রতিদিন ইজিবাইক থেকে ৩৫ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এই টাকা পরিশোধের পাশাপাশি মুরগীর ফার্ম থেকে আরও ১০ টাকা দিতে হয়। এই টাকার কোনো রশিদ প্রদান করা হয় না। এই ১০ টাকা ‘মাস্তানি চাঁদা’। টাকা না দিলে চালকদের মারধর করা হয়। ১০ টাকা কিসের জন্য জানতে চাইলে উত্তোলনকারীরা বলেন এটা ‘মাস্তানি চাঁদা’।
এছাড়া ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকদের পুলিশ হয়রানি করে। সারারাত পুলিশ ইজিবাইক নিয়ে ডিউটি করে। টাকা তো দূরের কথা রাতে একবার খাবার পর্যন্ত দেয় না পুলিশ। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশও চালকদের হয়রানি করে। অনেকের কাছ থেকে চাঁদা নেয় পুলিশ। টাকা না দিলে মামলা দেয় বলে দাবি চালকদের।
শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠের সমাবেশ শেষে চালকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের কয়েকজন প্রতিনিধি চালকদের জেলা প্রশাসকের কক্ষে আমন্ত্রণ জানান। শ্রমিকদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও শ্রমিক নেতা শাহ আলম।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, আমরা চালকদের দাবিগুলো শুনেছি। নতুন করে সমন্বয় করা ছাড়া ইজারার টাকা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। মাস্তানি চাঁদা বন্ধ করার জন্য পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
পৌরসভার ইজিবাইক থেকে ইজারা উত্তোলনকারী মো. টুটুল মিয়া বলেন, আমি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে পৌর পার্কিং নিয়েছি। আমরা প্রায় ৫০ জন অংশিদার এখানে রয়েছে। আমরা বৈধ প্রক্রিয়ায় ইজারা উত্তোলন করে থাকি। আমাদের ইজারা উত্তোলন করতে না দিলে সর্বশান্ত হয়ে যাবো। আমাদের ইজারা উত্তোলন করতে না দিলে আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক সরকার।
পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্রুত সময়ে মাস্তানি চাঁদা বন্ধ হোক। সেই সাথে চালকদের দাবিগুলো যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সেগুলো অবশ্যই পৌরসভার পূরণ করা প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল