কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা তিনদিনের বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে গবাদি পশুর মালিকরা। শনিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। ওই এলাকার ধান ও সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে পড়েছে। এছাড়া পাহাড়ধ্বসের আশংকায় রয়েছে ২ হাজারের অধিক বসতি।
এদিকে চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের পাহাড়তলী এলাকায় চলাচলের সড়ক ধ্বসে পড়েছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, বরইতলী এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চুয়ারফাঁড়ি ও ঢেমুশিয়া জলমহালের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত সরে যেতে পারে এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ