সুরক্ষিত প্রজন্ম আর আলোকিত মানুষ গঠনের লক্ষে বই উৎসবে মেতেছে লক্ষ্মীপুরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) সকালে জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ২৯২টি বিদ্যালয়ে একযোগে লাইব্রেরী কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশেষ গল্প উপন্যাস ও ছড়ার নানা ধরণের বইয়ের সমাহারে এ আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ও সুরক্ষিত প্রজন্ম আর আলোকিত মানুষ গঠনের লক্ষে লক্ষ্মীপুরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৭৩২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। এসব লাইব্রেরীতে ছোটদের রুপ কথার গল্প, মজার ছড়া, উপন্যাসসহ রকমারি নানা বইসহ ১০৫ ধরণের বই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইব্রেরী উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন। জেলা প্রশাসক রাজিব কুমারের সভাপতিত্বে এতে পুলিশ সুপারসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় বই উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই; আগতরা ভিড় করেন বই নিতে। বই বুকে জড়িয়ে বাড়ি ফেরেন তারা। ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আগ্রহ নিয়ে বই পড়তেও দেখা যায়। পরে অতিথিবৃন্দ শহরের টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
এ সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যেগকে স্বাগত জানান। অনন্য সব সৃষ্টি ও মানব সভ্যতায় বইয়ের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে শিশুদের মেধা বিকাশ, বই প্রেমী করে গড়ে তোলা এবং মোবাইল আসক্তি ঠেকাতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে জানান। মজার সব বই পেয়ে শিক্ষার্থীরাও বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মানদণ্ডের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ, উদার, আধুনিক ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এ আয়োজন।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক লক্ষ্মীপুর থেকে সারাদেশে এবং বিশ্বময়—এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ