একই আকারের ছয়টি কাচের বোতল (ঢাকনা ছাড়া) নিয়ে এক সারি করে রাখো। বলতো! চামচ দিয়ে টোকা দিলে প্রতিটি বোতলের শব্দ কেমন হবে? আগে অনুমান করে, তবেই প্রতিটি বোতলে টোকা দাও।
এরপর বোতলগুলোয় পানি ঢেলে নাও। প্রথম বোতলে ১/৪ কাপ (৬০ মিলি), দ্বিতীয় বোতলে ১/২ কাপ (১২০ মিলি) পানি যোগ করো। এভাবে ১/৪ কাপ করে বাড়িয়ে তৃতীয় বোতলে ৩/৪ কাপ (১৮০ মিলি), চতুর্থ বোতলে ১ কাপ (২৪০ মিলি), পঞ্চম বোতলে ১ ১/৪ কাপ (৩০০ মিলি) এবং ষষ্ঠ বোতলে ১ ১/২ কাপ (৩৬০ মিলি) পানি ঢালো। আর হ্যাঁ! প্রতিটি বোতলে ফুড কালার দিতে ভুলে যেও না। এবার বলতো! প্রতিটি বোতলের শব্দ কেমন হবে? এগুলো কি খালি থাকা সময়ের মতোই শব্দ করবে? নাকি একে অপরের থেকে ভিন্ন শব্দ করবে? পুরো ঘটনাপ্রবাহ নোট করে রাখো।
এবার একটি ধাতব চামচ দিয়ে প্রতিটি বোতলে টোকা দাও। প্রতিটি বোতলের পিচ (শব্দের উচ্চতা বা নিম্নতা) সম্পর্কে পর্যবেক্ষণগুলো লিখে রাখো।
ধ্বনি তরঙ্গ কম্পনের মাধ্যমে তৈরি হয়। পিচ নির্ভর করে তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সির ওপর প্রতি সেকেন্ডে কতবার তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। একটি উচ্চ পিচ উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ দ্বারা তৈরি হয় এবং এটি ঝিকমিক শব্দ করতে পারে। একটি নিম্ন পিচ নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ দ্বারা তৈরি হয় এবং এটি গভীর ও গম্ভীর শোনায়। যখন তুমি বোতলে টোকা দেবে, এটি কাঁপে। কম্পনগুলো বোতল থেকে পানিতে, তারপর বাতাসে, অবশেষে তোমার কানে পৌঁছায়। যেসব বোতলে বেশি পানি ছিল, তাদের পিচ নিম্ন ছিল। ধ্বনি তরঙ্গগুলো ধীরগতিতে কাঁপছিল কারণ তাদের বেশি পানি অতিক্রম করতে হয়েছিল। যেসব বোতলে কম পানি ছিল, তাদের পিচ উচ্চ ছিল। ধ্বনি তরঙ্গগুলো দ্রুত কাঁপছিল কারণ তাদের কম পানি অতিক্রম করতে হয়েছিল। খালি বোতলটি সর্বোচ্চ পিচ তৈরি করে, কারণ সেখানে সবচেয়ে কম পদার্থ ছিল ধ্বনি তরঙ্গের জন্য।