ছুটির দিনে জমজমাট রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মাণসামগ্রী, নির্মাণপ্রণালি ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী সমাপ্ত হবে আজ শনিবার।
প্রদর্শনীসমূহে ৫০০-এর অধিক বুথসহ ২০ দেশের ১৯৫টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। নির্মাণ, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পবিষয়ক এ প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে ওয়াটার, সোলার ও লাইটিং পণ্যের সমাহার। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আইসিসিবির ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রদর্শনীসমূহ। পাশাপাশি শিল্পবিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রদর্শনীর দিনগুলোয়। বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীসমূহ উদ্বোধন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। ‘বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন’ এবং ‘পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন’সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলো হলো ২৯তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৪, ২৩তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৪, ষষ্ঠ ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪, ২৬তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৪, ২১তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৪ এবং ষষ্ঠ ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৪।
দর্শনার্থীরা মনে করছেন, বহুমাত্রিক শিল্প ক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এমন প্রদর্শনী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। একাধারে নির্মাণ, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া এসকিউব টেকনোলজিস লিমিটেডের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর আসাদুল্লাহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে লিডিং সোলার এনার্জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত আমরা ২১৩টি প্রজেক্টের মধ্যে ১৫৩টি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা ২৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। গতকাল ছুটির দিনে অনেক মানুষের সমাগম হচ্ছে। আশা করি আজ শেষ দিনেও ব্যাপক দর্শনার্থী আসবেন।’
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বহুমাত্রিক প্রদর্শনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিল্প ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি বি টু বি সংযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করছে, যা ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের রাজধানী ঢাকায় একই ছাদের নিচে একত্র হয়ে পণ্য প্রদর্শন এবং একে অন্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ওয়ানস্টপ প্ল্যাটফরম তৈরি করেছে। বাংলাদেশের নির্মাণশিল্প বাজারের আকার ২০২৮ সালে ৪১.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে, যা ২০২৩ সালেও ছিল ৩০.৩৮ বিলিয়ন ডলার। কাজেই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে নির্মাণ খাত একটি বড় চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচ্য। সুতরাং প্রদর্শনীগুলো সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি টু বি যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্যের প্রসারে এক ছাদের নিচে নানা রকম সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধান প্রদানের লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে।