বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হুমকির মুখে ফেরি চলাচল

সংকট কাটাতে উদ্যোগ নিন

একদিকে ফেরি সংকট অন্যদিকে ফেরিঘাট পন্টুুন সমস্যায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপারে বিঘ্ন ঘটছে। নদীর উভয় পাড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট। ঈদুল আজহার প্রাক্কালে যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় জনমনে উৎকণ্ঠারও সৃষ্টি হয়েছে। দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাটের মধ্যে নদীভাঙনে দুটি এমনিতেই বন্ধ। দুই ও চার নম্বর ঘাট চালু থাকলেও দুই নম্বর ঘাটে তীব্র স্রোতের কারণে দু-একটি বড় ফেরি ছাড়া অন্য কোনো ফেরি ভিড়তে পারছে না। চার নম্বর ঘাট পূর্ণাঙ্গভাবে চালু থাকলেও বাড়তি চাপে ঘাট এলাকায় ফেরি জট লেগে আছে। এ ঘাটেরও অ্যাপ্রোচ সড়কের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু থাকা এ ঘাটটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘাট সমস্যার কারণে উভয়পাড়ে গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা নাগাদ প্রায় দেড় হাজার যানবাহন আটকে পড়ে। এর মধ্যে তিন শতাধিক যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে। নদী পার হতে এসব কোচকে ফেরির জন্য ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। আটকে থাকা পণ্যবাহী যানবাহনগুলোর মধ্যে পিয়াজ, সবজিসহ কোরবানির গরুবোঝাই শতাধিক ট্রাকও রয়েছে। অন্যদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ও দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। দৌলতদিয়ার চারটি ঘাটের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক নম্বর ঘাটটি ভাঙনের কারণে বন্ধ। দুই নম্বর ঘাটের দুটি র‌্যামের মধ্যে একটি বন্ধ। তিন নম্বর ঘাটটি বার বার ভাঙনের শিকার হচ্ছে। সবেধন নীলমনি চার নম্বর ফেরি ঘাটটি চালু থাকলেও এ ঘাটের অ্যাপ্রোচ রোড ভাঙনের শিকার হলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপারে আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে। পদ্মা নদীতে আগস্টে এমনিতেই স্রোত বেশি থাকে। এ বছর স্রোতের পাশাপাশি নদীভাঙনের থাবা সব কিছু তছনছ করে দিচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ অনেকাংশে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচলের ওপর নির্ভরশীল। ঈদের প্রাক্কালে যানবাহন পারাপারে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে যাত্রীরা। পণ্য পরিবহনও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে যাত্রাপথে মাত্রাতিরিক্ত বেশি সময় নেওয়ার কারণে। ঈদের আগে পরিস্থিতি যাতে ভয়াবহ হয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবেন এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর