শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ আপডেট:

আওয়ামী লীগ— রাজনীতির চার অধ্যায়

আবদুল গাফ্‌ফর চৌধুরী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ— রাজনীতির চার অধ্যায়

আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল। চলবে দুই দিন। এই দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশকে আওয়ামী লীগের কাঠামো ও নেতৃত্ব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু নীতি কি পরিবর্তিত হয়েছে? দলটির চরিত্র পাল্টেছে, কিন্তু নীতি তেমন পাল্টায়নি। এক পা এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুপা পিছিয়ে যাওয়ার যে লেনিনীয় কৌশলের কথা জানা যায়, আওয়ামী লীগ সেই কৌশল বহুবার গ্রহণ করেছে। মৌলিক নীতি থেকে একেবারে পিছিয়ে যেতে পারেনি। এই নীতিটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।

এই নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী থেকে শেখ  হাসিনা— এই জন্মকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ খুব একটা পেছনে সরতে পেরেছে তা মনে হয় না। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যখন একটি সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জন্ম নেয়, তখন যেমন সে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তেমনি ভাসানী-মুজিব নেতৃত্বে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে অসাম্প্রদায়িক দল হওয়ার পর প্রকাশ্যেই সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সুতরাং ৬৭ বছরের জীবনে আওয়ামী লীগ একাধিকবার চরিত্র পাল্টেছে; নীতি পাল্টায়নি বলা চলে।

মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা— এই চার নেতাকেই আওয়ামী লীগের ৬৭ বছরের জীবনে বিভিন্ন সময়ের প্রধান নেতা বলা চলে। এই চার নেতার সময়ের আওয়ামী লীগে অবশ্যই চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু তা বাংলাদেশের কৃষিজীবী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসমাজের চরিত্র পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বিত। এ জন্যই আওয়ামী লীগকে বলা চলে বাংলাদেশের জন-চরিত্রের পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে পরিবর্তনশীল চরিত্রের একটি রাজনৈতিক দল। সে বাঙালি চরিত্রের ভালো ও মন্দ দুদিকেরই প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই বাঙালির কৃষিজীবী চরিত্র থেকে বর্তমানের পাতিবুর্জোয়া চরিত্রে উত্তরণেরও সব বৈশিষ্ট্য বহন করে। এদিক থেকে বাঙালি, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অভিন্ন। বাঙালিত্বের ভালো-মন্দ সর্বদিক মিলিয়ে আওয়ামী লীগ। এমন বৈশিষ্ট্য আর কোনো দেশে আর কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে হয়তো বিরল। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বের আমলেই আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতার চরিত্র বর্জন করে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মুসলমানরাও ততদিনে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের চরিত্র সম্পর্কে মোহমুক্ত হয়ে সেক্যুলার (বাঙালি) জাতীয়তাবাদী চরিত্রের দিকে ঝুঁকছে। ইতিমধ্যেই ভাষা আন্দোলন হয়ে গেছে। স্বতন্ত্র নির্বাচনের বদলে যুক্ত নির্বাচন প্রবর্তনের দাবি উঠেছে। দাবি উঠেছে ভাষা ও স্বাধিকারভিত্তিক স্বায়ত্তশাসিত পূর্ব পাকিস্তান গঠনের। শিল্পে বাণিজ্যে ব্যবসায়ে বঞ্চনার শিকার হওয়া সত্ত্বেও একটি নগরভিত্তিক শিক্ষিত নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি তখন গড়ে উঠছে যাদের সমাজ-চেতনা আধুনিক।

আওয়ামী লীগে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বের সময় দলটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসা সত্ত্বেও সেটা ছিল তার দুপা পিছিয়ে যাওয়ার যুগ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও ছিলেন উনিশ শতকের ব্রিটিশ উদারনৈতিক রাজনীতির অনুসারী। তিনি সংগ্রামে নয়, আপসে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক (পেছনে সামরিক বাহিনী) অবাঙালি শাসকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন ভেবেছিলেন। তিনি তাতে সফল হননি। তার সঙ্গে পাকিস্তানের অবাঙালি সামরিক শাসক চক্র বিশ্বাসঘাতকতা করে। ভগ্ন মনোরথ শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিদেশে (বৈরুতে) মৃত্যুবরণ করেন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বের আমলে আওয়ামী লীগের ভালোর দিকটি ছিল দলটি পলিটিক্যাল পার্টি থেকে পলিটিক্যাল প্লাটফরমে পরিণত হয়। দলে ডান, বাম, সেক্যুলারিস্ট, নন সেক্যুলারিস্ট সব রকমের মানুষ জমায়েত হয়। এ অবস্থাটি ঘটেছিল অবিভক্ত ভারতে নিখিল ভারত কংগ্রেসের বেলায়। কংগ্রেস ঘোষিতভাবেই জাতীয় রাজনীতির একটি প্লাটফরমে পরিণত হয়। তাতে কম্যুনিস্ট, সোশ্যালিস্ট এবং অন্যান্য ডান-বাম দলও কংগ্রেসের এফিলিয়েটেড পার্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কংগ্রেসকে তাই বলা হতো ন্যাশনাল গ্রান্ড অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় মহাসভা। এই মহাসভাতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগও এক সময় যুক্ত ছিল এবং কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের যুক্ত অধিবেশনও হয়েছে।

ভারতের মুসলমানদের দাবি-দাওয়ার প্রশ্নে মুসলিম লীগ অনেক আগেই কংগ্রেসের প্লাটফরম ত্যাগ করে। তাতে রয়ে গিয়েছিল কম্যুনিস্ট, সোশ্যালিস্ট, ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, গাফ্ফার খানের খোদাই খিদমতগার পার্টি, খাকসার, আহবার ইত্যাদি ডান ও বামের অসংখ্য দল। এ অবস্থা দেশভাগের দুবছর আগে পর্যন্ত (১৯৪৫) বহাল ছিল। কিন্তু ১৯৪২ সালে অবিভক্ত কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের আগস্ট আন্দোলনের বিরোধিতা করায় কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃৃত হয় এবং ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জয় প্রকাশ নারায়ণের সোশ্যালিস্ট দলসহ সব দলই কংগ্রেসের পক্ষপুট ত্যাগ করে। কংগ্রেস তখন স্বাধীন ভারতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। জওয়াহের লাল নেহরু ঘোষণা করেন, এখন থেকে কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক পার্টি, রাজনৈতিক প্লাটফরম নয়।

 

বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের জন্ম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর। তার আগে নয়। আর আওয়ামী লীগ কখনো ভারতের কংগ্রেসের মতো নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পলিটিক্যাল প্লাটফরম হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। তা সত্ত্বেও অবস্থাদৃষ্টে আওয়ামী লীগকে প্রথম দিকে অঘোষিতভাবে একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম হয়ে উঠতে হয়েছিল। কম্যুনিস্ট পার্টি (অবিভক্ত) নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার এক বিরাটসংখ্যক কম্যুনিস্ট নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেন। ছোট ছোট আরও অনেক ডান ও বাম দলের নেতা-কর্মীও আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সাম্প্রদায়িকমনা লোকেরাও যে ঢোকেনি তা নয়। তবে মওলানা ভাসানী বামদের দিকে থাকায় আওয়ামী লীগে বাম অংশই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

১৯৫৭ সাল আওয়ামী লীগের জন্য একটি ক্রান্তিলগ্নের বছর। শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে দলের ডানপন্থিদের এবং মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে বামপন্থিদের মধ্যে প্রত্যক্ষ শক্তি পরীক্ষা হয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে দলের ভাসানীপন্থি তথা লেফট গ্রুপ শক্তি পরীক্ষায় পরাজিত হয়। তারা দলত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে নতুন দল গঠনের উদ্যোগ নেন। এ সময়ও আওয়ামী লীগের চরিত্রে বাক পরিবর্তনের একটা বড় উদাহরণ দেখা যায়। বামপন্থিদের জোটবদ্ধভাবে দলত্যাগের ফলে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে আপসবাদী ডানপন্থিদের হাতে চলে যাবে এই আশঙ্কা দেখা দেয়। পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের সামরিক জান্তা তার সুযোগ গ্রহণ করে। দেশে সামরিক শাসন প্রবর্তিত হয়। আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ দুই দলের নেতাদেরই জেলে নিক্ষেপ করা হয়। বস্তুত, এই ক্রান্তিকালেই আওয়ামী লীগে মুজিব-নেতৃত্বের প্রকৃত অভ্যুদয়। কেউ কেউ বলেন, তখন মওলানা ভাসানীর সঙ্গে শেখ মুজিবও আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাপে যোগ না দেওয়ায় দেশের ক্ষতি হয়েছে। এ অভিযোগটি সঠিক নয়। পরবর্তীকালে ইতিহাস প্রমাণ করেছে, দলের এবং দেশের সেই ক্রাইসিস মুহূর্তে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ ছেড়ে না গিয়ে বিরাট রাজনৈতিক বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন, তিনি দল ছেড়ে ন্যাপে যোগ দিলে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ডানপন্থিদের কব্জায় গিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর সামরিক শাসক ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা বহুল ব্যবহূত হয়ে মুসলিম লীগের দশাপ্রাপ্ত হতো। তিনি নিজেও কম্যুনিস্টদের দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত ন্যাপের অতি বাম তত্ত্বকথার রাজনীতিতে বন্দী হয়ে ওলি আহাদ, মোহাম্মদ তোহা প্রমুখ তখনকার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় তরুণ নেতাদের ট্র্যাজিক পরিণতি বরণ করতেন।

শেখ মুজিব তা হতে দেননি, তার রাজনৈতিক প্রাগমেটিজম তাকে রক্ষা করেছে। তিনি আওয়ামী লীগকে সোহরাওয়ার্দী যুগের আপসবাদী রাজনীতির লেগাসি থেকে মুক্ত করে মধ্যবাম রাজনীতির সংগ্রামী ধারায় নিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বের দিকে দেশের তরুণ প্রজন্ম বিরাটভাবে আকৃষ্ট হয়। মুজিব-নেতৃত্বের ডায়নামিক্সের কাছে পরাজিত হয়ে প্রবীণ ডান নেতারা জোট বেঁধে দল থেকে বেরিয়ে যান। আওয়ামী লীগের চরিত্র-বদল ঘটে। বাংলাদেশে যে শিক্ষিত নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির ততদিনে বিপুলভাবে আবির্ভাব ঘটেছে এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোতে যারা ছিল বৈষম্যপীড়িত ও সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত, আওয়ামী লীগ তাদের লড়াকু প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।

এই লড়াকু প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ছয় দফা ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তিসনদ। এই ছয় দফা দাবি আদায়ের লড়াইয়ে নেমে শেখ মুজিব বাঙালির জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত হন। তিনি হন বঙ্গবন্ধু। বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম একটি গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক দলের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম পরিচালিত হলো। একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে জন্ম নেয় স্বাধীন সেক্যুলার বাংলাদেশ। বিস্ময়করভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সন্নিবেশ করা হয়, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র এ চারটি রাষ্ট্রীয় মূল আদর্শ। তা হলে ক্রমশ কৃষিভিত্তিক চরিত্র থেকে আধা পুঁজিবাদী চরিত্রে উঠে আসা সুবিধাবঞ্চিত বাঙালি নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি কি স্বাধীন বাংলাদেশে হঠাৎ সুবিধাভোগী শ্রেণিতে উত্তরিত হওয়ার পরও আগের লড়াকু চরিত্রে অবস্থান করার প্রবণতা দেখাচ্ছিল?

না, তারা তা দেখায়নি। আর এখানেই ছিল জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আশঙ্কা। তিনি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন, স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আস্বাদ উঠতি মধ্যবিত্তের সামনে প্যান্ডোলার বাক্স খুলে দিয়েছে। তারা এখন বাঙালি আদমজী, বাওয়ানি হয়ে উঠতে চায়। লুটেরা নব্যধনী হতে চায়। যদি তাদের বাধা দেওয়া না হয়, তা হলে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিময় একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হবে; তার স্বপ্নের সমাজতান্ত্রিক সোনার বাংলা হবে না। এই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যেই তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন দ্বারা আওয়ামী লীগের চরিত্র আবার সম্পূর্ণ বদলাতে চেয়েছিলেন। নব্যধনী, শহুরে সুবিধাভোগী চ্যাটারিং শ্রেণিগুলোর বদলে দলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ ও অধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছিলেন।

তিনি শোষকদের স্বার্থের পাহারাদার পশ্চিমা গণতন্ত্রের বদলে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এই শোষিতের গণতন্ত্রে কলোনিয়াল ব্যুরোক্রেসির বদলে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা, পেশাভিত্তিক বৈষম্য ও শ্রেণিভেদ (যেমন ব্যারিস্টার, উকিল, মোক্তারের মতো আইনের পেশার লোককে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণিতে বিভক্ত করে রাখা) দূর করা এবং রাষ্ট্রকে কিছুকালের জন্য তথাকথিত বহুদলীয় ব্যবস্থার বদলে সম্মিলিত একটি গণমোর্চা দ্বারা পরিচালনার প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল।

তার এই পদক্ষেপ নেওয়া সফল হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বাংলাদেশের ভিতরে প্রতিক্রিয়াশীল সামাজিক আর্থিক ধর্মীয় সংস্থাগুলো এবার বিরাটভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়। কলোনিয়াল সামরিক ও অসামরিক আমলাচক্র তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। নব্যধনী এলিট ক্লাস, সুশীল সমাজ, তাদের মিডিয়া তলে তলে এই চক্রান্তের সঙ্গে হাত মেলায়। ফলে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাকশাল— তথা আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়। জাহাজ নিমজ্জিত দেখলে ইঁদুর যেমন সবার আগে জাহাজ ছাড়ে; তেমনি বাকশালকে ক্ষমতাচ্যুত দেখে বামপন্থিরা সর্বাগ্রে বাকশাল ছেড়ে দিয়ে সামরিক শাসকদের কাছে দরখাস্তের রাজনীতিতে দীক্ষা নেন। অর্থাৎ সামরিক শাসকদের কাছে দরখাস্ত করে রাজনীতি করতে অনুমতি নিয়ে তারা আগের দল পুনর্জীবিত করেন। তাদের কেউ কেউ সামরিক শাসকদের ‘খাল কাটার বিপ্লবে’ গিয়ে অংশ নেন।

এই ভয়ঙ্কর দুঃসময় কাটিয়ে আওয়ামী লীগের আবার সহসা জেগে ওঠার কথা নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ দুঃসময় কাটিয়ে আবার জেগে উঠেছে এবং জেগে উঠেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই জেগে ওঠার রহস্যটা কী? আমি আগেই লিখেছি, বাঙালি উঠতি মধ্যবিত্তদের শ্রেণি-চরিত্র আওয়ামী লীগেও বর্তমান। এই মধ্যবিত্তের ভালো-মন্দ, সুবিধাবাদিতা, আপস, সংগ্রাম সবই আছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক চরিত্রে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একটি খুুঁটির জোরে বেঁচে গেছে। এই খুঁটিটি হলো তার জন্মসূত্রে পাওয়া সংগ্রামের নীতি। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা যখন আবার এসে এই নীতির খুঁটি জড়িয়ে ধরেছেন, তখনই আওয়ামী লীগ আবার জেগে উঠেছে।

আওয়ামী লীগ এখন আর একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম নয়, এখন একটি রাজনৈতিক পার্টি। একটি গণভিত্তিক বড় পার্টি। এই পার্টিতে ভালো-মন্দ লোক, চোর-সাধু সব রকমের নেতা-কর্মী-সমর্থক আছে। বঙ্গবন্ধুর আমলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এখন নেই। একটি চরিত্রহীন নব্যপুঁজিপতি শ্রেণি দেশে অসম্ভব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ তাদের আশ্রিত। এমনকি বুদ্ধিজীবী শ্রেণির একটা বড় অংশ আত্মবিক্রীত। বহির্বিশ্বে সমাজতন্ত্রী শিবিরটি নেই। বিশ্বপুঁজিবাদ সর্বগ্রাসী এবং সর্বত্র তার আগ্রাসী ভূমিকা। তারপরও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর ঝড়ো বাতাসের মুখে গণতন্ত্রের বাতি আগলে আছেন। আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি, স্খলন-পতন সত্ত্বেও এখনো গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমের ঘাঁটি আগলে আছেন। এটা শুধু উপমহাদেশে নয়, সারা দক্ষিণ এশিয়ায় একুশ শতকের একটি বড় ঘটনা।

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল। সামনে আরও কাউন্সিল হবে। বাঙালির জীবনধারায় আওয়ামী লীগ যেহেতু অভিন্ন প্রতিভূ ও প্রতিনিধি, সেহেতু আওয়ামী লীগের সামনে অতীতের মতো আরও হয়তো বিপর্যয় আছে, ধ্বংস নেই। বরং ধ্বংসের মুখেই আওয়ামী লীগ নতুন করে জেগে ওঠে। তার মধ্যে সংগ্রামী প্রেরণা দেখা দেয়। হাসিনা এখনো এই প্রেরণার উৎস। এখানেই তার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য। ভাসানী থেকে শেখ হাসিনা— আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৬৭ বছরের রাজনীতির চার অধ্যায়ের  প্রত্যেকটি অধ্যায়ের ভিন্ন চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু তার মৌলিক নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই নীতি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধরে রাখা। আওয়ামী লীগ তার এই নীতি এবং বাঙালিত্ব নিয়ে আরও বহুকাল বেঁচে থাকবে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।

            লেখক : লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

এই মাত্র | নগর জীবন

নির্বাচনের পর গাম্বিয়ায় পালিয়েছেন ক্যামেরুনের বিরোধী নেতা
নির্বাচনের পর গাম্বিয়ায় পালিয়েছেন ক্যামেরুনের বিরোধী নেতা

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-পশ্চিমাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, হুথি আদালতে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
ইসরায়েল-পশ্চিমাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, হুথি আদালতে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডায় শীতকালীন পিঠা উৎসব
কানাডায় শীতকালীন পিঠা উৎসব

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

আগুনে আরও একবার ঘি ঢাললেন রিয়ালের সভাপতি পেরেজ
আগুনে আরও একবার ঘি ঢাললেন রিয়ালের সভাপতি পেরেজ

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন

৪২ মিনিট আগে | পরবাস

ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন

৫৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!
বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের
প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা