জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজিতেও বাংলাদেশ নেতৃত্বদানের সক্ষমতা দেখাচ্ছে এবং এ সাফল্যকে প্রশংসার দৃষ্টিতেই দেখছে বিশ্বসমাজ। এর আগে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, শিক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সে লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে থাকার ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে এখন মডেল হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের পশ্চাত্পদ দেশগুলোকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘ যে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিয়েছিল তার সময়সীমা ছিল ২০১৫ সাল। বাংলাদেশ তার আগেই লক্ষ্যমাত্রাগুলো সফলভাবে পূরণের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এ কৃতিত্বের সুবাদে জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছে এমডিজি পদক। এ সাফল্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি অর্জনেও উন্নয়নশীল সব দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকার উৎসাহ জোগাচ্ছে। এসডিজিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা জাতিসংঘ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ তা শুরুতেই স্পর্শ করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি, সুস্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, ব্যয়সাধ্য টেকসই জ্বালানি, সবার জন্য ভালো কর্মসংস্থান, উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো, বৈষম্য হ্রাসকরণ, টেকসই শহর ও সম্প্রদায়, সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ, সমুদ্র সুরক্ষা, ভূমির সুরক্ষা ইত্যাদি লক্ষ্য অর্জনের জন্য জাতিসংঘ ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেও বাংলাদেশ এ সময়ের অনেক আগেই তা অর্জন করার কৌশল বেছে নিয়েছে। বিশেষত জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনে জাতিসংঘ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের পার্থক্য যেখানে আকাশ-পাতাল সে ক্ষেত্রে এ দূরত্ব কমিয়ে আনতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও এ চ্যালেঞ্জে হারার কোনো সুযোগ নেই। দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে ১৬ কোটি মানুষকেই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যত্নবান হতে হবে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে