শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

বিএনপির সংস্কারপন্থিদের ‘জুতা মেরে গরু দান’!

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির সংস্কারপন্থিদের ‘জুতা মেরে গরু দান’!

বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চিন্তা ও চেষ্টা করছে বলে একটা ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ১০ বছরের নানা ব্যর্থতা ঘুচিয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মনে আশা ও সম্ভাবনার আলো জ্বালানোর চেষ্টা চলছে বলে মনে হয়। সিপিবি-বাসদের কর্মসূচির প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে জামায়াতকে বোধহয় এই বার্তাই বিএনপি দিতে চেয়েছে যে, এবার তোমরা তোমাদের পথ দেখ। জামায়াতের সঙ্গে নিবিড় সখ্য রেখে কমিউনিস্টদের কোনো কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা যায় না— এটা না বোঝার কোনো বিষয় নয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা আছে। তবে একটি ঘটনা থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে না যে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করবে। কারও কারও ধারণা, দলের ভিতর-বাইরের চাপ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় সরকারবিরোধী সর্বদলীয় ঐক্য ও সংগ্রাম শুরুর চেষ্টা হিসেবে ২০-দলীয় জোট স্থগিত, এমনকি ভেঙে দেওয়া হতে পারে। তবে একটা ‘ডিসটেন্ট রিলেশন’ রাখার কথাও ভাবছেন দলের কেউ কেউ। সব কিছু ছাপিয়ে বিএনপিকে নিয়ে গেল সপ্তাহের বড় খবর হচ্ছে দীর্ঘদিন পর সংস্কারপন্থিদের নিয়ে নতুন দলীয় চিন্তাভাবনা।

বিএনপির সংস্কারপন্থিরা আবার দলে ফিরছেন, এমন একটা আভাসই যেন পাওয়া গিয়েছিল পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংস্কার-উদ্যোক্তা দুই নেতার সাক্ষাতের মাধ্যমে। এ নিয়ে ‘রাজনৈতিক বাজারে’ নানা মুখরোচক গল্প ছড়িয়েছে। কে আগে পা ধরেছে, কে বেশি কেঁদেছে, কে মান্নান ভূঁইয়ার ওপরই সব দোষ চাপিয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাক্ষাতের অন্তর্নিহিত যে উদ্দেশ্য, তা কি সফল হবে? রাজনৈতিক দলে মতাদর্শগত লড়াই, নেতৃত্বের কোন্দল, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার লোভে দলবদল, দলত্যাগ, পুনরায় দলে ফেরা, সর্বোপরি বিভক্ত দলে ঐক্য প্রক্রিয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। আমাদের এ উপমহাদেশে এমন ঘটনা বিরল নয়। ভারতে এককালে কংগ্রেসকে বলা হতো ‘ভারতের ঐক্যের প্রতীক’। সেই কংগ্রেসে ভাঙাগড়া, বিভক্তি এবং পুনরেকত্রীকরণের ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। এখনো যাওয়া-আসা চলছে। কমিউনিস্ট পার্টিতেও তাই। আঞ্চলিক দলগুলোতেও ভাঙাগড়ার খেলা চলছে। সর্বশেষ তামিলনাড়ু তার প্রমাণ। আমাদের দেশের প্রাচীন সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিও এই ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন নয়। পুনরেকত্রীকরণ বা ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় উভয় পক্ষের অর্থাৎ ব্যক্তি-গোষ্ঠী ও দলের প্রয়োজনে, বিশেষত দলের প্রয়োজনে। কারও দলত্যাগে যদি দল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তার বা তাদের পুনরায় ফিরে আসায় দল যদি উপকৃত হবে বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলে পুনর্মিলন বলুন আর পুনরেকত্রীকরণ বলুন অথবা ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসা’ বলুন— তা অর্থবহ হয়। সংস্কার আন্দোলনের সংগঠকদের দুজনের পার্টি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের খবরটি যেভাবে মিডিয়ায় এসেছে, তাতে যে কারও মনে হতে পারে, কিছু দাগি-দোষী হাতে পায়ে ধরে, ক্ষমা চেয়ে, খত দিয়ে দলে ফিরতে চাচ্ছে তাই তাদের ক্ষমা করে দিয়ে ‘ঘরে ঢোকা’র সুযোগ দেওয়া হলো; এরা দলে ফিরলেই কী, না ফিরলেই কী? বিষয়টি যদি এমন হয় যে, যারা দলে ফিরতে চাচ্ছেন, তাদেরই দরকার দলে ফেরার, দলের কোনো প্রয়োজন নেই তাদের, তাহলে এই ‘ঘরে ফেরা’ হবে মূল্যহীন। বরং তা দলে সংকট বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যদি এমন হয় যে, যারা দলে ফিরে আসতে চান, তারা যে উদ্দেশ্যে দলত্যাগ করেছিলেন বা দূরে সরে ছিলেন, তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং মনে করছেন একই রাজনৈতিক চিন্তা ও বিশ্বাস অটুট রেখে তা বাস্তবায়নের জন্য পুরনো মূল দলই ভরসা, তার অবশ্যই একটা রাজনৈতিক মূল্য আছে। সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে বিএনপির রাজনীতির কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। একই রাজনীতি ও আদর্শের অনুসারী হয়ে তারা কিছু সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। দুই টার্মের বেশি কেউ পার্টি চেয়ারপারসন বা মহাসচিব হতে পারবেন না এবং দল ক্ষমতায় গেলে পার্টিপ্রধান রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান হতে পারবেন না, হলে পার্টি প্রধান থাকতে পারবেন না— এই দুটি বিষয় ছাড়া সংস্কার প্রস্তাবে দলের জন্য ক্ষতিকর কিছু কী ছিল? বরং সংস্কার প্রস্তাবে উত্থাপিত কিছু কিছু বিষয় এখন চেয়ারপারসন বেগম জিয়াই ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করছেন। কাজেই যারা সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এখন তাদের কেউ কেউ ওই সময় ‘মহাপাপ’ করেছিলেন বলে ভাবছেন কেন বোঝা মুশকিল। দুজন ‘দর্শনার্থীর’ যে বক্তব্য মিডিয়ায় এসেছে, তাতে তারা হয়তো লজ্জা পাননি, কিন্তু অনেক সংস্কারপন্থি তাতে লজ্জা পাচ্ছেন, দলে গণতন্ত্রায়ণে তাদের সেই ব্যর্থ উদ্যোগের প্রতি সহানুভূতিশীলরা কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এরা এসব কী বললেন? ধারণা করা হচ্ছিল যে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং সরকারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন নতুন করে সূচনা করার লক্ষ্যে দলকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে যারা নানা কারণে দলের বাইরে চলে গেছেন, এমনকি ভিন্ন দল গঠন করেছেন, তাদের সবাইকে আবার দলে ফিরিয়ে আনার একটি শুভ উদ্যোগের অংশ সংস্কারপন্থি জহির উদ্দিন স্বপন ও সর্দার শাখাওয়াত হোসেন বকুলের সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের বৈঠক-আলোচনা। কিন্তু দলের ৩৫ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (দল পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ব্যক্তি মোহাম্মদ শাহজাহান যা বলেছেন, তা সংস্কারপন্থিদের জন্য খুবই অপমানজনক। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কারপন্থিদের ডাকা হচ্ছে না, যারা অনুতপ্ত হয়ে দলে সক্রিয় হতে চাচ্ছেন, তাদের বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে দলের হাইকমান্ড তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে, তারা আসলেই অনুতপ্ত হয়ে দলে ফিরতে চাচ্ছেন, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।’ তার বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এই দাঁড়ায়, সংস্কারপন্থিদের দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্বের কোনো আগ্রহ নেই। কিছু ‘দাগি-দোষী’ দলে ফিরে আসতে চাচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারও কারও ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নেহাতই একটি ‘করুণার’ বিষয়। তার এ বক্তব্য তাদের দলের অন্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মেলে না। সেই সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। যারা নানা কারণে দল ছেড়েছেন, নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে এনে দলের ভিতর নতুন প্রাণের সঞ্চার করতে চান, সরকারকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে চান। বিএনপিকে নিয়ে বিএনপির ‘মালিকপক্ষ’ কী করবেন, তা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে বিএনপির শুভানুধ্যায়ীরা বলতে চান, শুরুটা ভালো হয়নি। এদের মতে, বিএনপির প্রয়োজন দলের সামগ্রিক পুনরেকত্রীকরণ, যা দলের ঝিমিয়ে পড়া অবস্থা থেকে উত্তরণে উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আর তাতে মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারী সংস্কারপন্থিরাই শুধু নয়, আরও যারা নানা কারণে দলত্যাগ করেছেন, নতুন দল গঠন করেছেন, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা দরকার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপি গঠনে পর্দার অন্তরালের অন্যতম দক্ষ কারিগর কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ তাদের সঙ্গে থাকা সাবেক বিএনপি নেতারা এখনো সজীব ও সক্রিয়। বি. চৌধুরী সাহেবের নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান একজন সজ্জন ব্যক্তি।

একানব্বইর নির্বাচনে তিনি রমনা-তেজগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে পরাস্ত করেছিলেন। বিকল্প ধারায় যারা আছেন, তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের দল এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমদ কয়েকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এবং সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। চাঁদপুরে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে ভোটে হারানো সাবেক এমপি প্রফেসর আবদুল্লাহসহ অনেকে আছেন- যারা একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের দাবিদার। সংস্কারপন্থি গ্রুপ ছাড়াও দলের বাইরে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মে. জে. (অব.) আনোয়ারুল কবির তালুকদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, সাবেক এমপি আব্বাসী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহানারা বেগম, সাবেক হুইপ শহিদুল হক জামাল, সাবেক এমপি আবু হেনাসহ আরও অনেকে। শমসের মবিন চৌধুরীর মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিরাও দল ছেড়েছেন নানা দুঃখে। সবাইকে আবার সসম্মানে দলে ফিরিয়ে আনা গেলে অবশ্যই বিএনপি দলের রাজনৈতিক মর্যাদা বাড়াতে পারবে। দলও শক্তিশালী হবে। এদের প্রায় সবারই নিজস্ব নির্ভরযোগ্য নির্বাচনী এলাকা আছে। তাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, সততা, এলাকায় ভাবমূর্তি ও সমর্থনের সঙ্গে বিএনপি আর ধানের শীষ যুক্ত হলে তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলো নিয়ে লীগ নেতাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়ার কথা। যারা সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত, তাদের মধ্যে অনেক সাবেক এমপি আছেন, যাদের নির্বাচনী এলাকায় পায়ের তলায় শক্ত মাটি আছে। সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনের আয়োজন হলে সবাই যাবেন; কিন্তু মোহাম্মদ শাহজাহান যেমন ধারণা দিলেন, তেমন অনেকটা ‘কান ধরে উঠবোস করে নাকে খত দিয়ে’ বিএনপির ঠিকানা ব্যবহারের জন্য বেহায়া হয়ে যাবেন— অনেকের ক্ষেত্রে তেমন না-ও হতে পারে। সংস্কারপন্থি কেউ কখনো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন বলে কখনো শুনিনি। বিএনপির অতীত-বর্তমানের প্রায় সব খবর রাখেন তেমন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ওই ধরনের বক্তব্য শাহজাহান সাহেবের মুখে বেমানানই মনে হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমান যখন দল ভেঙে বিএনপি ছেড়ে আলাদা দল গঠন করেন, মোহাম্মদ শাহজাহানও তার সঙ্গে বিএনপি ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে অনেকে কনফার্ম করছেন। বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমন ঘটনা প্রায়ই বিভিন্ন দেশে ঘটে, আমাদের দেশেও ঘটেছে। আগেই উল্লেখ করেছি, ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার কাহিনীও বিরল নয়। মূল দলে ফিরে এসে ওবায়েদ ভাই ফের স্থায়ী সদস্য হয়েছিলেন, শাহজাহান সাহেবও দলে ফিরে কমিটির বড় পদ পেয়েছেন, পদের চেয়ে বড় দায়িত্বও পেয়েছেন। অন্য যারা নানা কারণে দল ছেড়েছেন, এখন আবার পুরনো দলে ফিরে আসতে চান, তার তো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা। তাদের দলে ফিরতে নানা ধরনের শর্তের ছুঁতায় প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তোলা বিএনপির জন্য কি খুব লাভজনক হবে? তিনি কি বিএনপির উপকার করলেন? ওয়ান-ইলেভেনের পর কতজনের কত গোপন কথাই তো গোপন থাকেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, প্রক্রিয়াগত ত্রুটির মাধ্যমে কেউ কেউ বিএনপির শুভ একটি উদ্যোগকে অঙ্কুরে বিনাশ করার চেষ্টা করতে পারে।

 বিএনপির কী করা উচিত, তা বিএনপিই ঠিক করবে। তবে তাদের অনেক শুভানুধ্যায়ী প্রক্রিয়াটির সঙ্গে একমত নন। তাদের মতে, সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে ইনডিভিজুয়াল অথবা গ্রুপ বৈঠকের কাজটি সম্পন্ন হওয়া উচিত মহাসচিব পর্যায়ে। আবদুল্লাহ আল-নোমান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানের মতো দু-তিনজন প্রবীণ নেতাও এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এক এক করে বা গ্রুপওয়ারি আলোচনা ও সমঝোতা শেষে সবার সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের একটা দীর্ঘ এবং প্রাণবন্ত বৈঠকের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে পারত। হতে পারত একটি আনন্দঘন মিলনমেলা। চক্রান্ত করে কেউ কি তাতে বাদ সাধল? প্রথমে ম্যাডাম দুজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পর এমন একটা ধারণার সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ আছে যে, সংস্কারপন্থি যারা এখনো দলের বাইরে আছেন, সাক্ষাৎকারী দুজন বুঝিবা অন্য সবার নেতা। যারা দলে ফিরতে চান, তাদের কাছে কি এমন বার্তাই চলে গেল না যে, এই দুজনের মাধ্যমেই যা হওয়ার হবে। সংস্কারপন্থিদের সবাই তো এ দুজনকে তাদের ‘ইমাম’ না-ও মানতে পারেন। তাতে শুভ উদ্দেশ্যটা কি কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না? এসব ক্ষেত্রে আগে-পরে ডাকা নিয়েও সমস্যা হয়। রাজনীতি-সংশ্লিষ্টদের কাছে অতীতের এমন অভিজ্ঞতা অবশ্যই আছে। সংস্কারপন্থিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির এটা কোনো চক্রান্তের অংশ নয় তো! বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উদ্যোগটিকে তারা স্বাগত জানান এবং মনেপ্রাণে চান এটি সফল হোক; এ ব্যাপারে যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। তারা এমন মন্তব্যও করছেন যে, উদ্যোগটি নেওয়া উচিত ছিল আরও আগে। সংস্কারপন্থি সাবেক এমপিদের অনেকের এলাকাতেই সবল-দুর্বল যাই হোক বিএনপির একটি বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। নবম সংসদ নির্বাচনে ওইসব আসনে বিএনপি নতুন প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছে। নবম সংসদ নির্বাচনের আগেই যদি সংস্কারপন্থিদের বিষয়টি ফয়সালা হয়ে যেত তাহলে সংস্কারপন্থিরা ফিরে আসার পর ছোটখাটো যে সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে তার কোনো সুযোগ থাকত না। জানামতে, একটি উদ্যোগ তখন নেওয়াও হয়েছিল। সবাই সম্মত ছিলেন। কিন্তু একজনের জন্য সব পণ্ড হয়ে যায়। তিনি সমঝোতা বৈঠকে আসবেন বলেও আসেননি। তৃতীয় একটি শক্তিশালী পক্ষই নাকি তখন বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ কিন্তু বিচক্ষণতার সঙ্গে তাদের সংস্কারপন্থিদের হ্যান্ডলিং করেছে। তাই তাদের সংস্কারপন্থি কোনো নেতার আসনেই কোনো সাংগঠনিক সংকট বা বিশৃঙ্খলার কথা শোনা যায়নি। তবুও বিএনপিতে আনন্দঘন পরিবেশে যদি ‘ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরার’ পর্ব সম্পন্ন হয় এবং এ ব্যাপারে পার্টি চেয়ারপারসনের মনোভাব অনুকূল ও কঠোর হয়, তাহলে সংকট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বিষয়টি যদি দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে সমাধান সহজ হবে। সংস্কারপন্থিদের বিএনপি দরকার, আবার বিএনপিরও সংস্কারপন্থিদের দরকার— সামগ্রিক বিষয়টি যদি এই দৃষ্টিতে দেখা হয়, তাহলে সবকিছুই মিটে যাবে। কিন্তু সংস্কারপন্থিদের প্রতি ‘করুণা’ করা হচ্ছে, এমন ভাব দেখালে তো এ বার্তাটাই স্পষ্ট হয় যে, দলে তাদের প্রয়োজন নেই। যদি কারও দলে প্রয়োজনই ফিল করা না হয়, তাহলে দেখা-সাক্ষাতের নাটক কেন? আর শুধু সংস্কারপন্থিরাই নয়, একদা বিএনপির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই দলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে বিএনপি বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। যেমন শেখ হাসিনা সভানেত্রী হয়ে আওয়ামী লীগের মিজান, রাজ্জাক, ফরিদগাজী— সব গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারির খবরের কাগজে বেরিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন শিগগিরই। যার দলই বহুভাগে বিভক্ত সেখানে দলকে ঐক্যবদ্ধ না করে জাতীয় ঐক্যের ডাক কি সফল হবে? আর বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি ও বিএনপি ত্যাগীদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ বিষয় হবে হাস্যকর। জাতীয় ঐক্যে অন্য যাদের প্রতি ইঙ্গিত আছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক থাকলে তারা যে বেগম জিয়ার সঙ্গে কোনো ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন না, তা তো অনেক আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছেন। ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী, সিপিবি, বাসদ, জাসদ এদের অবস্থান এ ব্যাপারে স্পষ্ট। বেগম জিয়া আসলে কী করতে চান, তিনি যা করতে চান তাকে ঘিরে রাখা ‘কুতুব’রা তা করতে দেবে কিনা, তারা বাধা দিলে তিনি সে বাধা উপেক্ষা করতে সক্ষম কিনা, বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়া দরকার।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৩৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৪৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৫৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম

শিলাকে বলছি
শিলাকে বলছি

সাহিত্য

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে

প্রথম পৃষ্ঠা