শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ আপডেট:

উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

আমরা জানি এমডিজি অর্থাৎ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। এর পরই এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৬-২০৩০। গত ১৪ অক্টোবর এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০১৮’তে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনে গিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মসূচির কথা শুনলাম তা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের দেশে এই টেকসই শব্দটির প্রতি কখনই খুব একটা সুবিচার করা হয় না। অনেক কিছুতেই একটা নড়বড়ে ভাব লক্ষ্য করা যায়। সততার অভাবে, দুর্নীতির প্রভাবে অনেক কিছুই স্থায়ী বা টেকসই হয় না।

কথায় আছে, ‘কথায় চিঁড়ে ভেজে না’। চিঁড়ে না ভিজলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভেজে। কারণ যারা ভালো মানুষ সেজে, মানুষ ভেজে খান, তাদের কথার তেজে লেজে-গোবরে অবস্থা হয় অনেকেরই। মধ্যরাতে টেলিভিশন খুললেই এর কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় চ্যানেলে চ্যানেলে যেন কথার খই ফোটে। অনুষ্ঠানের নাম ‘টকশো’। রাতের এসব টকশো দেখলেই মনে হয় দেশে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের অনেকেই যেন সবজান্তা- অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি, প্রবাসনীতি, ব্যবসাপাতি কোনো কিছুই এদের অজানা নয়। আর রাজনীতি তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হুঙ্কার দিচ্ছেন, কেউ আঙ্গুল তুলে শাসাচ্ছেন আর কেউবা দর্শক হাসাচ্ছেন। কেউ কেউ বার বার একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। কেউ আবার মাতামাতির সঙ্গে হাতাহাতিও করছেন। এদের কথা টেকসই উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে জানি না, তবে এগুলো টেকসইভাবে ইউটিউবে শোভা পাচ্ছে- যা এ-জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে খারাপ ধারণা দিচ্ছে।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন, তারাই বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো, ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ বুদ্ধিজীবীদেরও শ্রেণিভেদ আছে- সুবুদ্ধিজীবী ও কুবুদ্ধিজীবী। এর মধ্যে কিছু আছে সুবিধাজীবী। এরা যখন যার তখন তার। এদের কাছ থেকে সুলভে বুদ্ধি ও বাণী কেনা যায়, শুভেচ্ছাবাণীসহ অন্যের লিখে দেওয়া বাণীতে দস্তখতও পাওয়া যায়। আর বিবৃতি তো আছেই। তাই কেউ কেউ এদের বিবৃতিজীবীও বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমার এক পরিচিতজন একবার বলছিল, আমি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিই না, বরং বুদ্ধিজীবীর বদলে আমি ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবির পেনড্রাইভে বুদ্ধি ভরে পকেটে রাখি। প্রয়োজনে ল্যাপটপে দেখে নিই। আটকে গেলে গুগল সাহেবের সাহায্য নিই। সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই। সুতরাং তরুণদের কাজের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই- তবে বুদ্ধিমান হতে হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।

এসব কথা থেকে এবার একটু আমার কথায় আসি। আমরাও বিশ্বাস করি- ‘কথা কম কাজ বেশি’। তাই আমি বছরে মাত্র ছয় ঘণ্টা দর্শকের সামনে কথা বলি। অনেক স্থানে কথা বলার অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও দর্শকরা শুধু একটি অনুষ্ঠানেই আমাকে দেখতে পান, সেটি হচ্ছে ইত্যাদি।  তাও বছরে ছয়বার। যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেই হিসেবে ইত্যাদিকেও একটি টেকসই অনুষ্ঠান বলা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ এমডিজি পেরিয়ে আমরাও জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছি। কারণ ইত্যাদির বয়স হয়েছে ৩০ বছর। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে, Leaving no one behind (LNOB)  অর্থাৎ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। ইত্যাদির মূলমন্ত্রও অনেকটা তাই।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ইত্যাদিতে তুলে ধরেছি সারা দেশের অনেক সৎসাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষদের। যাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রচারকল্যাণে যাদের অনেকেই পরবর্তীতে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তরুণসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেছি ইত্যাদির দর্শক পর্বকে। ইত্যাদিকে  স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের করে নিয়ে এসেছি দেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রত্নতত্ত্বসমৃদ্ধ গৌরবময় স্থানে; যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে।

এই আত্মপ্রচারের মহোৎসবের যুগে অনেক প্রচারবিমুখ নীরব কর্মীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। প্রচার নয়, পাঠকের সুবিধার জন্য ইত্যাদির তেমনই কজন টেকসই উন্নয়নকর্মীর উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে নওগাঁ জেলার সেই গহের আলীর কথা। যার জীবিকা ছিল ভিক্ষান্ন। চাল-ডালের সঙ্গে ভিক্ষা হিসেবে তালের আঁটি এনে রাস্তার ধারে লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। এভাবে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি তালগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার লাগানো সেই গাছ টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে আজ সবাইকে ছায়া দিচ্ছে এতেই তার তৃপ্তি। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই গহের আলী ৮০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯।

পলান সরকারের কথাই ধরুন, ২০০৬ সালে প্রচারিত ইত্যাদির একটি পর্বে আলোকিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় বইপ্রেমী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পলান সরকারকে। যিনি তার গ্রামে হেঁটে হেঁটে মানুষকে বই বিতরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি একটি লাইব্রেরি করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যদি আমরা সেই লাইব্রেরিটিকে টেকসই করতে পারি, তবে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেখানে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

আমাদের গর্ব বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পরপর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর যাদের হাতে ইত্যাদি লেখা লোগোটিও ছিল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনবার স্বীকৃতি পাওয়া কুষ্টিয়ার হালিম, হলিউডের ছবিতে গ্রাফিক্স করে অস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণ রাশেদ, মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ‘টিম র‌্যাপচার’ দল। এদের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি অতি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে এ ফেসবুক হয়ে উঠেছে অসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমরা ফেসবুকের ভিন্নতর ব্যবহার দেখিয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তরুণ মামুন বিশ্বাস কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে অসহায় ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে, তা তুলে ধরেছি। যা দেখে অনেকেই ফেসবুকের ভিন্নতর ও সেবামূলক ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখিয়েছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ৩০০ কৃষকসন্তান মিলে গড়ে তোলা গ্রিন সেভার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কীভাবে নগরকৃষির প্রবর্তন করেছে। এই তরুণদের লক্ষ্য- যে ভূমিটুকু জুড়ে নির্মিত হয়েছে একেকটি বাড়ি সেই পরিমাণ স্থান বাড়ির ভিতরে ও ছাদে বাগান করে সবুজে সবুজে ভরে দেওয়া। তারা এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের প্রায় ৩ হাজার ছাদে বাগান করেছে। কে কেমন বাগান করল, কার ছাদের বাগানে কয়টি গাছ বা কয়টি ফল হলো এসব নয় বরং মানুষ ছাদে কীভাবে বাগান করবে এবং বাগান কীভাবে ফলে ভরবে সেটাই তারা হাতে-কলমে শেখায়।

চট্টগ্রামের আলমাস মিয়া। যিনি প্রমাণ করেছেন মানসিক শক্তি, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কাছে বয়স কোনো বাধা নয়। যে কারণে বার্ধক্য তার কাছে হার মেনেছে। তিনি একাই কোনো সহযোগী ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরে তৈরি করেছেন দ্বিতল বাড়ি। আজকের কর্মবিমুখ বহু তরুণ-যুবার কাছে তিনি হতে পারেন আদর্শ-আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার অনন্য উদাহরণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখিয়েছি, একদা মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর শ্রমজীবী মানুষদের নৈপুণ্যে উত্তরা ইপিজেডে কীভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। যা সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। এসব বিচিত্র পণ্য যেমন এলাকার দৈন্য দূর করেছে, তেমনি প্রশংসিত হয়েছে উন্নত বিশ্বে। আর মঙ্গাপীড়িত নীলফামারী পরিণত হয়েছে দীপ্তিমান নগরীতে।

ইত্যাদির ৩০ বছরে আমরা সমাজ সংস্কার ও প্রেরণামূলক এমনই শত শত টেকসই প্রতিবেদন দেখিয়েছি। অনেক যোগ্য মানুষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা প্রচার পায় না-প্রচার চায়ও না, পুরস্কারের পেছনেও ছোটে না। গহের আলী, পলান সরকাররা এমনিতেই দায়িত্বশীল, পুরস্কার পেয়ে তাদের দায়িত্ব বাড়ে না।

আসলে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ তত না বাড়লেও দেখাবার আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে। একজন দর্শককে যদি প্রশ্ন করা হয় টিভি দেখতে বসে তিনি মোট কতবার রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি চেপেছেন তা হলে হয়তো তিনি ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও বের করতে পারবেন না। শিক্ষা, তথ্য, বিনোদন এ তিনটিই হচ্ছে টেলিভিশনের মূলমন্ত্র। কিন্তু এ মূলমন্ত্র কটা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া যায়? কারণ এখানেও টেকসই বিনোদন নেই। আমাদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি- এসব আমাদের অন্তরের গান, মাটির গান। নানান উদ্ভট কথার আইটেম সং আর ব্যয়বহুল চটুল মিউজিক ভিডিওর দৌরাত্ম্যে আমাদের এসব গান চাপা পড়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টেকসই। আমাদের এ সংস্কৃতি চিত্তে ধারণ করতে হবে। এখন হাজার হাজার নাটক হচ্ছে কিন্তু কেউ যখন উদাহরণ দেয়, তখন আশির দশক, নব্বই দশকের নাটকের কথা বলে। এখনকার নাটকের উদাহরণ কেউ দেয় না। সেই অর্থে বলা যায় তখনকার নাটক গল্প-গাঁথুনি ও বক্তব্যে ছিল গভীর মানসম্পন্ন ও শোভন, বলা যায় টেকসই। কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ নাটক মানুষের মনে সেভাবে রেখাপাত করছে না। কিছু কিছু চ্যানেল যেন রিয়েলিটি শো নির্ভর। এসব রিয়েলিটি শোর সঙ্গে অর্থ যোগ থাকলেও আশানুরূপ টেকসই প্রতিভা পাওয়া যায় না।

আমাদের এখানে মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের চাইতে আত্মপ্রচারটাই বেশি হয়। যে কারণে পৃথিবীর বড় বড় চ্যানেলের মালিককে কেউ না চিনলেও আমাদের দেশের প্রতিটি চ্যানেলের মালিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মীয়-পরিজনকেও সবাই চেনে। দু-একটি চ্যানেলে সংবাদের এক তৃতীয়াংশ জুড়েই থাকে মালিকদের কর্মকা-ভিত্তিক সংবাদ। সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা এমনকি আমাদের পাশের দেশের স্টার প্লাস, সনি- এসব চ্যানেলের মালিককে আমরা কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। রুপার্ট মারডকের কথাই ধরা যাক। তিনি একজন মিডিয়া ব্যবসায়ী। বিশ্বব্যাপী তার কয়েক শ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, তার প্রকাশিত খবরে নড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সে কারণে তাকে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বাদশাহ বলা হয়। অথচ অনেকেই তাকে চেনেন না।

আমরা টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দায় যাদের বেশি বেশি দেখি, যারা কাজের চাইতে বেশি কথা বলছেন, মনে করি এরাই বোধহয় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এদের চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা মানুষগুলো। যারা প্রচারবিমুখ, যারা স্বীকৃতি বা মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন না- সামগ্রিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। যে ভূমিকায় প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা।

কাগজের পাতা খুললেই আজকাল দেখা যায় কত দ্রুত অকালে জীবন ঝরে যাচ্ছে। রাস্তা অনিরাপদ হওয়ার প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। নিয়মিত অনিয়মই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রয়োগ ও নিয়ম পালনের ক্ষেত্রেও টেকসই উন্নয়ন দরকার। আমরা গ্রামে বেড়া ডিঙিয়ে অন্যের খেতে অনধিকার প্রবেশের জন্য গরু-ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিই কিন্তু শহরে তো গরু-ছাগল নেই, তার পরও মানুষের চলাচল বন্ধে তারকাঁটার বেড়া কিংবা পাইপ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে আটকানো থাকে। কিন্তু কেউই যেন সেটাও মানতে চায় না। অনেক স্থানেই এসব কেটে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা অর্থাৎ অনধিকার চলা চলছেই। যদিও আইন অমান্য করার জন্য তাদের খোঁয়াড়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই হঠাৎ করে ট্রাফিক পুলিশের মতো মাঝরাস্তায় হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউ ভাবছেন না এই যান্ত্রিক গাড়িটির যন্ত্র কথা না শুনলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং শুধু চালক নয়, আমরা যারা পথচারী আমাদেরও যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনের প্রতি আমাদের আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নইলে আমাদের নিয়ম-শৃঙ্খলা কখনই টেকসই হবে না। কিছুদিন আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং মানাতে হয়।

আমরা দেশ বা সমাজের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তারুণ্যের আয়নায়। আজ আমাদের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশের কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত, কেউ কেউ হতাশা বিলাসে মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী, কেউ কেউ মোবাইল আড্ডায় হারাতে হারাতে হারিয়ে ফেলছে জীবনের পথ, কেউ কেউ আবার দিনভর-রাতভর টিভি-রেডিও আড্ডার উদ্ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তরুণসমাজের একটি অংশের নানা অবক্ষয়ের চিত্র দেখে আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই মনে পড়ে এটাই সব নয়। ওপরে যা দেখা যাচ্ছে তা বন্যায় ভেসে আসা আবর্জনা। ওটা ভেসে চলে যাবে আর নিচে যা জমবে তা উর্বর পলি, সেটাই আসল।

আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমরা আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮০ ভাগের বেশি ছিল তরুণ, যাঁদের বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতার অভাব কীসে? এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণীরাও। শিক্ষায়, গবেষণায়, উদ্ভাবনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সততা। সৎ না হলে যত বড় উন্নয়ন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করলে তা নিশ্চয়ই টেকসই হবে না। উচিত সময়ে উচিত কথাটি বলতে হবে, উচিত কাজটি করতে হবে- সততার সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বক্ষেত্রে আমরা যেন সতর্ক থেকে সৎ এবং সততা নিয়ে চলতে পারি। বলতে পারি সত্য কথা। আমাদের তরুণরা যদি নির্মোহ থেকে সমাজ সংস্কারে কাজ করে তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

মানবিক গুণাবলি ও নৈতিক মূল্যবোধে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। আমরা বলি, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কী পানি? তা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। নইলে তার অপর নাম হবে মরণ। তেমনি শিক্ষা হলেই চলবে না, প্রয়োজন সুশিক্ষা। বুদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুবুদ্ধি। সুশিক্ষায়, সৎচিন্তায় ও অনুসরণে বুদ্ধি হবে সুবুদ্ধি। আবার কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই চলবে না, থাকতে হবে সদিচ্ছা। কারণ সদিচ্ছা সৎ কাজ করতে উৎসাহিত করে। আর সৎ মানুষই পারে সততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে; যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যে উন্নয়নের স্থায়িত্বের দায়িত্ব আমাদের সবার।

► লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা
চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার

২৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫
মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

৪৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার

৫৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব

৫৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ
সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন
কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম
শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো
আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা