শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ আপডেট:

উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

হানিফ সংকেত
উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

আমরা জানি এমডিজি অর্থাৎ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। এর পরই এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৬-২০৩০। গত ১৪ অক্টোবর এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০১৮’তে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনে গিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মসূচির কথা শুনলাম তা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের দেশে এই টেকসই শব্দটির প্রতি কখনই খুব একটা সুবিচার করা হয় না। অনেক কিছুতেই একটা নড়বড়ে ভাব লক্ষ্য করা যায়। সততার অভাবে, দুর্নীতির প্রভাবে অনেক কিছুই স্থায়ী বা টেকসই হয় না।

কথায় আছে, ‘কথায় চিঁড়ে ভেজে না’। চিঁড়ে না ভিজলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভেজে। কারণ যারা ভালো মানুষ সেজে, মানুষ ভেজে খান, তাদের কথার তেজে লেজে-গোবরে অবস্থা হয় অনেকেরই। মধ্যরাতে টেলিভিশন খুললেই এর কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় চ্যানেলে চ্যানেলে যেন কথার খই ফোটে। অনুষ্ঠানের নাম ‘টকশো’। রাতের এসব টকশো দেখলেই মনে হয় দেশে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের অনেকেই যেন সবজান্তা- অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি, প্রবাসনীতি, ব্যবসাপাতি কোনো কিছুই এদের অজানা নয়। আর রাজনীতি তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হুঙ্কার দিচ্ছেন, কেউ আঙ্গুল তুলে শাসাচ্ছেন আর কেউবা দর্শক হাসাচ্ছেন। কেউ কেউ বার বার একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। কেউ আবার মাতামাতির সঙ্গে হাতাহাতিও করছেন। এদের কথা টেকসই উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে জানি না, তবে এগুলো টেকসইভাবে ইউটিউবে শোভা পাচ্ছে- যা এ-জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে খারাপ ধারণা দিচ্ছে।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন, তারাই বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো, ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ বুদ্ধিজীবীদেরও শ্রেণিভেদ আছে- সুবুদ্ধিজীবী ও কুবুদ্ধিজীবী। এর মধ্যে কিছু আছে সুবিধাজীবী। এরা যখন যার তখন তার। এদের কাছ থেকে সুলভে বুদ্ধি ও বাণী কেনা যায়, শুভেচ্ছাবাণীসহ অন্যের লিখে দেওয়া বাণীতে দস্তখতও পাওয়া যায়। আর বিবৃতি তো আছেই। তাই কেউ কেউ এদের বিবৃতিজীবীও বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমার এক পরিচিতজন একবার বলছিল, আমি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিই না, বরং বুদ্ধিজীবীর বদলে আমি ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবির পেনড্রাইভে বুদ্ধি ভরে পকেটে রাখি। প্রয়োজনে ল্যাপটপে দেখে নিই। আটকে গেলে গুগল সাহেবের সাহায্য নিই। সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই। সুতরাং তরুণদের কাজের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই- তবে বুদ্ধিমান হতে হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।

এসব কথা থেকে এবার একটু আমার কথায় আসি। আমরাও বিশ্বাস করি- ‘কথা কম কাজ বেশি’। তাই আমি বছরে মাত্র ছয় ঘণ্টা দর্শকের সামনে কথা বলি। অনেক স্থানে কথা বলার অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও দর্শকরা শুধু একটি অনুষ্ঠানেই আমাকে দেখতে পান, সেটি হচ্ছে ইত্যাদি।  তাও বছরে ছয়বার। যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেই হিসেবে ইত্যাদিকেও একটি টেকসই অনুষ্ঠান বলা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ এমডিজি পেরিয়ে আমরাও জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছি। কারণ ইত্যাদির বয়স হয়েছে ৩০ বছর। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে, Leaving no one behind (LNOB)  অর্থাৎ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। ইত্যাদির মূলমন্ত্রও অনেকটা তাই।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ইত্যাদিতে তুলে ধরেছি সারা দেশের অনেক সৎসাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষদের। যাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রচারকল্যাণে যাদের অনেকেই পরবর্তীতে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তরুণসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেছি ইত্যাদির দর্শক পর্বকে। ইত্যাদিকে  স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের করে নিয়ে এসেছি দেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রত্নতত্ত্বসমৃদ্ধ গৌরবময় স্থানে; যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে।

এই আত্মপ্রচারের মহোৎসবের যুগে অনেক প্রচারবিমুখ নীরব কর্মীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। প্রচার নয়, পাঠকের সুবিধার জন্য ইত্যাদির তেমনই কজন টেকসই উন্নয়নকর্মীর উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে নওগাঁ জেলার সেই গহের আলীর কথা। যার জীবিকা ছিল ভিক্ষান্ন। চাল-ডালের সঙ্গে ভিক্ষা হিসেবে তালের আঁটি এনে রাস্তার ধারে লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। এভাবে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি তালগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার লাগানো সেই গাছ টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে আজ সবাইকে ছায়া দিচ্ছে এতেই তার তৃপ্তি। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই গহের আলী ৮০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯।

পলান সরকারের কথাই ধরুন, ২০০৬ সালে প্রচারিত ইত্যাদির একটি পর্বে আলোকিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় বইপ্রেমী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পলান সরকারকে। যিনি তার গ্রামে হেঁটে হেঁটে মানুষকে বই বিতরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি একটি লাইব্রেরি করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যদি আমরা সেই লাইব্রেরিটিকে টেকসই করতে পারি, তবে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেখানে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

আমাদের গর্ব বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পরপর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর যাদের হাতে ইত্যাদি লেখা লোগোটিও ছিল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনবার স্বীকৃতি পাওয়া কুষ্টিয়ার হালিম, হলিউডের ছবিতে গ্রাফিক্স করে অস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণ রাশেদ, মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ‘টিম র‌্যাপচার’ দল। এদের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি অতি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে এ ফেসবুক হয়ে উঠেছে অসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমরা ফেসবুকের ভিন্নতর ব্যবহার দেখিয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তরুণ মামুন বিশ্বাস কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে অসহায় ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে, তা তুলে ধরেছি। যা দেখে অনেকেই ফেসবুকের ভিন্নতর ও সেবামূলক ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখিয়েছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ৩০০ কৃষকসন্তান মিলে গড়ে তোলা গ্রিন সেভার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কীভাবে নগরকৃষির প্রবর্তন করেছে। এই তরুণদের লক্ষ্য- যে ভূমিটুকু জুড়ে নির্মিত হয়েছে একেকটি বাড়ি সেই পরিমাণ স্থান বাড়ির ভিতরে ও ছাদে বাগান করে সবুজে সবুজে ভরে দেওয়া। তারা এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের প্রায় ৩ হাজার ছাদে বাগান করেছে। কে কেমন বাগান করল, কার ছাদের বাগানে কয়টি গাছ বা কয়টি ফল হলো এসব নয় বরং মানুষ ছাদে কীভাবে বাগান করবে এবং বাগান কীভাবে ফলে ভরবে সেটাই তারা হাতে-কলমে শেখায়।

চট্টগ্রামের আলমাস মিয়া। যিনি প্রমাণ করেছেন মানসিক শক্তি, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কাছে বয়স কোনো বাধা নয়। যে কারণে বার্ধক্য তার কাছে হার মেনেছে। তিনি একাই কোনো সহযোগী ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরে তৈরি করেছেন দ্বিতল বাড়ি। আজকের কর্মবিমুখ বহু তরুণ-যুবার কাছে তিনি হতে পারেন আদর্শ-আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার অনন্য উদাহরণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখিয়েছি, একদা মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর শ্রমজীবী মানুষদের নৈপুণ্যে উত্তরা ইপিজেডে কীভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। যা সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। এসব বিচিত্র পণ্য যেমন এলাকার দৈন্য দূর করেছে, তেমনি প্রশংসিত হয়েছে উন্নত বিশ্বে। আর মঙ্গাপীড়িত নীলফামারী পরিণত হয়েছে দীপ্তিমান নগরীতে।

ইত্যাদির ৩০ বছরে আমরা সমাজ সংস্কার ও প্রেরণামূলক এমনই শত শত টেকসই প্রতিবেদন দেখিয়েছি। অনেক যোগ্য মানুষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা প্রচার পায় না-প্রচার চায়ও না, পুরস্কারের পেছনেও ছোটে না। গহের আলী, পলান সরকাররা এমনিতেই দায়িত্বশীল, পুরস্কার পেয়ে তাদের দায়িত্ব বাড়ে না।

আসলে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ তত না বাড়লেও দেখাবার আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে। একজন দর্শককে যদি প্রশ্ন করা হয় টিভি দেখতে বসে তিনি মোট কতবার রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি চেপেছেন তা হলে হয়তো তিনি ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও বের করতে পারবেন না। শিক্ষা, তথ্য, বিনোদন এ তিনটিই হচ্ছে টেলিভিশনের মূলমন্ত্র। কিন্তু এ মূলমন্ত্র কটা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া যায়? কারণ এখানেও টেকসই বিনোদন নেই। আমাদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি- এসব আমাদের অন্তরের গান, মাটির গান। নানান উদ্ভট কথার আইটেম সং আর ব্যয়বহুল চটুল মিউজিক ভিডিওর দৌরাত্ম্যে আমাদের এসব গান চাপা পড়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টেকসই। আমাদের এ সংস্কৃতি চিত্তে ধারণ করতে হবে। এখন হাজার হাজার নাটক হচ্ছে কিন্তু কেউ যখন উদাহরণ দেয়, তখন আশির দশক, নব্বই দশকের নাটকের কথা বলে। এখনকার নাটকের উদাহরণ কেউ দেয় না। সেই অর্থে বলা যায় তখনকার নাটক গল্প-গাঁথুনি ও বক্তব্যে ছিল গভীর মানসম্পন্ন ও শোভন, বলা যায় টেকসই। কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ নাটক মানুষের মনে সেভাবে রেখাপাত করছে না। কিছু কিছু চ্যানেল যেন রিয়েলিটি শো নির্ভর। এসব রিয়েলিটি শোর সঙ্গে অর্থ যোগ থাকলেও আশানুরূপ টেকসই প্রতিভা পাওয়া যায় না।

আমাদের এখানে মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের চাইতে আত্মপ্রচারটাই বেশি হয়। যে কারণে পৃথিবীর বড় বড় চ্যানেলের মালিককে কেউ না চিনলেও আমাদের দেশের প্রতিটি চ্যানেলের মালিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মীয়-পরিজনকেও সবাই চেনে। দু-একটি চ্যানেলে সংবাদের এক তৃতীয়াংশ জুড়েই থাকে মালিকদের কর্মকা-ভিত্তিক সংবাদ। সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা এমনকি আমাদের পাশের দেশের স্টার প্লাস, সনি- এসব চ্যানেলের মালিককে আমরা কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। রুপার্ট মারডকের কথাই ধরা যাক। তিনি একজন মিডিয়া ব্যবসায়ী। বিশ্বব্যাপী তার কয়েক শ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, তার প্রকাশিত খবরে নড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সে কারণে তাকে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বাদশাহ বলা হয়। অথচ অনেকেই তাকে চেনেন না।

আমরা টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দায় যাদের বেশি বেশি দেখি, যারা কাজের চাইতে বেশি কথা বলছেন, মনে করি এরাই বোধহয় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এদের চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা মানুষগুলো। যারা প্রচারবিমুখ, যারা স্বীকৃতি বা মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন না- সামগ্রিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। যে ভূমিকায় প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা।

কাগজের পাতা খুললেই আজকাল দেখা যায় কত দ্রুত অকালে জীবন ঝরে যাচ্ছে। রাস্তা অনিরাপদ হওয়ার প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। নিয়মিত অনিয়মই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রয়োগ ও নিয়ম পালনের ক্ষেত্রেও টেকসই উন্নয়ন দরকার। আমরা গ্রামে বেড়া ডিঙিয়ে অন্যের খেতে অনধিকার প্রবেশের জন্য গরু-ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিই কিন্তু শহরে তো গরু-ছাগল নেই, তার পরও মানুষের চলাচল বন্ধে তারকাঁটার বেড়া কিংবা পাইপ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে আটকানো থাকে। কিন্তু কেউই যেন সেটাও মানতে চায় না। অনেক স্থানেই এসব কেটে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা অর্থাৎ অনধিকার চলা চলছেই। যদিও আইন অমান্য করার জন্য তাদের খোঁয়াড়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই হঠাৎ করে ট্রাফিক পুলিশের মতো মাঝরাস্তায় হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউ ভাবছেন না এই যান্ত্রিক গাড়িটির যন্ত্র কথা না শুনলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং শুধু চালক নয়, আমরা যারা পথচারী আমাদেরও যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনের প্রতি আমাদের আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নইলে আমাদের নিয়ম-শৃঙ্খলা কখনই টেকসই হবে না। কিছুদিন আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং মানাতে হয়।

আমরা দেশ বা সমাজের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তারুণ্যের আয়নায়। আজ আমাদের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশের কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত, কেউ কেউ হতাশা বিলাসে মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী, কেউ কেউ মোবাইল আড্ডায় হারাতে হারাতে হারিয়ে ফেলছে জীবনের পথ, কেউ কেউ আবার দিনভর-রাতভর টিভি-রেডিও আড্ডার উদ্ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তরুণসমাজের একটি অংশের নানা অবক্ষয়ের চিত্র দেখে আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই মনে পড়ে এটাই সব নয়। ওপরে যা দেখা যাচ্ছে তা বন্যায় ভেসে আসা আবর্জনা। ওটা ভেসে চলে যাবে আর নিচে যা জমবে তা উর্বর পলি, সেটাই আসল।

আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমরা আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮০ ভাগের বেশি ছিল তরুণ, যাঁদের বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতার অভাব কীসে? এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণীরাও। শিক্ষায়, গবেষণায়, উদ্ভাবনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সততা। সৎ না হলে যত বড় উন্নয়ন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করলে তা নিশ্চয়ই টেকসই হবে না। উচিত সময়ে উচিত কথাটি বলতে হবে, উচিত কাজটি করতে হবে- সততার সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বক্ষেত্রে আমরা যেন সতর্ক থেকে সৎ এবং সততা নিয়ে চলতে পারি। বলতে পারি সত্য কথা। আমাদের তরুণরা যদি নির্মোহ থেকে সমাজ সংস্কারে কাজ করে তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

মানবিক গুণাবলি ও নৈতিক মূল্যবোধে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। আমরা বলি, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কী পানি? তা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। নইলে তার অপর নাম হবে মরণ। তেমনি শিক্ষা হলেই চলবে না, প্রয়োজন সুশিক্ষা। বুদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুবুদ্ধি। সুশিক্ষায়, সৎচিন্তায় ও অনুসরণে বুদ্ধি হবে সুবুদ্ধি। আবার কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই চলবে না, থাকতে হবে সদিচ্ছা। কারণ সদিচ্ছা সৎ কাজ করতে উৎসাহিত করে। আর সৎ মানুষই পারে সততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে; যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যে উন্নয়নের স্থায়িত্বের দায়িত্ব আমাদের সবার।

► লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
জাতীয় ঐক্য
জাতীয় ঐক্য
কথায় কথায় কসম খাওয়া অনুচিত
কথায় কথায় কসম খাওয়া অনুচিত
নবজাতকের সুন্দর নাম রাখা সুন্নত
নবজাতকের সুন্দর নাম রাখা সুন্নত
ভালোবাসা, ঘৃণা নয়
ভালোবাসা, ঘৃণা নয়
সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উপায়
সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উপায়
খালাস, প্রকাশ আর হতাশ প্রসঙ্গ
খালাস, প্রকাশ আর হতাশ প্রসঙ্গ
সেবা খাতে ঘুষ-দুর্নীতি
সেবা খাতে ঘুষ-দুর্নীতি
বন্ধ হোক বাগ্‌যুদ্ধ
বন্ধ হোক বাগ্‌যুদ্ধ
দীনের পথে অটল থাকতে হবে
দীনের পথে অটল থাকতে হবে
কার বুদ্ধিতে করছাড় বাতিল ও নয়া ভ্যাটের চিন্তা
কার বুদ্ধিতে করছাড় বাতিল ও নয়া ভ্যাটের চিন্তা
ঐকমত্যের জন্য চাই জাতীয় সংলাপ
ঐকমত্যের জন্য চাই জাতীয় সংলাপ
সর্বশেষ খবর
লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেনী হানাদার মুক্ত দিবসে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ
ফেনী হানাদার মুক্ত দিবসে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের জন্মদিন পালিত
ভাঙ্গায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের জন্মদিন পালিত

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা
শরীয়তপুরে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৮৬
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৮৬

১৮ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

আমরা একটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মাঝে আছি: শিল্পকলার ডিজি
আমরা একটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মাঝে আছি: শিল্পকলার ডিজি

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাবিতে প্রজাপতি মেলা, হাজারও মানুষের ভিড়
জাবিতে প্রজাপতি মেলা, হাজারও মানুষের ভিড়

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আখাউড়ায় মুক্ত দিবস উদযাপন
আখাউড়ায় মুক্ত দিবস উদযাপন

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা ফেরত আসতে চায় : সাকি
ভারতের শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা ফেরত আসতে চায় : সাকি

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাবরি মসজিদ উপমহাদেশের মসজিদুল আকসা : মামুনুল হক
বাবরি মসজিদ উপমহাদেশের মসজিদুল আকসা : মামুনুল হক

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

‘যারা আমাদের দুর্বল মনে করে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করে’
‘যারা আমাদের দুর্বল মনে করে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করে’

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ৬৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ নারী আটক
সিরাজগঞ্জে ৬৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ নারী আটক

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ইজতেমায় হাজারো মুসল্লির জুম্মার নামাজ আদায়
বগুড়ায় ইজতেমায় হাজারো মুসল্লির জুম্মার নামাজ আদায়

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, তদন্ত কমিটি গঠন
চবি সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, তদন্ত কমিটি গঠন

৪২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে আটক ২
মুন্সীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে আটক ২

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বশেমুরকৃবিতে বিএস ও ডিভিএম প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর
বশেমুরকৃবিতে বিএস ও ডিভিএম প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কক্সবাজারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন
কক্সবাজারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত এখনও থেমে নেই : টুকু
ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত এখনও থেমে নেই : টুকু

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

যে কারণে বিলুপ্তির পথে ‘ঘাসফড়িং’
যে কারণে বিলুপ্তির পথে ‘ঘাসফড়িং’

১ ঘন্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বরিশালে ড্রোন ও মদসহ আটক ২
বরিশালে ড্রোন ও মদসহ আটক ২

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রেপ্তারের ভয় মডেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিলো লাখ টাকা!
গ্রেপ্তারের ভয় মডেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিলো লাখ টাকা!

১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানসিক বিকাশে বিএনপি বদ্ধপরিকর : প্রিন্স
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানসিক বিকাশে বিএনপি বদ্ধপরিকর : প্রিন্স

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে শুভসংঘের উদ্যোগে শীতে ত্বক সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে শুভসংঘের উদ্যোগে শীতে ত্বক সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

১ ঘন্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস পালিত
কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী ফ্যাসিজম রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : দুলু
আওয়ামী ফ্যাসিজম রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : দুলু

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে’
‘সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে’

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৭
সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৭

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্যুরিজম মানে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ নয় : উপদেষ্টা হাসান আরিফ
ট্যুরিজম মানে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ নয় : উপদেষ্টা হাসান আরিফ

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আধুনিক চিকিৎসায় ‘মিনিমালি ইনভেসিভ স্পাইন সার্জারি’তে নতুন দিগন্ত উন্মোচন
আধুনিক চিকিৎসায় ‘মিনিমালি ইনভেসিভ স্পাইন সার্জারি’তে নতুন দিগন্ত উন্মোচন

১ ঘন্টা আগে | হেলথ কর্নার

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
তারেক রহমানকে ‘ভিলেন’ বানানোর নীলনকশা!
তারেক রহমানকে ‘ভিলেন’ বানানোর নীলনকশা!

১১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ট্রান্সকমের দলিল জালিয়াতি
ট্রান্সকমের দলিল জালিয়াতি

১০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘সিরিয়া যুদ্ধ থেকে দূরে থাকুন’
‘সিরিয়া যুদ্ধ থেকে দূরে থাকুন’

১০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়ন’ কি নিউইয়র্কে?
শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়ন’ কি নিউইয়র্কে?

৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ব্যাঙের বিষে প্রাণ গেল অভিনেত্রীর
ব্যাঙের বিষে প্রাণ গেল অভিনেত্রীর

২২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করুন : জামায়াত আমির
কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করুন : জামায়াত আমির

৬ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘একজন খুনিকে আতিথ্য করা মানুষের অনুভূতিতে আঘাতের শামিল’
‘একজন খুনিকে আতিথ্য করা মানুষের অনুভূতিতে আঘাতের শামিল’

৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘ক্ষমতাসীন দল পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি একই থাকে’
‘ক্ষমতাসীন দল পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি একই থাকে’

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট, উত্তেজনা: নেপথ্যে পিঁয়াজ আর দামি হাতব্যাগ!
দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট, উত্তেজনা: নেপথ্যে পিঁয়াজ আর দামি হাতব্যাগ!

২২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চলতে পারবে না: চরমোনাই পীর
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চলতে পারবে না: চরমোনাই পীর

৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের একাধিক স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, নেপথ্যে যে কারণ
ভারতের একাধিক স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, নেপথ্যে যে কারণ

৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিস্টদের গণহত্যার স্বীকৃতি ভারতকে দিতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ফ্যাসিস্টদের গণহত্যার স্বীকৃতি ভারতকে দিতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকার ১৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
আমেরিকার ১৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬ ব্যাংকের এলসি খোলার শর্ত শিথিল
৬ ব্যাংকের এলসি খোলার শর্ত শিথিল

২২ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

কারিগরি-মাদ্রাসা বিভাগের সচিব হলেন কবিরুল ইসলাম
কারিগরি-মাদ্রাসা বিভাগের সচিব হলেন কবিরুল ইসলাম

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

৩ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করলেন অভিনেত্রী পায়েল
বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করলেন অভিনেত্রী পায়েল

২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

নিজ বাড়িতে সাজাভোগের আবেদন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
নিজ বাড়িতে সাজাভোগের আবেদন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

১০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি কৃষিঋণ ৩৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, কর্মকর্তারা ঘুষ নেন ২৫০০ কোটি!
সরকারি কৃষিঋণ ৩৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, কর্মকর্তারা ঘুষ নেন ২৫০০ কোটি!

৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

শিগগিরই চালু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
শিগগিরই চালু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

তৃতীয় পারমাণবিক যুগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বিশ্ব: ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল
তৃতীয় পারমাণবিক যুগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বিশ্ব: ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল

১০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কীভাবে বুঝবেন শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন
কীভাবে বুঝবেন শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন

৫ ঘন্টা আগে | হেলথ কর্নার

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় বিদ্রোহ হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় বিদ্রোহ হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’

৪ ঘন্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

রাখাইনে বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত, আতঙ্কে এলাকাবাসী
রাখাইনে বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত, আতঙ্কে এলাকাবাসী

১৭ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি পর্যটকদের মাধ্যমে ভারত বিশাল লাভবান হয় : সাখাওয়াত হোসেন
বাংলাদেশি পর্যটকদের মাধ্যমে ভারত বিশাল লাভবান হয় : সাখাওয়াত হোসেন

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে গ্লোবাল লিগের ফাইনালে বাংলাদেশের রংপুর
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে গ্লোবাল লিগের ফাইনালে বাংলাদেশের রংপুর

১০ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গতিতে দিশেহারা পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে ১১৭ দরকার বাংলাদেশর
গতিতে দিশেহারা পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে ১১৭ দরকার বাংলাদেশর

৪ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পণ্য আমদানিতে তৃতীয় দেশে নজর
পণ্য আমদানিতে তৃতীয় দেশে নজর

পেছনের পৃষ্ঠা

বঙ্গভবনের ঘটনা নিয়ে গণসংহতির বিবৃতি
বঙ্গভবনের ঘটনা নিয়ে গণসংহতির বিবৃতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বেনজীরের আশীর্বাদে হাজার কোটি টাকার মালিক জসিম
বেনজীরের আশীর্বাদে হাজার কোটি টাকার মালিক জসিম

প্রথম পৃষ্ঠা

কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে যাচ্ছে কনটেইনার ডেলিভারি ব্যবস্থা
চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে যাচ্ছে কনটেইনার ডেলিভারি ব্যবস্থা

নগর জীবন

ক্রাইম করিডর বাংলাদেশ
ক্রাইম করিডর বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

কক্সবাজার ঘুরলেন পিটার হাস
কক্সবাজার ঘুরলেন পিটার হাস

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ক্যারিয়ারে প্রথম পারিশ্রমিক
ক্যারিয়ারে প্রথম পারিশ্রমিক

শোবিজ

ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার
ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ককাসের চেয়ার হলেন সেই কংগ্রেসওম্যান মেং
মার্কিন ককাসের চেয়ার হলেন সেই কংগ্রেসওম্যান মেং

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অলির সাক্ষাৎ না হওয়া দুঃখজনক
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অলির সাক্ষাৎ না হওয়া দুঃখজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ চেন্নাইয়ে গ্রেপ্তার ৫০০
বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ চেন্নাইয়ে গ্রেপ্তার ৫০০

প্রথম পৃষ্ঠা

শিক্ষা অফিসেই একজন চড় মারলেন আরেকজনকে
শিক্ষা অফিসেই একজন চড় মারলেন আরেকজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে ভারত
যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

আয় কমেছে ৯০ ভাগ মানুষের
আয় কমেছে ৯০ ভাগ মানুষের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্য করতে গিয়ে বাকশাল বানালে কাজ হবে না
ঐক্য করতে গিয়ে বাকশাল বানালে কাজ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকার খুনি যেভাবে ধরা
প্রেমিকার খুনি যেভাবে ধরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে আশ্রিতদের ফিরিয়ে আনতে হবে
ভারতে আশ্রিতদের ফিরিয়ে আনতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস
জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস

পেছনের পৃষ্ঠা

এফডিসিতে দুলাল মিয়ার ভাগ্য আর ফেরে না
এফডিসিতে দুলাল মিয়ার ভাগ্য আর ফেরে না

শোবিজ

প্রেমেই ক্যারিয়ার শেষ
প্রেমেই ক্যারিয়ার শেষ

শোবিজ

শেয়ারবাজারে লেনদেন ফের ৩০০ কোটি টাকায়
শেয়ারবাজারে লেনদেন ফের ৩০০ কোটি টাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকায় বিএনসিসি
দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকায় বিএনসিসি

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার নয়
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলায় আমান ও মামুন খালাস
মামলায় আমান ও মামুন খালাস

প্রথম পৃষ্ঠা

খালাস, প্রকাশ আর হতাশ প্রসঙ্গ
খালাস, প্রকাশ আর হতাশ প্রসঙ্গ

সম্পাদকীয়

আসছে নতুন দল নিবন্ধনের সুযোগ
আসছে নতুন দল নিবন্ধনের সুযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় সাফল্যের ছোট পুরস্কার!
বড় সাফল্যের ছোট পুরস্কার!

মাঠে ময়দানে

নিউজিল্যান্ডে হচ্ছে নতুন হাইকমিশন
নিউজিল্যান্ডে হচ্ছে নতুন হাইকমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা