শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ আপডেট:

উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

আমরা জানি এমডিজি অর্থাৎ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। এর পরই এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৬-২০৩০। গত ১৪ অক্টোবর এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০১৮’তে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনে গিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মসূচির কথা শুনলাম তা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের দেশে এই টেকসই শব্দটির প্রতি কখনই খুব একটা সুবিচার করা হয় না। অনেক কিছুতেই একটা নড়বড়ে ভাব লক্ষ্য করা যায়। সততার অভাবে, দুর্নীতির প্রভাবে অনেক কিছুই স্থায়ী বা টেকসই হয় না।

কথায় আছে, ‘কথায় চিঁড়ে ভেজে না’। চিঁড়ে না ভিজলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভেজে। কারণ যারা ভালো মানুষ সেজে, মানুষ ভেজে খান, তাদের কথার তেজে লেজে-গোবরে অবস্থা হয় অনেকেরই। মধ্যরাতে টেলিভিশন খুললেই এর কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় চ্যানেলে চ্যানেলে যেন কথার খই ফোটে। অনুষ্ঠানের নাম ‘টকশো’। রাতের এসব টকশো দেখলেই মনে হয় দেশে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের অনেকেই যেন সবজান্তা- অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি, প্রবাসনীতি, ব্যবসাপাতি কোনো কিছুই এদের অজানা নয়। আর রাজনীতি তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হুঙ্কার দিচ্ছেন, কেউ আঙ্গুল তুলে শাসাচ্ছেন আর কেউবা দর্শক হাসাচ্ছেন। কেউ কেউ বার বার একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। কেউ আবার মাতামাতির সঙ্গে হাতাহাতিও করছেন। এদের কথা টেকসই উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে জানি না, তবে এগুলো টেকসইভাবে ইউটিউবে শোভা পাচ্ছে- যা এ-জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে খারাপ ধারণা দিচ্ছে।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন, তারাই বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো, ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ বুদ্ধিজীবীদেরও শ্রেণিভেদ আছে- সুবুদ্ধিজীবী ও কুবুদ্ধিজীবী। এর মধ্যে কিছু আছে সুবিধাজীবী। এরা যখন যার তখন তার। এদের কাছ থেকে সুলভে বুদ্ধি ও বাণী কেনা যায়, শুভেচ্ছাবাণীসহ অন্যের লিখে দেওয়া বাণীতে দস্তখতও পাওয়া যায়। আর বিবৃতি তো আছেই। তাই কেউ কেউ এদের বিবৃতিজীবীও বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমার এক পরিচিতজন একবার বলছিল, আমি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিই না, বরং বুদ্ধিজীবীর বদলে আমি ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবির পেনড্রাইভে বুদ্ধি ভরে পকেটে রাখি। প্রয়োজনে ল্যাপটপে দেখে নিই। আটকে গেলে গুগল সাহেবের সাহায্য নিই। সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই। সুতরাং তরুণদের কাজের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই- তবে বুদ্ধিমান হতে হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।

এসব কথা থেকে এবার একটু আমার কথায় আসি। আমরাও বিশ্বাস করি- ‘কথা কম কাজ বেশি’। তাই আমি বছরে মাত্র ছয় ঘণ্টা দর্শকের সামনে কথা বলি। অনেক স্থানে কথা বলার অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও দর্শকরা শুধু একটি অনুষ্ঠানেই আমাকে দেখতে পান, সেটি হচ্ছে ইত্যাদি।  তাও বছরে ছয়বার। যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেই হিসেবে ইত্যাদিকেও একটি টেকসই অনুষ্ঠান বলা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ এমডিজি পেরিয়ে আমরাও জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছি। কারণ ইত্যাদির বয়স হয়েছে ৩০ বছর। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে, Leaving no one behind (LNOB)  অর্থাৎ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। ইত্যাদির মূলমন্ত্রও অনেকটা তাই।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ইত্যাদিতে তুলে ধরেছি সারা দেশের অনেক সৎসাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষদের। যাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রচারকল্যাণে যাদের অনেকেই পরবর্তীতে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তরুণসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেছি ইত্যাদির দর্শক পর্বকে। ইত্যাদিকে  স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের করে নিয়ে এসেছি দেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রত্নতত্ত্বসমৃদ্ধ গৌরবময় স্থানে; যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে।

এই আত্মপ্রচারের মহোৎসবের যুগে অনেক প্রচারবিমুখ নীরব কর্মীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। প্রচার নয়, পাঠকের সুবিধার জন্য ইত্যাদির তেমনই কজন টেকসই উন্নয়নকর্মীর উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে নওগাঁ জেলার সেই গহের আলীর কথা। যার জীবিকা ছিল ভিক্ষান্ন। চাল-ডালের সঙ্গে ভিক্ষা হিসেবে তালের আঁটি এনে রাস্তার ধারে লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। এভাবে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি তালগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার লাগানো সেই গাছ টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে আজ সবাইকে ছায়া দিচ্ছে এতেই তার তৃপ্তি। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই গহের আলী ৮০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯।

পলান সরকারের কথাই ধরুন, ২০০৬ সালে প্রচারিত ইত্যাদির একটি পর্বে আলোকিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় বইপ্রেমী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পলান সরকারকে। যিনি তার গ্রামে হেঁটে হেঁটে মানুষকে বই বিতরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি একটি লাইব্রেরি করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যদি আমরা সেই লাইব্রেরিটিকে টেকসই করতে পারি, তবে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেখানে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

আমাদের গর্ব বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পরপর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর যাদের হাতে ইত্যাদি লেখা লোগোটিও ছিল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনবার স্বীকৃতি পাওয়া কুষ্টিয়ার হালিম, হলিউডের ছবিতে গ্রাফিক্স করে অস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণ রাশেদ, মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ‘টিম র‌্যাপচার’ দল। এদের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি অতি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে এ ফেসবুক হয়ে উঠেছে অসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমরা ফেসবুকের ভিন্নতর ব্যবহার দেখিয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তরুণ মামুন বিশ্বাস কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে অসহায় ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে, তা তুলে ধরেছি। যা দেখে অনেকেই ফেসবুকের ভিন্নতর ও সেবামূলক ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখিয়েছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ৩০০ কৃষকসন্তান মিলে গড়ে তোলা গ্রিন সেভার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কীভাবে নগরকৃষির প্রবর্তন করেছে। এই তরুণদের লক্ষ্য- যে ভূমিটুকু জুড়ে নির্মিত হয়েছে একেকটি বাড়ি সেই পরিমাণ স্থান বাড়ির ভিতরে ও ছাদে বাগান করে সবুজে সবুজে ভরে দেওয়া। তারা এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের প্রায় ৩ হাজার ছাদে বাগান করেছে। কে কেমন বাগান করল, কার ছাদের বাগানে কয়টি গাছ বা কয়টি ফল হলো এসব নয় বরং মানুষ ছাদে কীভাবে বাগান করবে এবং বাগান কীভাবে ফলে ভরবে সেটাই তারা হাতে-কলমে শেখায়।

চট্টগ্রামের আলমাস মিয়া। যিনি প্রমাণ করেছেন মানসিক শক্তি, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কাছে বয়স কোনো বাধা নয়। যে কারণে বার্ধক্য তার কাছে হার মেনেছে। তিনি একাই কোনো সহযোগী ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরে তৈরি করেছেন দ্বিতল বাড়ি। আজকের কর্মবিমুখ বহু তরুণ-যুবার কাছে তিনি হতে পারেন আদর্শ-আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার অনন্য উদাহরণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখিয়েছি, একদা মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর শ্রমজীবী মানুষদের নৈপুণ্যে উত্তরা ইপিজেডে কীভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। যা সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। এসব বিচিত্র পণ্য যেমন এলাকার দৈন্য দূর করেছে, তেমনি প্রশংসিত হয়েছে উন্নত বিশ্বে। আর মঙ্গাপীড়িত নীলফামারী পরিণত হয়েছে দীপ্তিমান নগরীতে।

ইত্যাদির ৩০ বছরে আমরা সমাজ সংস্কার ও প্রেরণামূলক এমনই শত শত টেকসই প্রতিবেদন দেখিয়েছি। অনেক যোগ্য মানুষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা প্রচার পায় না-প্রচার চায়ও না, পুরস্কারের পেছনেও ছোটে না। গহের আলী, পলান সরকাররা এমনিতেই দায়িত্বশীল, পুরস্কার পেয়ে তাদের দায়িত্ব বাড়ে না।

আসলে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ তত না বাড়লেও দেখাবার আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে। একজন দর্শককে যদি প্রশ্ন করা হয় টিভি দেখতে বসে তিনি মোট কতবার রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি চেপেছেন তা হলে হয়তো তিনি ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও বের করতে পারবেন না। শিক্ষা, তথ্য, বিনোদন এ তিনটিই হচ্ছে টেলিভিশনের মূলমন্ত্র। কিন্তু এ মূলমন্ত্র কটা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া যায়? কারণ এখানেও টেকসই বিনোদন নেই। আমাদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি- এসব আমাদের অন্তরের গান, মাটির গান। নানান উদ্ভট কথার আইটেম সং আর ব্যয়বহুল চটুল মিউজিক ভিডিওর দৌরাত্ম্যে আমাদের এসব গান চাপা পড়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টেকসই। আমাদের এ সংস্কৃতি চিত্তে ধারণ করতে হবে। এখন হাজার হাজার নাটক হচ্ছে কিন্তু কেউ যখন উদাহরণ দেয়, তখন আশির দশক, নব্বই দশকের নাটকের কথা বলে। এখনকার নাটকের উদাহরণ কেউ দেয় না। সেই অর্থে বলা যায় তখনকার নাটক গল্প-গাঁথুনি ও বক্তব্যে ছিল গভীর মানসম্পন্ন ও শোভন, বলা যায় টেকসই। কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ নাটক মানুষের মনে সেভাবে রেখাপাত করছে না। কিছু কিছু চ্যানেল যেন রিয়েলিটি শো নির্ভর। এসব রিয়েলিটি শোর সঙ্গে অর্থ যোগ থাকলেও আশানুরূপ টেকসই প্রতিভা পাওয়া যায় না।

আমাদের এখানে মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের চাইতে আত্মপ্রচারটাই বেশি হয়। যে কারণে পৃথিবীর বড় বড় চ্যানেলের মালিককে কেউ না চিনলেও আমাদের দেশের প্রতিটি চ্যানেলের মালিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মীয়-পরিজনকেও সবাই চেনে। দু-একটি চ্যানেলে সংবাদের এক তৃতীয়াংশ জুড়েই থাকে মালিকদের কর্মকা-ভিত্তিক সংবাদ। সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা এমনকি আমাদের পাশের দেশের স্টার প্লাস, সনি- এসব চ্যানেলের মালিককে আমরা কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। রুপার্ট মারডকের কথাই ধরা যাক। তিনি একজন মিডিয়া ব্যবসায়ী। বিশ্বব্যাপী তার কয়েক শ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, তার প্রকাশিত খবরে নড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সে কারণে তাকে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বাদশাহ বলা হয়। অথচ অনেকেই তাকে চেনেন না।

আমরা টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দায় যাদের বেশি বেশি দেখি, যারা কাজের চাইতে বেশি কথা বলছেন, মনে করি এরাই বোধহয় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এদের চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা মানুষগুলো। যারা প্রচারবিমুখ, যারা স্বীকৃতি বা মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন না- সামগ্রিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। যে ভূমিকায় প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা।

কাগজের পাতা খুললেই আজকাল দেখা যায় কত দ্রুত অকালে জীবন ঝরে যাচ্ছে। রাস্তা অনিরাপদ হওয়ার প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। নিয়মিত অনিয়মই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রয়োগ ও নিয়ম পালনের ক্ষেত্রেও টেকসই উন্নয়ন দরকার। আমরা গ্রামে বেড়া ডিঙিয়ে অন্যের খেতে অনধিকার প্রবেশের জন্য গরু-ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিই কিন্তু শহরে তো গরু-ছাগল নেই, তার পরও মানুষের চলাচল বন্ধে তারকাঁটার বেড়া কিংবা পাইপ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে আটকানো থাকে। কিন্তু কেউই যেন সেটাও মানতে চায় না। অনেক স্থানেই এসব কেটে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা অর্থাৎ অনধিকার চলা চলছেই। যদিও আইন অমান্য করার জন্য তাদের খোঁয়াড়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই হঠাৎ করে ট্রাফিক পুলিশের মতো মাঝরাস্তায় হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউ ভাবছেন না এই যান্ত্রিক গাড়িটির যন্ত্র কথা না শুনলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং শুধু চালক নয়, আমরা যারা পথচারী আমাদেরও যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনের প্রতি আমাদের আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নইলে আমাদের নিয়ম-শৃঙ্খলা কখনই টেকসই হবে না। কিছুদিন আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং মানাতে হয়।

আমরা দেশ বা সমাজের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তারুণ্যের আয়নায়। আজ আমাদের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশের কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত, কেউ কেউ হতাশা বিলাসে মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী, কেউ কেউ মোবাইল আড্ডায় হারাতে হারাতে হারিয়ে ফেলছে জীবনের পথ, কেউ কেউ আবার দিনভর-রাতভর টিভি-রেডিও আড্ডার উদ্ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তরুণসমাজের একটি অংশের নানা অবক্ষয়ের চিত্র দেখে আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই মনে পড়ে এটাই সব নয়। ওপরে যা দেখা যাচ্ছে তা বন্যায় ভেসে আসা আবর্জনা। ওটা ভেসে চলে যাবে আর নিচে যা জমবে তা উর্বর পলি, সেটাই আসল।

আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমরা আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮০ ভাগের বেশি ছিল তরুণ, যাঁদের বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতার অভাব কীসে? এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণীরাও। শিক্ষায়, গবেষণায়, উদ্ভাবনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সততা। সৎ না হলে যত বড় উন্নয়ন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করলে তা নিশ্চয়ই টেকসই হবে না। উচিত সময়ে উচিত কথাটি বলতে হবে, উচিত কাজটি করতে হবে- সততার সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বক্ষেত্রে আমরা যেন সতর্ক থেকে সৎ এবং সততা নিয়ে চলতে পারি। বলতে পারি সত্য কথা। আমাদের তরুণরা যদি নির্মোহ থেকে সমাজ সংস্কারে কাজ করে তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

মানবিক গুণাবলি ও নৈতিক মূল্যবোধে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। আমরা বলি, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কী পানি? তা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। নইলে তার অপর নাম হবে মরণ। তেমনি শিক্ষা হলেই চলবে না, প্রয়োজন সুশিক্ষা। বুদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুবুদ্ধি। সুশিক্ষায়, সৎচিন্তায় ও অনুসরণে বুদ্ধি হবে সুবুদ্ধি। আবার কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই চলবে না, থাকতে হবে সদিচ্ছা। কারণ সদিচ্ছা সৎ কাজ করতে উৎসাহিত করে। আর সৎ মানুষই পারে সততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে; যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যে উন্নয়নের স্থায়িত্বের দায়িত্ব আমাদের সবার।

► লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
অন্তঃসত্ত্বা গরুও ছাড় পেল না, মাংস-মাথা নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
অন্তঃসত্ত্বা গরুও ছাড় পেল না, মাংস-মাথা নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
রংপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

মৃত রোগীকে জীবিত দেখানোর অভিযোগ, হাসপাতালে উত্তেজনা
মৃত রোগীকে জীবিত দেখানোর অভিযোগ, হাসপাতালে উত্তেজনা

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : দুলু
শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : দুলু

১৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

পাটের দাম বাড়লেও লাভবান হচ্ছে না কৃষক
পাটের দাম বাড়লেও লাভবান হচ্ছে না কৃষক

২৩ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

টাঙ্গাইলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
টাঙ্গাইলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাঘাটায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সাঘাটায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
খাগড়াছড়িতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে পেরেছে, দিল্লি ব্যর্থ কেন?
পাকিস্তান কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে পেরেছে, দিল্লি ব্যর্থ কেন?

৩২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বীরগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র‍্যালি-পথসভা
বীরগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র‍্যালি-পথসভা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

৪৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাঙামাটিতে নার্সের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে নার্সের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

তালতলীতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
তালতলীতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৬ বছরের ছাত্রের গুলিতে আহত শিক্ষিকা ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন
৬ বছরের ছাত্রের গুলিতে আহত শিক্ষিকা ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন

৫৬ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করছে : মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করছে : মির্জা ফখরুল

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচন বিরোধীরা সন্ত্রাসী হামলা করেছে কিনা খতিয়ে দেওয়া উচিত: আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীরা সন্ত্রাসী হামলা করেছে কিনা খতিয়ে দেওয়া উচিত: আমীর খসরু

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের লংমার্চ
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের লংমার্চ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা
দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি শুরু
বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি শুরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলা–খুলনা মহাসড়কে বাস খাদে, দুই যাত্রী নিহত
মোংলা–খুলনা মহাসড়কে বাস খাদে, দুই যাত্রী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমজনতার দলকে নিবন্ধন দিলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : নাছির
আমজনতার দলকে নিবন্ধন দিলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : নাছির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাস্কের সাথে নাচল রোবট
মাস্কের সাথে নাচল রোবট

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আকবর-মোসাদ্দেকের নৈপুণ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ
আকবর-মোসাদ্দেকের নৈপুণ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বন্যার কবল থেকে রক্ষায় রেলপথে সেতু চায় ছাতকের মানুষ
বন্যার কবল থেকে রক্ষায় রেলপথে সেতু চায় ছাতকের মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল
তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী
ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের
আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগে ভিপি সাইফুল ইসলাম
তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগে ভিপি সাইফুল ইসলাম

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আফগানিস্তানে বিস্ময়করভাবে কমেছে আফিম চাষ: জাতিসংঘ
আফগানিস্তানে বিস্ময়করভাবে কমেছে আফিম চাষ: জাতিসংঘ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না
জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

দেশগ্রাম

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা