শিরোনাম
বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

রপ্তানিকারকদের সুমতি হোক

অপকৌশল বন্ধের উদ্যোগ সফল হোক

চিংড়ি ও মাছ বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য; যা রপ্তানি করে দেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। দেশে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু চিংড়িসহ মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানিতে একশ্রেণির রপ্তানিকারক নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়ায় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছে। এর ফলে ইউরোপের দেশগুলোয় বাংলাদেশের চিংড়ি ও মৎস্যজাত পণ্যের বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। এ হুমকি ঠেকাতে সরকার মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানিতে অসাধুতার আশ্রয় নেওয়ার পথ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে চিংড়িসহ রপ্তানিজাত মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য মাছের সঙ্গে লোহার পেরেক, জেলি কিংবা সাগু মেশালে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। স্মর্তব্য, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক আমলের কিছু অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আইনটিতে কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে। এতে মৎস্যপণ্যে কোনো কিছুর মিশ্রণ ও ভেজাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি অমান্য করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকার জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সাজার পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। বিদ্যমান আইনে এ সাজার পরিমাণ ছিল তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। আইনটি রপ্তানিকারকদের মৎস্যপণ্যের ওজন বাড়ানোর কারসাজি থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করবে- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের মৎস্যজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়বে। চিংড়ি চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য যেমন পাবেন তেমন সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। তবে আইন পাস শুধু নয়, তার বাস্তবায়নেও সরকারকে তীক্ষè নজর রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর