শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ আপডেট:

আলোকিত বাংলাদেশ দেখব কবে?

সামিয়া রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আলোকিত বাংলাদেশ দেখব কবে?

আপনাদের কানে ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই পৌঁছে গেছে, আমরা বাংলাদেশের মানুষ বছরে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় করছি শুধু ওয়াসার দেওয়া পানি ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য। টিআইবি বলছে, ওয়াসার পানি পানযোগ্য নয়, তাই গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে নিই আমরা। আমি জানি না, এ তথ্য আপনাদের মনে দাগ কাটে কিনা, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, অদক্ষতার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের কি বিশাল অপচয় হয়, জনগণের কি বিপুল শ্রম ও অর্থ নাশ হয়। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ কোনো কিছুই তো বিনামূল্যে নয়। দাম দিয়ে আমরা কিনি। তবে পানি শুদ্ধ পাব না কেন? কেন বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন পাওয়া যাবে না? চিন্তা করুন তো, যখন গ্যাস ফুরিয়ে যাবে, তখন কী হবে!

টিআইবির রিপোর্টমতে, ওয়াসার ৬১.৯ শতাংশ গ্রাহকই বিভিন্নভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। টিআইবির তথ্য মানা না মানা, আমাদের নিজস্ব চিন্তা। কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন কি, এই গ্যাস খরচ করে পানি ফুটানোর চিত্র কি আপনার আমার সবার ঘরের চিত্র নয়?

এদিকে সম্প্রতি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২২টি খাতে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুদক। অবৈধ সংযোগ, নতুন সংযোগে অনীহা, অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না  নেওয়া,  বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেওয়া, মিটার টেম্পারিং, এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো ইত্যাদি অজস্র খাতে দুর্নীতি দেদার চলছে বলে দুদকের ভাষ্য। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, এ বিষয়ে সরকার খুবই অসন্তুষ্ট এবং এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দুদক যে সুপারিশ করেছে সার্বিকভাবে তা খুবই গ্রহণযোগ্য। তিতাসের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর মতে, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রধান চ্যালেঞ্জ তিনটি। প্রথমত, শতভাগ বিদ্যুতায়ন। দ্বিতীয়, নিরবচ্ছিন্ন  বিদ্যুৎ সরবরাহ। তৃতীয়ত, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ। যদিও দেশে সব সূচকে বিদ্যুৎ খাতের পরিবর্তন দাবি করা হচ্ছে এবং গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, সঞ্চালন, বিতরণ, গ্রাহক সক্ষমতা সংখ্যার হিসাবে অনেক বেড়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭। এখন হয়েছে ১৩০টি। ২০০৯ সালে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৯৪২ মেগাবাইট। এখন ২০১৯ সালে সেটি হয়েছে ২১,২৪২ মেগাবাইট। বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী যদি শতকরা হিসাবে ধরি, ২০০৯ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ। আর এখন ৯৩ শতাংশ। কিন্তু এত সক্ষমতার পরও জনমনে কিছু প্রশ্ন আছে। কেন এখনো গ্রাম, শহর প্রায়শই ঢাকা পড়ে অন্ধকারে! শুধুই কি মানসম্মত সঞ্চালন/বিতরণ ব্যবস্থার জটিলতা!

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর মতে, চেষ্টা হচ্ছে সমস্যা সমাধানের। বরং আগের থেকে ভালো অবস্থায় আছে দেশের বিদ্যুৎ খাত। উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার লেগেছে প্রায় ৬০ বছর, সেখানে বাংলাদেশ হয়তো আরও আগেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। সমস্যা হচ্ছে সিস্টেম পুরনো, আর বাংলাদেশ খাল-বিল, নদী-নালার দেশ। তার ওপর ঝড়-ঝঞ্ঝা  প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব মোকাবিলা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতে যাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য অর্থ যেমন প্রয়োজন, প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ এবং অবশ্যই মনমানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আশা করেন, বিদ্যুতায়নের দিক থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ হয়তো শতভাগে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। তার মতে, আগে দেশে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। সে অবস্থা থেকে বের হয়ে এখন সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ থাকছে না শহর এলাকায়। গ্রামে এ বিচ্ছিন্নতা ২-৩ ঘণ্টা। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে সঞ্চালনব্যবস্থায় ক্ষতি হলে তৎক্ষণাৎ করার কিছু থাকে না। এর সমাধান কঠিন, তবে অসম্ভব নয় বলে প্রতিমন্ত্রী নিজেই দাবি করেন।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিদ্যুৎ পেতেই যে দেশে উৎকোচ দিতে হয়, সেখানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হবে কীভাবে? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অবশ্য উল্টো বলেন, মানুষ কেন ঘুষ দেয়? কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেউ কি সেধে ঘুষ দেয়? যারা এর ব্যবস্থাপনায় আছেন তারা কি তবে নিষ্পাপ! আর অপরাধী শুধু গ্রাহকরা! তবে প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেন, মাঠ পর্যায়ে এ অভিযোগ আছে। তার পরও তাদের শতভাগ চেষ্টার কমতি নেই। প্রতিমন্ত্রীর বিশ্বাস, যত দ্রুত প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া যাবে, তত দ্রুতই দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন বসানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

বিদ্যুৎ চুরি বা অপচয় প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, এটি অনেকটাই কমে গেছে। ১০-১২ বছর আগে এ দেশে সিস্টেম লস ছিল শতকরা ৪৪ ভাগ। এখন তা শতকরা ১১-১২ ভাগে নেমে এসেছে। খুলশীর মতো কোনো জায়গায় তা ৭ ভাগ পর্যন্ত হয়েছে। সিঙ্গেল ডিজিটে পৌঁছানোর জন্য সামগ্রিক সিস্টেমের উন্নয়ন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৪৫০ কিলোওয়াট। যদি মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশ পৌঁছতে চায়, তবে তার ব্যবহার বাড়াতে হবে ১২০০ থেকে ১৫০০ কিলোওয়াটে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করলেও ১৩ হাজার কিলোওয়াট। বাংলাদেশ এখনো বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক আছে। যার যত ব্যবহার বিদ্যুতে, মানব উন্নয়ন সূচকে সে ততখানি এগিয়ে।

কিন্তু জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বরং মনে করেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের কৌশলের ক্ষেত্রে সরকার বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে। সরকার তথ্য সংকটে ভুগছে। স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৃত তথ্য না দিয়ে সরকারকে অন্ধকারে রাখছে বলে তিনি মনে করেন। ২০১৭ সালে যখন বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন বলা হয়েছিল পাইকারি বিদ্যুতে ঘাটতি এসেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। এক বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়ে গেল ৮ হাজার কোটি টাকায়। ড. আলমের প্রশ্ন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যারা কাজ করছেন, তারা সরকারকে কি ব্যাখ্যা করে বলতে পারবেন এক বছরের ব্যবধানে কীভাবে শতকরা ১০০ ভাগ ব্যয় বৃদ্ধি হয়?

অবশ্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার অন্ধকারে নেই। বিভ্রান্তিতে আছেন তারা, যারা বাইরে কাজ করছেন। তার দাবি, সরকার সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে, সেটা সোলার করে হোক, গ্রিড লাইনেই হোক। যত দ্রুত তা দেওয়া সম্ভব হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন তত দ্রুত হবে। ভর্তুকির কারণ হলো, গ্রাহকদের একটি বড় অংশ লাইফ লাইনের মধ্যে থাকে, অর্থাৎ যাদের বিল ৫০ টাকার নিচে। অর্থাৎ ২ টাকার নিচে তাদের চার্জ করা হয়। এখান থেকে এখনই বের হওয়া সম্ভব নয়। যত বেশি বিতরণ হচ্ছে গ্রাহকের সংখ্যা কিন্তু কমছে না, বরং বাড়ছে। আর ভর্তুকি তাদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে যারা হতদরিদ্র। তাদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হচ্ছে এবং সেই বিদ্যুৎ যেন তারা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে। এই লাইফ লাইনের বড় অংশকে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে এটিকে ভর্তুকি মনে হচ্ছে, কিন্তু অন্য দৃষ্টিতে সরকার বিনিয়োগ করছে তার দেশের জনগণের ওপর। এ বিনিয়োগ আবার জিডিপিতে প্রভাব ফেলছে।

কিন্তু বিতর্কটি ভর্তুকি বিরোধিতা নিয়ে নয়, যে হিসাবের মধ্য দিয়ে ভর্তুকির অঙ্ক নির্ধারিত হচ্ছে, প্রশ্ন হচ্ছে সেই অঙ্ক নিয়ে। সাপ্তাহিকের সম্পাদক গোলাম মর্তুজার মতে, জ্বালানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেল কেনে, তেলের দাম নির্ধারণ করে, তেলের ক্ষেত্রে তারা ভর্তুকির হিসাব দেখায়। কিন্তু খোদ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের বিরুদ্ধে তেল কেনা, দাম নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন আছে, প্রশ্ন আছে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার বা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কেউ কি বিপিসির কার্যক্রম তৃতীয় কোনো পক্ষ বা নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে অডিট করে দেখেছে? আবার যখন বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয় ৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা সম্ভব। উল্টো সেখানে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা সাশ্রয়ের কথা বলছেন, আমাদের মন্ত্রণালয় বা সরকার কি কখনো এটি যাচাই-বাছাই করে দেখেছে? কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর মতে, সরকার ভর্তুকিকে বিনিয়োগ মনে করে। ধরা যাক, একটি গ্রামে ১০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুতের লাইন টেনে ট্রান্সফরমার লাগিয়ে ১০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ দেওয়া হলো। ওই ১০টি বাড়িতে বিদ্যুতের যে বিল আসবে, আগামী ১০০ বছর বিল দিলেও সে খরচ উঠবে না। একে লাভজনক চিন্তা করলেই ভুল। সামগ্রিকভাবে লাভজনক বিনিয়োগ কিনা তা ভাবতে হবে।

বলা হচ্ছে, আমাদের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। কিন্তু যখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, বলা হচ্ছে সমস্যা হচ্ছে সঞ্চালনে। সামনে রমজান মাস। সে মাসের বাড়তি চাহিদা তবে পূরণ হবে কীভাবে, যদি সঞ্চালনেই সমস্যা থাকে!

২০০৯ থেকে ২০১৯ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হয়েছে ঢের। কিন্তু গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা কি মাথায় রাখছে সরকার? যদিও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর হিসাবে এই ১০ বছরে বিতরণ হয়েছে শতকরা ৯৩ ভাগ আর গ্রাহক সন্তুষ্টি তাদের গবেষণায় ৮২ ভাগ। এখনই এ মুহূর্তে যদি আমরা শতকরা ১০০ ভাগ গ্রাহক সন্তুষ্টি আশা করি, সেটি অতিরিক্ত প্রত্যাশাই হয়ে যায়।

কিন্তু প্রশ্ন আসে, যদি অর্থের বিনিময়ে আমরা সেবা নিই, তবে তার সন্তুষ্টি কি ১০০ ভাগ হওয়া উচিত নয়? অবশ্য প্রতিমন্ত্রীর মতে, ১০০ ভাগ পাওয়া সম্ভব যদি আমরা সিলিন্ডারে চলে যাই। ফ্রি গ্যাস তো সরকার দেবে না। কিন্তু কোনো কিছুই কি বাংলাদেশের জনগণ বিনামূল্যে নিচ্ছে বা পাচ্ছে? ডেইলি অবজারভারের প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ বেগমের মতে, গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয় বাংলাদেশের সংবিধানে আছে। একসময় বলা হচ্ছিল সরকার ব্যবসা করবে না। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে সরকার গত ১০ বছর ধরে দেখতে শুরু করেছে। জনতা নিশ্চয়ই রাতারাতি পাল্টাবে না। জনতাকে স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে সবকিছুর জন্য দিতে হবে চড়া বিনিময় মূল্য।

অরুণ কর্মকারের (চেয়ারম্যান, ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ) বরং প্রশ্ন, আমাদের দেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ কি কেউ কখনো করেছে? আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে সোচ্চার হই, যেমন দাম বাড়ানো নিয়ে কথা বলি, কিন্তু বৃহৎ পরিসরে আমাদের দেশের কোনো অর্থনীতিবিদ বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের আর্থিক বিশ্লেষণ করেননি। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের উন্নয়নের প্রাপ্তি নিয়ে বরং প্রশ্ন তোলেন তিনি। আমাদের এত উন্নয়ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রমজান মাসের ব্যবস্থাপনা সেই ২০০৯-এর সুপারিশেই চলছে। ২০০৯-এ যে সুপারিশগুলো ছিল- একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে, বেশি লাইট জ্বালানো যাবে না- আজ ২০১৯-এও যদি সেই একই সুপারিশ থাকে তবে উন্নয়নের প্রাপ্তি কী?

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, মিতব্যয়ী হওয়া ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে যদি সায়ও দিই, তবে জানতে চাই, একদিকে মন্ত্রী চান বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়–ক, মানব উন্নয়ন সূচকে তবে আমরা এগিয়ে যাব। আবার অন্যদিকে যদি মিতব্যয়িতার প্রশ্ন ওঠে, তবে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব! অস্বীকার করার কি কোনো উপায় আছে যে, আলোকিত পৃথিবীর সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক নেই? তবে একই সঙ্গে মিতব্যয়িতা আবার বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব কি সাংঘর্ষিক হয় না? অবশ্য আমাদের চৌকস বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ব্যবহার বাড়ানো উচিত চাহিদামাফিক এবং আমাদের সক্ষমতামাফিক। তার মতে, বাংলাদেশের জনগণ দিনে কম আর রাতে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। দিন ও রাতের তফাত ৪ থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট। এই ব্যবহারের ধরন নাকি উন্নত দেশের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সরকার চায় দুটোর মধ্যে ভারসাম্য।

বিদ্যুৎ নিয়ে জানা-অজানায় আমাদের অভিযোগের অন্ত নেই। কারণও আছে। তবে কিছু অদ্ভুত কারণও এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়। মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কল ড্রপের দায়ভার চাপিয়েছে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর। তাদের অভিযোগ, টাওয়ারে বিদ্যুৎ থাকে না। একবারে গেলে ১৫-২০ ঘণ্টার আগে আসে না। তাদের নিজস্ব সিস্টেমে তারা ৮ ঘণ্টার বেশি চালু রাখতে পারে না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী উল্টো মোবাইল কোম্পানিগুলোকে অভিযোগ করে বলেন, ১০০ মানুষের জন্য যে সিস্টেম সেবা তারা দিতে পারত, সেই সেবা তারা দিচ্ছে ৫০০ লোকের কাছে। আদতে মোবাইল কোম্পানিগুলো জনগণকে নিজস্ব সক্ষমতার অভাবে সঠিক সেবা দিচ্ছে না বলে মন্ত্রী  অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে গত ১০ বছরে অনেক চিন্তাভাবনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, সোলার বিদ্যুতে কি বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারবে? প্রাইভেট সেক্টরে ৫০-এর অধিক প্রতিষ্ঠানকে সোলার পাওয়ার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর মতে, হচ্ছে না তার কারণ হলো ভারতের চেয়ে আমাদের রোদের আলোর তীব্রতা কম, জমির স্বল্পতা সবচেয়ে বড় একটি বাধা। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষিজমিতে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে না। এর জন্য প্রয়োজন ৪০০ একর অকৃষিযোগ্য জমি। এ জমি পাওয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। চরও ব্যবহার করা যাচ্ছে না, কারণ চর থেকে যে লাইন আনা হবে, সেই গ্রিডে যে পরিমাণ লোকসান হবে সেটাও ভাবনার বিষয় বৈকি। তার পরও সৌরবিদ্যুৎ দিন শেষে লাভজনক। ক্যাপাসিটি চার্জও এখানে দিতে হবে না। কিন্তু জমির স্বল্পতা সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েই থাকছে।

আমরা সমুদ্রসম্পদ জয় করেছি। কিন্তু গভীর সমুদ্র থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলনে কার্যকর উদ্যোগ পাইনি। ওদিকে মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন শুরু করে দিয়েছে। সরকার বলছে দুটো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা সার্ভেও করেছিল, কিন্তু বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় তারা আবার চলে গেছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানই গভীর সমুদ্রে কাজ করে যারা বিনিয়োগে ঝুঁকি নিতে পারে। আবার সমুদ্র থেকে তেল-গ্যাস পাওয়া গেলেও আনা হবে কীভাবে, আর তখন এর যে দাম হবে, সেই দাম দিয়ে কে কিনবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন এবং ঝুঁকিও বটে। আমরা শর্ত দিয়ে রেখেছি যে এই গ্যাস বাইরে বিক্রি করব না। কিন্তু গভীর সমুদ্র থেকে নিয়ে আসার পরে, এর যে দাম হবে সেই দাম দিয়ে যদি আমরা না কিনি তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!  প্রতিমন্ত্রীর মতে, বৈষম্যমূলক পিএসি চুক্তিও সংশোধন করা দরকার এবং এই সংশোধন ইতিমধ্যে করা হচ্ছে।

সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রথম পরিকল্পনা ছিল সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় ৩৫০-৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে আসা হয়েছে। সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় চলে গেছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েই বলেন, আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ যথেষ্ট সাশ্রয়ী হবে, কারণ বড় পাওয়ার প্লান্ট সব চলে এসেছে। কাজ শুরু হয়ে যাবে আগস্টেই।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রাহক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা, পাইপলাইন গ্যাসের সঙ্গে সংযুক্ত ৪০ ভাগ আর বাইরের এলপিজি ব্যবহার করা ৬০ ভাগ জনগোষ্ঠীর দামের বৈষম্য নিরসনে সরকারের ভূমিকা, বিদ্যুতের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয়, উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানির খরচ, মানসম্মত সঞ্চালন-বিতরণ ব্যবস্থা ইত্যাদি অভিযোগ বা প্রস্তাব আছে অজস্র। অস্বীকার করা যাবে না যে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে আমরা অনেকখানি এগিয়েছি, কিন্তু আবার এও স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশকে যদি আমরা মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে দেখতে চাই, তবে যেতে হবে বহুদূর। ছেঁটে ফেলতে হবে দুর্নীতি, অনিয়ম, অদক্ষতার আগাছাগুলো। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা আবার এও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মেগা প্রকল্প দরকার। কিন্তু অনেক প্রকল্প থেকে হাজারো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সিস্টেমের ওপর চাপ পড়তে পারে। সেদিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। বিদ্যুৎ আমাদের চাই, গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা চাই। অস্বীকার করা যাবে না যে, অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ অপচয়, কারিগরি সিস্টেম লস, দুর্নীতির কারণে সিস্টেম লস, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা ইত্যাদি হাজারো সীমাবদ্ধতা আছে আমাদের। প্রশ্ন এখন একটাই- মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য আর কতটা সময় লাগবে আমাদের? উন্নত বিশ্বের মতো আলোকিত বাংলাদেশ দেখার সৌভাগ্য নিশ্চয়ই এ জন্মেই আমাদের হবে।

 

                লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টি ভি তে
টি ভি তে

মাঠে ময়দানে