বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোরআনসহ আসমানি কিতাব নাজিলের মাস

মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন

রমজান আল্লাহর পছন্দের মাস। আল্লাহ এ মাসে আল কোরআনসহ বিভিন্ন আসমানি কিতাব মানব জাতিকে দান করেছেন। বান্দার গুনাহ মাফের মাসও রমজান। ‘রব্বুল আলামিন রমজানেই নাজিল করেছেন কোরআন, যাতে মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ শাস্তি ও পুরস্কারের পার্থক্য নিরূপণ করতে পারে। যাতে রয়েছে হেদায়েত-প্রাপ্তির আহ্বান।’ সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫।

আল কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘রোজা আমার জন্য আর আমি নিজে এর প্রতিদান দেব।’ যার অর্থ হচ্ছে, রোজা ছাড়া অন্যান্য আমলের নেকি ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করেন। কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম। রোজার প্রতিদান বান্দাকে আল্লাহ নিজের কুদরতি হাতে দান করবেন।

সুনানে বায়হাকির বর্ণনামতে হজরত সালমান ফারসি (রা.) বলেন, একবার রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের শেষ তারিখে ভাষণদান করলেন এবং বললেন, ‘হে মানবম-লী! তোমাদের প্রতি ছায়াদান করছে একটি মহান মাস যা মোবারক মাস। এ মাস এমন মাস যাতে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’ বস্তুত রমজানের ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।

তিরমিজিতে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম রাত থেকেই এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকেন “হে ভালোর (নেকির) অন্বেষণকারী অগ্রসর হও, হে মন্দের অন্বেষণকারী থামো।” আল্লাহতায়ালা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে দোজখ থেকে মুক্তি দেন, আর এ আহ্বান প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।’ এ হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ রমজানের প্রতি দিনরাতেই বান্দাদের নাজাত দান করেন।

বায়হাকিতে হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মাঝের ভাগ মাগফিরাত আর শেষ ভাগ হচ্ছে দোজখ থেকে মুক্তি।’ এ বর্ণনার দ্বারা মাগফিরাতের জন্য রহমত, নাজাতের জন্য মাগফিরাতকে শর্ত করে দেওয়া হয়নি। আল্লাহতায়ালা মাহে রমজান আমাদের নেক আমল এবং কোরআন-হাদিসের সহি জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

সর্বশেষ খবর