সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অপরাধ করে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন

মাওলানা আব্দুর রশিদ

আল্লাহ ক্ষমাশীল। তওবাকারীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন। বান্দা অপরাধ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রত্যেক আদম সন্তানই অপরাধী। উত্তম অপরাধী তারাই যারা তওবা করে, ক্ষমা চায়। (আবু দাউদ, হাদিস সহিহ, মিশকাত, হা/২৩৪০, বাংলা মিশকাত হা/২২৩৭)।

এ হাদিস দ্বারা বোঝা গেল যে সবচেয়ে উত্তম ওই ব্যক্তি যে অপরাধ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তার কাছে তওবা করি। (বুখারি, মিশকাত হা/২৩২৩)।

আগার মুযানী (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : হে মানবম-লী! আল্লাহর কাছে তওবা কর। আমি দৈনিক একশবার তাঁর নিকট তওবা করি। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫, বাংলা মিশকাত হা/২২১৭)।

হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহতায়ালা বলেন, হে আমার বান্দারা! তোমরা অপরাধ করে থাক রাত-দিন। আমি সব অপরাধ মাফ করে দেই। সুতরাং তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও। আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৬, বাংলা মিশকাত হা/২২১৮)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল যে ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য বের হলো এবং একজন দরবেশের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল এরূপ ব্যক্তির জন্য তওবা আছে কি? তিনি বললেন, নেই। সে তাকেও হত্যা করল। এবং বারবার লোকদের জিজ্ঞেস করতে লাগল। এক ব্যক্তি বলল, অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞেস কর। এ সময় তার মওত এসে গেল এবং মৃত্যুকালে সে স্বীয় বক্ষকে ওই গ্রামের দিকে কিছু বাড়িয়ে দিল। অতঃপর রহমতের ফেরেশতা দল ও আজাবের ফেরেশতা দল পরস্পর ঝগড়া করতে লাগল। কারা তার রুহ নিয়ে যাবে। এ সময় আল্লাহতায়ালা ওই গ্রামকে বললেন, তুমি মৃতের কাছে আস আর তার নিজ গ্রামকে বললেন, তুমি দূরে সরে যাও। অতঃপর ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা উভয়দিকে দূরত্ব মেপে দেখ। মেপে তাকে এই গ্রামের দিকে এক বিগত কাছে পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে মাফ করে দেওয়া হলো। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৭, বাংলা মিশকাত হা/২৩১৯)।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর