মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

হারাম শরিফের মর্যাদা

মুহম্মাদ আশরাফ আলী

রব্বুল আলামিন আল্লাহ কাবাঘর বা হারাম শরিফকে সুমহান মর্যাদা দিয়েছেন। হারাম শরিফকে কেন্দ্র করে হজ পালন করা হয়। আরব উপদ্বীপের মক্কা নগরীতে এই পবিত্র ঘর অবস্থিত। বুখারির হাদিসে এ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের দিন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ভাষণে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মক্কা এলাকাকে সপ্তম আকাশ ও ভূম-ল সৃষ্টি করার দিন থেকেই হারাম শরিফ সাব্যস্ত করেছেন। অতএব, আল্লাহর সেই সাব্যস্তকরণ অনুসারেই কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম শরিফ হিসেবে অক্ষুণœ থাকবে। সেমতে এ এলাকায় আমার আগেও যুদ্ধবিগ্রহ হালাল ছিল না, আমার পরেও কারও জন্য হালাল হবে না। একমাত্র আমার ক্ষেত্রে এক দিনের অল্প সময়ের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তা হালাল করা হয়েছিল। মক্কার কোনো গাছের একটি কাঁটা ভাঙাও নিষিদ্ধ, এ এলাকায় কোনো বন্যজন্তু তাড়া করাও নিষিদ্ধ এবং এখানকার পথে পাওয়া কোনো বস্তু মালিকের সন্ধানলাভের জন্য বিশেষরূপে ঢোলশোহরত করার উদ্দেশ্য ছাড়া উঠিয়ে নেওয়াও নিষিদ্ধ। মক্কার কোনো ঘাস, পাতা-লতা ছিন্ন করাও নিষিদ্ধ। তখন আব্বাস (রা.) বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! এজখের নামীয় ঘাস এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখুন। কারণ, এ ঘাস আমাদের ঘরের জন্য এবং কর্মকারদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আচ্ছা এজখের ঘাস এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হলো। পবিত্র কাবাঘরে যারা হজ ও ওমরা পালন করতে যান তারা জমজমের পানি পান করার তাগিদ অনুভব করেন। আনুমানিক হিসাবে ৫ হাজার বছর আগে এ কূপের সৃষ্টি হয়। হজ পালনের মাধ্যমে মানুষ কলুষতা থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। হজরত আবু হোরাইরা বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করতে যাবে এবং সর্বপ্রকার অশোভনীয় ও গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকবে, হজ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে ওই ব্যক্তির অবস্থা এমন হবে যে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে সে এরূপ বেগুনাহ হয়ে গেছে, যেরূপ বেগুনাহ মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন ছিল। বুখারি। আল্লাহ আর্থিক দিক থেকে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানকে হজ পালনের তাওফিক দান করুন।

                লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর