শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাথা নত না করার চেতনা

সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের ফসল

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল জাতি হিসেবে বাঙালি কারও কাছে মাথা নত করবে না। এই চেতনা বাঙালিকে সাহস জুগিয়েছে। প্রবল প্রতিপক্ষ দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। জনগণের বাহিনী হিসেবে এ বাহিনীর আত্মপ্রকাশ। এই গর্বিত পরিচয় সশস্ত্র বাহিনীর চলার পথ প্রশস্ত করেছে। আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা দুনিয়াজুড়ে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে কাজ করে যেতে হবে। সেনা সদস্যদের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগও সেনা সদস্যরা বুক চিতিয়ে মোকাবিলা করছেন। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়েও তারা প্রশংসনীয় কাজ করছেন। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রশংসা পেয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সিলেট, কক্সবাজারের রামু ও বরিশালে পৃথক তিনটি পদাতিক ডিভিশন গড়ে তোলা হয়েছে। বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা ব্যবহারে নৌবাহিনী কাজ করছে। দেশে তাদের যুদ্ধজাহাজ বানানোর কাজ চলছে। বিমানবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নত উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রযুক্তি ও আধুনিক উপকরণের মাধ্যমে প্রতিটি বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকার অনুষঙ্গ হিসেবে ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পেশাগত দক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাহিনীর সামর্থ্য বাড়ানোর দিকটাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিদিনই নিজেদের অতিক্রম করার সাফল্য দেখাবে- এমনটিই দেখতে চায় দেশের প্রতিটি মানুষ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর