বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদক আগ্রাসন

সততার সংকট দূর করতে হবে

মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর মনোভাব সম্পর্কে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। তবে বাস্তবতা হলো, ক্রসফায়ার ও কঠোর শাস্তির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও মাদক পাচারকারীরা বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যত কড়া হোক, মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা তার একাংশের সততার সংকট মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের টিকিয়ে রাখছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের সহযোগী ভূমিকাও জিইয়ে রাখছে মাদক আগ্রাসন। বিশেষ করে ইয়াবা নামের মাদক দেশের যুবসমাজের একাংশকে যেভাবে নিজেদের দাসানুদাস বানিয়ে চলছে তা উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতেও ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরব ছিল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। ঈদ উদ্যাপনে প্রশাসনের শিথিলতা কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার থেকে বানের পানির মতো আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। এ সময় ইয়াবা পাচারের অন্তত ৫০টি চালান আটকও করেছে প্রশাসন। জব্দ হওয়া এসব ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছিল। যার বেশির ভাগ চালানই আটক করা হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে। ঈদের ছুটিতে ছোট-বড় ৭টি ইয়াবার চালান আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে কোনো উৎসবের আগে-পরে মাদকের চাহিদা বাড়ে। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের ধারণা ছিল ঈদের ছুটিতে প্রশাসনের কঠোরতা শিথিল থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তারা। সম্প্রতি জব্দ ইয়াবা চালানের বেশির ভাগই এসেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে। এসব চালানে ব্যবহার করা হচ্ছে নারী কিংবা রোহিঙ্গা নাগরিকদের। মাদক পাচারের বাহকরা ধরা পড়লেও মূল হোতারা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাদক আগ্রাসন রোধে মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে নিজেদের বিবেক বিক্রি না করে দেশ ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর