সোমবার, ৩১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা

দেশের সুনাম বয়ে আনছে সেনাসদস্যরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে বাংলাদেশ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদাপ্রস্তুত। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদান এখন বিশ্ব পরিসরে স্বীকৃত এবং নন্দিত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং পাকিস্তানি দুঃশাসনাধীনে সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের উপেক্ষার চোখে দেখা হতো। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা স্পৃহার জন্য ব্রিটিশরা সেনাবাহিনীতে তাদের নিতে ভয় পেত। বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে সামরিক বাহিনীতে পাকিস্তান আমলে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছিল। ইতিহাসের বিচারে বাঙালিরা ভারতবর্ষের যে কোনো প্রান্তের অধিবাসীদের চেয়ে বীর জাতি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতিসংঘের বিশ্বশান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জড়িত হয় ১৯৮৮ সালে। সময়ের বিবর্তনে বেশ কয়েকবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ১২২ দেশের ৮০ হাজার ১৮৪ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৬ হাজার ৭৪২ জন বাংলাদেশের। এ সংখ্যা বিশ্বে নিয়োজিত মোট শান্তিরক্ষীর ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৮৪ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্বশান্তি রক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪০টি দেশে ৫৫টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে আটটি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত। এ ছাড়া দক্ষিণ সুদানে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল পদবির এবং কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও দক্ষিণ সুদানে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা কর্তব্যপরায়ণতা, মানবসেবা ও সাহসিকতার মাধ্যমে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন।  বিদেশে তারা বাংলাদেশের দূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।  এ অর্জন ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যত্নবান হবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর