বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মন্দের প্রতি মানুষের আকর্ষণ

তসলিমা নাসরিন

মন্দের প্রতি মানুষের আকর্ষণ

১. মানুষ শেখে। জন্ম থেকে শিখতে শুরু করে, মৃত্যু অবধি শেখে। কোথাও কেউ আত্মহত্যা করলে আশপাশে অনেকেই আত্মহত্যা করে বসে। পরীক্ষার খারাপ ফলের কারণে একজন ছাত্র আত্মহত্যা করলে দেখা যায় আরও কয়েকজন একই কারণে আত্মহত্যা করে। জাপানের ফুজি পাহাড়ের তলায় ওকিগাহারা অরণ্যে কবে কে আত্মহত্যা করেছিল, তারপর থেকে আজও ওই অরণ্যে মানুষ যায় আত্মহত্যা করতে। প্রতিবছর ভারতের বারো হাজার কৃষক আত্মহত্যা করছে। সেই ১৯৯৫ থেকে শুরু। এখনও চলছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, সন্ত্রাসী সব কান্ডও সংক্রামক। মানুষের ভিড়ের মধ্যে এক সন্ত্রাসী ট্রাক চালিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্সের নিস শহরে, এরপর একই পদ্ধতিতে শুরু হয়ে গেল অন্য শহরেও সন্ত্রাসী আক্রমণ। বার্লিনে, লন্ডনে, স্টকহোমে, বার্সেলোনা, ভার্জিনিয়ায়।

নারীকে অসম্মান করা, অপমান করা, নারীকে অপদস্থ করা, হেয় করা, হেনস্তা করাও মানুষ শেখে। কোথাও কোনও মেয়েকে অকথ্য গালাগালি করা হলো, শুরু হবে অন্য মেয়েদের ওপরও গালিবর্ষণ। মন্দের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অপ্রতিরোধ্য।

ধর্ষণও কি শেখে? ধর্ষণও শেখে। প্রায় প্রতিদিন ধর্ষণ করছে পুরুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধা কাউকে বাদ দিচ্ছে না। মনে আছে জাকিয়া সুলতানা রূপা নামের এক মেয়েকে চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণ করার পর মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে বাসের ড্রাইভার, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টররা। তারা নিশ্চয়ই দিল্লির বাসে জ্যোতি সিং বা নির্ভয়ার গণধর্ষণের খবর জানতো। খবরটি তো বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হয়েছিল। ভয়াবহ খবরগুলো মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার করা হয়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বড় রকম প্রতিবাদ হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্য দিল্লির বাসের ওই নৃশংস গণধর্ষণের প্রতিবাদ যতই হোক, প্রতিবাদে আকৃষ্ট না হয়ে পুরুষ আকৃষ্ট হয়েছে ধর্ষণে। পুরুষ শিখে গিয়েছে কী করে ধর্ষণ এবং নৃশংসতা একই সঙ্গে চলন্ত বাসের ভিতর করতে হয়। গণধর্ষণ করে কী করে মেয়েটিকে ফেলে দিতে হয় বাইরে। জ্যোতি সিংকে ফেলেছিল রাস্তার কিনারে, রূপাকে ফেলেছিল জঙ্গলে। জ্যোতি সিং তখনও মরেনি। রূপার ধর্ষকরা রূপার মাথা থেঁতলে রক্ত বইয়ে দিয়ে মেরেছে নিশ্চিন্ত হয়ে তবে গেছে। একটি ঘটেছে দিল্লিতে, আরেকটি ঘটেছে টাঙ্গাইলে। একটিতে ধর্ষকরা হিন্দু, ধর্ষকদের শিকারও হিন্দু। আরেকটিতে দুই পক্ষই মুসলিম। ধর্ষণ সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব ভাষার, সব দেশের, সব সংস্কৃতির মানুষই করে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই করে। আজ কোথাও শিশু ধর্ষণ ঘটলে পর পর অনেকগুলো শিশু ধর্ষণ ঘটবে। জ্যোতি সিংয়ের যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়েছিল ধর্ষকরা। জ্যোতি সিং যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে, সে সময় এক বয়স্ক লোক তার ঘরে চার বছরের এক শিশুকে কয়েকদিন আটকে রেখে ধর্ষণ তো করেইছিল, শিশুটির যৌনাঙ্গে শিশি বোতল ঢুকিয়েছিল। লোকটি হাতের সামনে লোহার রড পেলে হয়তো লোহার রডই ঢোকাত শিশুটির অঙ্গে।

দাঙ্গার খবর বেরোলে দাঙ্গা বাঁধে। ধর্ষণের খবর বেরোলে ধর্ষকরা নতুন উদ্যমে ধর্ষণে মাতে। তাহলে কি খবরগুলো বেরোনো উচিত নয়? মানুষের জানা উচিত নয় কোথায় কী ঘটছে? তথ্য জানার অধিকার সব মানুষের আছে। এক সময় ধর্ষণকে অপরাধ বলে বিবেচনা করতো না মানুষ। কিন্তু ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রতিবাদ হওয়াতে মানুষ অনেকটাই সচেতন, অধিকাংশ মানুষই এখন মনে করে ধর্ষণ জিনিসটা ভালো নয়। ধর্ষণ, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ধর্ষকদের শাস্তি-এসব খবর শুনে কিছু লোক থাকেই যারা সচেতন তো হয়ই না, বরং উল্টো হয়। তারা বরং ধর্ষণ করে। যে বাসটিতে রূপাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই বাসের নাম ছিল ‘নিরাপদ’। বাসে লেখা ছিল ‘গড ব্লেস ইউ’। সবচেয়ে অনিরাপদ বাসটির নাম ‘নিরাপদ’। রূপা যাচ্ছিল বগুড়া থেকে ময়মনসিংহে, কর্মস্থলে। গন্তব্যে তাকে পৌঁছুতে দিল না বাসের পাঁচটি পুরুষ। রূপা মেয়েটি গরিব ঘর থেকে নিজের চেষ্টায় পড়াশোনা করেছে, বিভিন্ন পরীক্ষায় পাস করেছে। আইনের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিল। ওদিকে আবার পাশাপাশি চাকরি করছিল। এরকম কর্মঠ, নিষ্ঠ, শিক্ষিত, স্বনির্ভর মেয়ে-যার মনোবল ছিল অগাধ, শুধু শরীরের জোরে তাকে পরাস্ত করলো একপাল খুনি। ধর্ষণ যতটা যৌন সঙ্গম, তারও চেয়ে বেশি পেশি আর পুরুষের জোর, তারও চেয়ে বেশি পুরুষের ভিতরকার নারীবিদ্বেষ। খুনিগুলো ধরা পড়েছে। যেহেতু খুনিগুলো ধনী নয় খুব, জলদি ছুটেও আসতে পারবে না জেল থেকে। যত কঠিন শাস্তিই রূপার ধর্ষকরা পাক, রূপা তো ফিরে আসতে পারবে না আর। তার এতদিনকার সংগ্রামের সুফল ভোগ করতে পারবে না।

ধর্ষণে, খুনে, নির্যাতনে, অত্যাচারে এভাবেই মেয়েরা একের পর এক হারিয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা যাদের সঙ্গে বাস করে, যাদের ভালোবাসে, যাদের সঙ্গে পথ চলে-তারাই মেয়েদের হত্যা করে। নিজের খুনির সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনও প্রাণী কি বাস করে এত ঘনিষ্ঠভাবে? আমার জানা নেই। রূপার ধর্ষণের খবর প্রচার হওয়ার পর আরও কয়েকটি ধর্ষণ ঘটে গেছে বাংলাদেশে। মেয়েদের বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে আসছে পুরুষেরা। এই পুরুষগুলোকে কোনও শাস্তি দিয়েও, এমনকি ফাঁসি দিয়েও নিরস্ত করা যায় না। হেতাল পারেখ নামের এক মেয়েকে ধর্ষণ আর খুন করার অপরাধে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নামের এক দারোয়ানের ফাঁসি হয়েছিল কলকাতায়, ওই ফাঁসির পর পর বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।

সারা বিশ্বে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে নিরবধি ঘটেই চলেছে। নারীবিদ্বেষ এত চরমে উঠেছে যে, ঘরে বাইরে, রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে বাসে নারীকে ধর্ষণ আর খুন করেই চলেছে পুরুষেরা। লোকে মন্দ বলুক, আদালত শাস্তি দিক, তাতে কি কারও কিছু যায় আসে না? সবাই ভাবে অনেকে যেমন অপরাধ করেও ধরা পড়ে না, তারাও তেমন ধরা পড়বে না। কেউ কেউ হয়তো ভাবে, ধরা পড়লেও ছাড়া পেতে আর কতক্ষণ! টাকা পয়সা ঢাললেই সাত খুন মাফ।

এই পুরুষের সঙ্গে কী করে চলবে মেয়েরা? কোন পুরুষ ভালো, কোন পুরুষ মন্দ-মুখ দেখে তো বোঝার উপায় নেই। কার সঙ্গে প্রেম করলে, কোন লোককে বিশ্বাস করে ঘর ছাড়লে সেই লোক তাকে বেশ্যালয়ে বিক্রি করে দেবে না, কী করে বুঝবে! বাসে কোন লোকটি তাকে ধর্ষণ করবে, কোন লোকটি করবে না-কী করে অনুমান করবে! ট্রেনের কোন লোকটি ফাঁক পেলেই তাকে ধর্ষণ করে ট্রেন থেকে ফেলে দেবে-জানবে কী করে! কোন পুরুষকে বিয়ে করলে সেই পুরুষ তাকে প্রতিরাতে মদ্যপান করে পেটাবে না, তাকে ধর্ষণ করবে না, তাকে পণের জন্য নির্যাতন করবে না, আগুনে পুড়িয়ে মারবে না, তাকে মেরে কুচি কুচি করে কেটে ফ্রিজারে রেখে দেবে না-কী করে জানবে! সব পুরুষ তো দেখতে প্রায় একরকম।

পুরুষেরা শুদ্ধ না হলে, সুস্থ না হলে, সভ্য না হলে, সত্যিকার শিক্ষিত না হলে, সচেতন না হলে-নারীরা যতই শিক্ষিত হোক, সচেতন হোক, যতই তারা স্বনির্ভর হোক, কোনও লাভ নেই, পুরুষেরা সমাজকে কলুষিত করবেই। পুরুষেরা নারীদের শরীরে-মনে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে, নারীদের খুন করতে করতে, নারীদের নিশ্চিহ্ন করবে। পুরুষের এই পৃথিবীতে অতঃপর বাস করবে অসংখ্য বীভৎস পুরুষ! পুরুষেরা সেরকম একটি ভুতুড়ে ভবিষ্যতের দিকেই মনে হয় এগোচ্ছে।

২. জরিপে বার বার দেখা যাচ্ছে, মেয়েদের ধর্ষণ, অপমান, মারধোর ইত্যাদি পরিবারের লোক বা কাছের পুরুষই করে। অথচ কাছের পুরুষদের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি আপন ভাবে, তারা কাছে থাকলেই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করে মেয়েরা, তাদের সান্নিধ্যেই সবচেয়ে বেশি নিশ্চিন্ত তারা। পৃথিবীতে মেয়েরা যারা এ যাবৎ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাদের ধর্ষকদের লিস্টে ধর্ষিতার বাবা, ভাই, মামা, কাকা, প্রেমিক, স্বামী, শ্বশুর, ভাশুর, দেবর, প্রতিবেশী, বন্ধু, শিক্ষক আছে। অপরিচিত, অচেনা লোক যত আছে, তারও চেয়ে বেশি। কী ভয়ঙ্কর রোমহর্ষক এইসব তথ্য।

মেয়েদের সত্যি বলতে কি, কোথাও কোনও নিরাপত্তা নেই। ধর্মীয় আইন তাকে নিরাপত্তা দেয় না অর্থাৎ রাষ্ট্র তাকে নিরাপত্তা দেয় না, বিদ্যালয় দেয় না, রাস্তাঘাট দেয় না অর্থাৎ সমাজ তাকে নিরাপত্তা দেয় না, ঘর তাকে নিরাপত্তা দেয় না অর্থাৎ পরিবার তাকে নিরাপত্তা দেয় না। কোথায় যাবে একটা মেয়ে? নিজের শরীর নিয়ে তাকে সর্বদা লজ্জা এবং ভয় নিয়ে বাঁচতে হয়। যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় ঘরে অথবা বাইরে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে যে কেউ। প্রতিনিয়ত এই আশঙ্কা একটি মেয়েকে বহন করতে হয়। সব পুরুষের যৌনদাসী সে। এমনকি আপন বাবাও তাকে তার যৌনদাসী হিসেবে ভোগ করতে পারে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ পুরুষ মেয়েদের যৌনদাসীই মনে করে। শৈশব থেকে তাদের এই ধারণা দিয়েই বড় করা হয়েছে মেয়েরা পুরুষের চেয়ে বুদ্ধিতে কম, বিদ্যায় কম, শক্তিতে কম, শৌর্যে কম, তাদের কাজ শারীরিক অর্থনৈতিক সামাজিক নিরাপত্তার জন্য পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করা, পুরুষের সেবা করা, পুরুষের যৌনক্ষুধা মেটানো, আর পুরুষের সন্তান প্রসব করা, আর সেই সন্তানদের লালন পালন করা। নারী নামের এই ইতর শ্রেণির প্রাণীকে প্রাণী হিসেবে শ্রদ্ধা করার বা মানুষ হিসেবে সম্মান করার কোনও কারণ তারা দেখে না। সে কারণে ধর্ষণ ঘটায়। সে কারণে মেয়েদের কাপড় চোপড় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সে কারণে বোরখা হিজাবের ব্যবহার বাড়ে। মেয়েরা কোনও না কোনও পুরুষের সম্পত্তি। সেই পুরুষ চায় না তার সম্পত্তির ওপর লোভ করুক অন্য কোনও পুরুষ, সে কারণেই মেয়েদের ঢেকে রাখতে হয় নিজের শরীর। শরীরটাই মেয়েদের মূলধন। শরীরটা স্বামীর ভোগের জন্য, সুতরাং একে অক্ষত রাখতে চায় স্বামীরা। তাহলে সেই বৃদ্ধাকেও কেন শরীর ঢেকে রাখতে হয়, যার মালিক নেই, মরে গেছে? সেই মালিকের সম্মানেই ঢেকে রাখতে হয়। স্বামী মৃত হলেও স্বামী। স্ত্রী সতীত্ব বজায় রাখলে স্বামীর পুণ্য হবে। সুতরাং যা কিছু মেয়েরা করে, সবই স্বামীর আরামের জন্য, সুখের জন্য, ভোগের জন্য, মঙ্গলের জন্য।

আসলে আমাদের সংস্কৃতিটাই ধর্ষণের। ধর্ষণের বলেই রাস্তাঘাটে, অলিতে গলিতে, পাহাড়ে সমুদ্রে, বাসে-ট্রেনে-নৌকোয়, ভিড়ে নির্জনে, রাতে অন্ধকারে একা মেয়েদের দেখা মেলে না, কারণ মেয়েরা একা যায় না ওসব জায়গায়, যায় না ধর্ষণের ভয়ে। কোনও অচেনা পুরুষকে ঘরে ঢুকতে দেয় না ধর্ষণের ভয়ে। কোনও পুরুষের ঘরে একলা ঢোকে না ধর্ষণের ভয়ে। ছাত্রীনিবাসগুলোকে ছাত্রাবাস থেকে আলাদা করা হয় ধর্ষণের ভয়ে। কিছুটা বড় হওয়ার পর পরিবারের পুরুষ থেকে সরিয়ে আলাদা বিছানায় মেয়েদের ঘুমোতে দেওয়া হয়, ধর্ষণের ভয়। এই ধর্ষণের ভয় একটু একটু করে একটি মেয়ে যখন বড় হতে থাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার সমস্ত অস্তিত্বে। স্বাভাবিক জামা কাপড়ের ওপর বাড়তি কাপড়, ওড়না, হিজাব, বোরখা ইত্যাদি পরতে হয় ধর্ষণের ভয়ে। ধর্ষণের ভয়েই যে মেয়েদের চাল চলন পুরুষের চেয়ে ভিন্ন, তা ধর্ষণ যদি সংস্কৃতির অংশ না হতো, চোখে পড়তো। সংস্কৃতির অংশ বলেই ধর্ষণের হাত থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য মেয়েরা যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তা স্বাভাবিক বলেই মনে হয় সবার কাছে। ধর্ষণ কখনও মেয়েদের সমস্যার কারণে ঘটে না। ঘটে পুরুষের সমস্যার কারণে। আজ পর্যন্ত পুরুষেরা এটি বন্ধ করতে পারেনি। অবশ্য বন্ধ করতে চাইলে করতে পারতো। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা মনুষ্য সমাজে মেয়ে হয়ে জন্মেছি। এর চেয়ে মানবেতর জন্ম বোধ হয় আর কোথাও নেই। 

লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

সর্বশেষ খবর