বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

রক্ষা পাবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

করোনাভাইরাস দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় পঙ্গু করে ফেলেছে। শিক্ষিত জাতিই দ্রুত উন্নয়নের স্বপ্ন দেখার যোগ্যতা রাখে। স্বাধীনতার পর দেশের যেটুকু অগ্রগতি ঘটেছে তার পেছনে শিক্ষা বিস্তারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। শিক্ষা অশিক্ষার বাধা উপড়ে ফেলে। কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক তা জানতে সহায়তা করে। অগ্রসর দেশগুলো জীবনের সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে শিক্ষার জোরে। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার অজুহাতে শিক্ষা খাতকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় বছর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জ্ঞান ও মেধার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের চেয়ে নিশ্চিতভাবে পিছিয়ে পড়েছে। আশার কথা, সব কিছু বাদ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অপরিণামদর্শী মনোভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘের দুই সংস্থা ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো। সবাইকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় না থেকে স্কুল খুলে দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরুর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল যৌথ বিবৃতিতে নীতিনির্ধারক এবং সরকারগুলোর প্রতি একটি প্রজন্মকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় নিরাপদে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে; লাখ লাখ শিশুর পড়ালেখা এখনো ব্যাহত হচ্ছে। এখনো ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকায় ১৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউনিসেফ ও ইউনেস্কোর আহ্বান দেড় বছর ধরে আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত বদলাতে উদ্বুদ্ধ করবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেই চালু হোক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।

সর্বশেষ খবর