সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ঈদে বাড়ি ফেরা

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকার বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করে গত ৫ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এর কঠোরতা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকেনি; কখনো কঠোর, কখনো শিথিলভাবে চলেছে। একপর্যায়ে গণপরিবহন ও দোকানপাট খুলে দেওয়ায় করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। সপ্তাহখানেক পর গণপরিবহন ও দোকানপাট ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সংক্রমণের হার কমতে দেখা যায়। ফলে এটা অনেকটাই প্রমাণিত হয় যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধের বিকল্প নেই। চলমান লকডাউন ঈদের জন্য শিথিল করা হয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে মানুষের ঘরে ফেরা নিয়ে আশক্সক্ষা সবার। কারণ করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, অক্সিজেনের দুষ্প্রাপ্যতা, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহে টানাপোড়েন চলছে। এখনো সবার জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত হয়নি। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন ঘরে বসে থাকতে পারছে না। তাদের ঘরে সঞ্চিত অর্থ ও খাবার মজুদ নেই। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি যেভাবে ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছে, তা উদ্বেগজনক। লকডাউন শিথিলের তৃতীয় দিনে শনিবার বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে। আন্তনগর ট্রেনে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও লোকাল ও কমিউটারে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রশাসন নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অধিকাংশ স্থানেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ঢাকার বাইরে মাওয়া-শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ফেরিঘাট যাত্রীর চাপে ছিল ঠাসা। ঘরমুখো মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও লঞ্চ, ট্রেন, বাসে চরমভাবে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু বিধিনিষেধ না মানলে সংক্রমণ বেড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর