দিন শেষে রাত পোহালেই ঈদ। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কোরবানির ঈদ। পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মানুষের অন্তরের পশুত্ব কোরবানির এক মহান প্রয়াস। অনেকে আবার লোক দেখাতে পশু কোরবানি করে। কিন্তু নিজের অন্তরের পশুত্বকে কোরবানি করতে পারে না, করে না। অথচ কোরবানির মূল উদ্দেশ্যই নিজেকে পবিত্র করা। এবার ঈদ কেমন যাবে ভাবতে পারছি না। প্রায় দেড় বছর করোনার প্রাদুর্ভাবে আমরা দারুণ পর্যুদস্ত। একের পর এক লকডাউনে মানুষ দিশাহারা। এখনো আমরা লকডাউনের মধ্যেই আছি। শুধু লকডাউন নয়, কঠোর লকডাউন, মহালকডাউন। ঠিক ভেবে পাই না এর শেষ কোথায়। শুধু লকডাউনই যে করোনার হাত থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নয় তা কানার ভাই অন্ধও জানে। আট দিন লকডাউন শিথিলের পর আবার টানা দুই সপ্তাহ ২৩ থেকে শোকের মাস আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রিপরিষদ। এখন খুব একটা কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কারণ শোনার কেউ নেই। তবু গলায় গামছা নিয়ে বলতে পারি, ঈদের পর তেমন কোনো জুতসই কার্যকর লকডাউন হবে না- সে ক্ষমতা সরকারের নেই। মানুষের পেটে ভাত না থাকলে সে কার কথা শুনবে? ১২ জুলাই কঠোর লকডাউন ছিল। আমি ৩০ জুন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল এসেছিলাম। ১২ জুলাই পর্যন্ত ঘর থেকে বের হইনি। প্রতিদিন বিকালে নিয়মিত ছাদে গেছি, হাঁটাচলা করেছি, নিচতলায়ও নামিনি। এদিকে ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউন। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বেরোলে জেল-জরিমানা। কয়েক হাজার লোককে জেলে পাঠানো হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে। ১২ তারিখ বিকালে ঢাকা যাব ঠিক করেছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল রাস্তায় যদি কেউ ধরে- কেন বেরিয়েছেন? কী জবাব দেব। স্ত্রী-পুত্র-কন্যার কাছে যাওয়া কাজ হিসেবে কেউ নেবে বুঝতে পারছিলাম না। চাল-ডাল-তরিতরকারি ছিল গাড়িতে। স্ত্রী বারবার ফোনে বলছিলেন, শাকসবজি নেই, মাছ তো পাচ্ছিই না। তাই গাড়ি ভরে বাজার-সদাই নিয়েছিলাম। লোকজন যে যা-ই ভাবুক, এখনো আমার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভয় আছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করেছিলাম। বলেছিলাম, ভাই, আজ বিকালে ঢাকা যাব। রাস্তায় ধরে জরিমানা করবে না তো অথবা জেলে। আসাদুজ্জামান খান কামাল অন্যদিনের মতো বলছিলেন, ‘লিডার, কী যে বলেন, আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করবে? আপনাকে সবাই মান্য করে। আমরা আপনাকে অপরিসীম ভালোবাসি, সম্মান করি।’ বলেছিলাম, তবু কঠোর লকডাউনের মধ্যে যাচ্ছি। রাস্তায় একটু বলে দেবেন। তিনি নিশ্চয়ই বলেছিলেন। কারণ তাকে অনেক দিন চিনি। আমার প্রতি তার শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিরূপণ করার মতো নয়। এ আট-১০ বছরে একবারও এমন ঘটনা ঘটেনি যে তাকে ফোন করে পাইনি, বিদেশে থাকলেও পেয়েছি। আমার ফোন যদি তিনি ধরতে না পারেন একটু পরই তার ফিরতি ফোন পেয়েছি। সেটা দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকুন। মন্ত্রী হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এমনটা করেন। অন্যদিকে ’৬৯-এর ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ একেবারেই ব্যতিক্রম। গত ২০-২৫ বছরে একবারও এমন হয়নি যে ফোন করে পাইনি। তোফায়েল ভাই, আমু ভাই দুজন একেবারেই আলাদা চরিত্রের মানুষ। তা ছাড়া মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক আমার খুবই প্রিয়। তাকে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, অসীম উকিল এ ধরনের আরও বেশ কয়েকজনকে যখন-তখন পাওয়া যায়। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যাকে আমি ছোটভাইয়ের মতো ভালোবাসি, ¯ন্ডেœহ করি, সম্মানও করি, প্রয়োজন হলে ফোন করি। যেমনটা ১২ জুলাই করেছিলাম। এই মহালকডাউনের মধ্যে টাঙ্গাইল থেকে সাভারের হেমায়েতপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক সময় গাড়ির যে চাপ থাকে তার দ্বিগুণ-তিন গুণ ছিল। এমনিতে আমরা আড়াই-পৌনে তিন ঘণ্টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল যাতায়াত করি। কিন্তু সেদিন আমিনবাজার ব্রিজ পর্যন্ত যেতেই তিন ঘণ্টা লেগেছে। আমিনবাজার ব্রিজ থেকে শ্যামলী পর্যন্ত কোনো চাপ ছিল না। রাস্তাঘাটে এমনিতেই পুলিশ ভীষণ সমীহ করে, সম্মান করে, প্রয়োজনে সহযোগিতাও করে। সেদিনও তেমনটা করেছিল। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার কারণে, না এমনিতেই বলতে পারব না। কিন্তু করেছিল। আবার ১৭ জুলাই টাঙ্গাইল এসেছি। ঈদের নামাজ আদায় করে কোরবানি দিয়ে মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষে বিকালে স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিকটজনের কাছে যেতে চাই। আল্লাহ জানেন কতটা কী হবে।
এখানে লকডাউন সম্পর্কে একটু না বললেই নয়। কঠিন লকডাউনের মধ্যে যেখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বগুড়া-রংপুরের রাস্তায় ৩০-৪০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। সেখানে এ হালকা পাতলা লকডাউন কেন? যা কার্যকর করা যাবে না তা করার প্রচেষ্টা করা সরকারের জন্য ভালো নয়। তার পরও কেন সেই একই বিফল পদক্ষেপ বারবার মন্ত্রিপরিষদ নিচ্ছে তার অন্তর্নিহিত কোনো কারণ বুঝতে পারি না। মাঝেমধ্যে কঠিন লকডাউন নিয়ে সেনাবাহিনীর জুজুর ভয় দেখানো হয়। সেনাবাহিনী কী করবে? না-খাওয়া মানুষ রাস্তায় বেরোলে তাদের সেনাবাহিনীর লোকেরা কি খেতে দিতে পারবে? যার পেটে ভাত নেই, ক্ষুধার জ্বালায় বাড়িতে বাচ্চা কাঁদলে তার আবার লকডাউন কি? লকডাউনের নিশ্চয়ই একটা উদ্দেশ্য আছে। মানুষ যাতে ব্যাপক আকারে সংক্রমিত না হয় সেজন্য লকডাউন। আচ্ছা, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এত দিনে কয়টা গার্মেন্ট কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কত শত বস্তি, বস্তির কোথায় ব্যাপক করোনার প্রাদুর্ভাব কেউ কি দেখাতে পারবে। একদিকে পাটুরিয়া, আরেকদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি পার হতে গিয়ে কি ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি করোনা বয়ে বেড়াত তাহলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী, পাটুরিয়ার আশপাশে গ্রামকে গ্রাম করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা। কজন সেখানে আক্রান্ত হয়েছে একটু ভেবে দেখা দরকার। হ্যাঁ, এটা ঠিক অবশ্যই যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত-পা বারবার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার রাখা এসব অব্যাহত রাখলে করোনার জন্য লকডাউনের খুব একটা প্রয়োজন আছে কি না বিশেষজ্ঞরা নিশ্চয়ই ভেবে দেখতে পারেন। ঈদের পর দুই সপ্তাহ কলকারখানা বন্ধ। বিদেশের সঙ্গে আমাদের যেসব চুক্তি আছে দুই সপ্তাহ সবকিছু বন্ধ থাকলে ফরেন কারেন্সির সোনার হরিণ এমনিতেই হারিয়ে যাবে। বিশেষ করে একটানা দুই সপ্তাহ গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলে গার্মেন্ট রপ্তানিতে যে অনিয়ম হবে যে শিথিল হবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেলে তা দুই বছরেও পূরণ করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাই মুখে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু ভালোমন্দ ভেবে দেখা দরকার।
রপ্তানি বাণিজ্য একবার বাধাগ্রস্ত হলে আমাদের যে ডাটফাট তার অনেক কিছুই নিমেষেই শেষ হয়ে যাবে। রপ্তানিমুখী অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল দেশের শুধু নিজের কথা ভাবলেই চলে না, অন্যের কথাও ভাবতে হয়। একবার গার্মেন্ট বায়াররা মুখ ফিরিয়ে নিলে অর্থনীতি যে চাপের মধ্যে পড়বে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব সহজ হবে না। আমরা অনেকেই পরের ধনে পোদ্দারি করতে ভালোবাসি। আমাদের ফুটানির শেষ নেই। যারা রাত-দিন এক করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে সেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা খুব একটা দরদ দিয়ে ভাবী না। বিদেশি সংস্থার অর্থঋণের জন্য তাদের পায়ে যে পরিমাণ তেল মালিশ করি তার চার ভাগের এক ভাগ আমাদের সন্তানদের পায়ে মর্দন করলে অর্থনীতি আরও অনেক বদলে যেত। তাই ইচ্ছা করলাম দুই সপ্তাহ কলকারখানা বিশেষ করে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলাম, ৪০-৫০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকের বাড়িতে যে হাহাকার উঠবে, মুখে হাত যাবে না, তেমনি ঠিক সময় শিপমেন্ট করতে না পারলে অনেক বায়ারের কার্যাদেশ বাতিল বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন দিনের আলোতেও চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না। এসব দেখে কেন যেন মাঝেমধ্যে মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চারদিক থেকে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারকারীরা অক্টোপাসের মতো চেপে ধরেছে। কোথাও কোনো কাজে গতি নেই। সেদিন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আগুন লেগে আইসিইউর অনেক কিছু পুড়ে গেছে। আল্লাহকে অশেষ শুকরিয়া জানাই, কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। নিন্দুকরা বলছে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড খোলার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছিল তার অনেকটি পুরনো নষ্ট বিকল। তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে নতুন পুরান সচল বিকলের দুর্র্ভাবনা মুহূর্তেই দূর করে ফেলেছে। সত্য-মিথ্যা জানি না। কিন্তু যে সময় আইসিইউর দরকার ঠিক সে সময় এ আগুন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগায়। করোনা থেকে মুক্তি পেতে টিকার দরকার। শুনেছি আগামী মাসের মধ্যেই ২ কোটি টিকা আসবে। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। সঠিক উদ্যোগ নিলে টিকাদান মাঝপথে ভেঙে পড়ত না। বিকল্প ব্যবস্থাহীন কারও প্রতি ভরসা করতে নেই। রাষ্ট্র চালাতে মায়া-মমতার চাইতে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা বেশি প্রয়োজন। যার কোনো সক্ষমতাই নেই ক্ষমতাহীন সে প্রিয় হলেও আর যা-ই হোক তাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় না। দায়িত্ব দিতে হয় যার দায়িত্ববোধ আছে, যার দক্ষতা-যোগ্যতা আছে তাকে। ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষ দায়িত্ব পেলে যে কোনো কাজ সুন্দরভাবে চলে, কোথাও কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় না। তাই বর্তমানে সবার আগে প্রয়োজন রাত-দিন টিকা প্রদান। সবাইকে সঠিক সময়ে টিকা দিতে পারলে অন্তত একটা দুর্ভাবনা থেকে আমরা পার পেতে পারি।বেশ কিছুদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে মারাত্মক আলোচনা হচ্ছে। সেদিন আবার কোনো উপজেলায় ইউএনও ভেঙে পড়ার আগেই পাঁচ-সাতটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-দুয়ার রাতের অন্ধকারে ভ্যানিশ করে দিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে তদন্ত চলছে। যারা অযোগ্যতা-অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তারাই আবার প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করছেন। ব্যাপারটা যে কতটা হাস্যকর তা-ও ভদ্রলোকেরা খুব একটা বুঝতে চাচ্ছেন না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক বেশ কয়েক জায়গায় ঘোরাফেরা করে দুর্নীতি খোঁজার চেষ্টা করছেন। দুর্নীতির পরিচালককে যদি দুর্নীতি বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেখানে তো আরও দুর্নীতি হবে। দুর্নীতি ছাড়া কোনো কিছুই আশা করা যায় না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দায়িত্বে যারা ছিলেন প্রকল্পের দোষ-ত্রুটি নিরূপণে তাদের কাউকেই সম্পৃক্ত করার সুযোগ নেই। অন্য লোক দিয়ে দরকার পড়লে জনপ্রতিনিধি এবং বিচার বিভাগীয় লোকজন দিয়ে এর তদন্ত করা দরকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে তদন্ত হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প এক ঐতিহাসিক বিপ্লবী পদক্ষেপ।
এটা কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এটা সামগ্রিকভাবে দেশের এবং জনগণের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং দুর্নীতির তদন্তে একটি সর্বদলীয় কমিটি হওয়া দরকার। বিরাজনীতিকৃত দেশে এখান থেকেই প্রকৃত রাজনীতির সূচনা হতে পারে। তাই আশা করব আশ্রয়ণ প্রকল্পকে হেলাফেলা না করে যথাযথ মর্যাদায় বিবেচনা করা দরকার। ত্রুটি একেবারে গোড়া থেকে যিনি প্রকল্প করেছেন, প্রাক্কলন করেছেন, যারা নকশা করেছেন। এখানে সবার ত্রুটি আছে। দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে ইটের ঘর ভেঙে পড়ে এটা কাউকে বলা যায়? এমন ঘটনায় মুখ দেখানো যায়? অথচ সে ঘটনাই ঘটেছে। ঝড়-তুফানে ছনের ঘর ভেঙে পড়ে। কিন্তু বৃষ্টিতে নয়। বৃষ্টিতে পাহাড়ধস হয়। কিন্তু ঘরধস হয় কখনো শুনিনি। সেজন্য প্রবীণরা বলে গেছেন, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প সেই গ্রামের প্রবাদের মতো হয়েছে, ‘কামলায় খাবে ডাল, সে আবার হাত দিয়ে কেন পা দিয়ে ঘুটলেই হলো।’ না, এমন করা ঠিক নয়। সময় থাকতেই লাগাম টানা দরকার।
আমাদের জন্য পরম ত্যাগ ও মহিমার ঈদুল আজহা আনন্দময় স্বস্তির হোক, করোনামুক্ত হোক, মানুষ হাসিমুখে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে দিন কাটাক- দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে সেই প্রার্থনা করি। ঈদ মুবারক।
লেখক : রাজনীতিক।
www.ksjleagua.com