রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

পর্যটন কেন্দ্র

বিনোদন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি খ্যাত বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। অপরিমেয় সৌন্দর্যবিস্তৃত এ দেশ যুগ যুগ ধরে বিদেশি পর্যটকদের টেনেছে। দুনিয়াজুড়ে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সমৃদ্ধ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। পর্যটনকে শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করায় বাংলাদেশে এ শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা বর্তমান। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মহামারী করোনায় থমকে গিয়েছিল এ শিল্প। বৃহস্পতিবার সারা দেশে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। সমুদ্রসৈকত, চিড়িয়াখানা, থিম পার্কসহ সবখানে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনায় পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার মধ্যে দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ ছিল। রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুকিং শুরু হয়েছে হোটেল-মোটেলগুলোয়। অগ্রিম বুকিং হয়েছে এক-তৃতীয়াংশ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপাড়ে নেমেছেন পর্যটক। খোলা হয়েছে সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। খুলেছে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে সাগরপাড়ের ঝুপড়ি দোকান, ছাতা-চেয়ারও। সমুদ্রসৈকত ছাড়াও চেনারূপে ফিরতে শুরু করেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। স্বস্তিতে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ সব বিনোদন কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মনে। সুন্দরবন এখনো পর্যটকদের জন্য মুক্ত করা হয়নি। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রমণপিপাসা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অনন্য অবদান রাখছে। বাংলাদেশে পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য পর্যটনশিল্পের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রত্যাশিত অবকাঠামো উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত বিনোদন বিকাশের সুযোগ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর