রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্যান্সার করোনার ওষুধ

নকলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা দিন

দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে ওষুধ নকলের কথা কল্পনা করাও কঠিন। আমাদের দেশে অবশ্য এটি অহরহই ঘটছে, এমনকি বাজারে বিক্রীত ওষুধের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই হয় নকল অথবা মানহীন। সভ্যতার বিচারে আমাদের দেশ ও সমাজ কোন পর্যায়ে আছে নকল ওষুধের রমরমা অবস্থা যে তারই প্রমাণ তা সহজেই অনুমেয়। নকল-ভেজালকারীরা ক্যান্সার ও করোনার ওষুধ নকল করেও তা বাজারজাত করছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ অপকর্মে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ ব্যবহার করে। নকল ওষুধ ব্যবহার রোগ নিরাময়ের বদলে জীবন হুমকির মধ্যে ফেলে। অথচ রাজধানীতে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে নকল ওষুধ তৈরি ও বেচাকেনা। পরে সে ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আনাচে-কানাচে। জেনে-শুনে-বুঝে অতিরিক্ত লাভের আশায় ওষুধ দোকান মালিকের অনেকেই বিক্রি করছেন নকল-ভেজাল ওষুধ। তদারকির দায়িত্বে থাকা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা কালেভদ্রে কিছু অভিযান চালিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন। নকল ওষুধ উৎপাদনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় কারখানা স্থাপন করলেও তাদের নকল পণ্য বাজারজাতের কেন্দ্রস্থল হলো পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকা। এখানে গড়ে ওঠা ওষুধের পাইকারি বাজার থেকেই মূলত সারা দেশে নকল-ভেজাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়ে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধও নকল হচ্ছে অবলীলায়। নকল ওষুধ তৈরির বিরুদ্ধে কঠোর আইন না থাকায় অপরাধীরা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। এ অপরাধ বন্ধে নকল ওষুধ তৈরির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নির্ধারণ হওয়া উচিত। এসব ওষুধ বাজারজাতের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজাও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর