রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন

সন্ত্রাসী ও সমাজবিরোধীদের দূরে রাখুন

স্থানীয় সরকার মানেই জনগণের সরকার। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ায় সব দেশেই স্থানীয় সরকারের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের আবেগ জড়িত। যে কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতেও জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট পড়ে বেশি। আর বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই ভোটপাগল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় নির্বাচনের ওপর আস্থা হারালেও স্থানীয় নির্বাচনের প্রতি তৃণমূলের আগ্রহ সে তুলনায় কমেনি। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার রীতি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, এমন সুশিক্ষিত, সমাজসেবী ও সজ্জনদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নির্বাচনে সমাজবিরোধীদের অংশগ্রহণ স্থানীয় নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠায় সহিংসতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আগামী ১১ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নে নির্বাচনী সংঘর্ষে দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সদর উপজেলার দক্ষিণ জগদল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা, রহমান মোল্লা ও ইমরান মোল্লা। নিহতদের মধ্যে সবুর ও কবির আপন দুই ভাই। আর রহমান মোল্লা সবুরের চাচাতো ভাই। এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্মর্তব্য, জগদল ইউনিয়নের জগদল গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও একই এলাকার মাতবর সবুর মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে একই ওয়ার্ডে সৈয়দ হাসান নামের এক ব্যক্তি সদস্যপদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।  সৈয়দ হাসানকে সমর্থন দেয় সবুর মোল্লার পক্ষ। স্বভাবতই নজরুল গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। মাগুরার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে দুুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে নির্বাচনে সন্ত্রাসী ও সমাজবিরোধীদের অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করতে হবে। নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর