শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু সম্মেলন

সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে

মানব জাতির জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশ জড়ো হচ্ছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে। বিশ্বনেতা, নীতিনির্ধারক, জলবায়ুবিজ্ঞানী, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী, জলবায়ু আন্দোলনকর্মী ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা কপ-২৬ নামের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে তাদের পরিকল্পনার ঝাঁপি খুলে বসবেন। সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি হ্রাস করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা যায়। এমন একটা সময়ে এবারের সম্মেলন হতে যাচ্ছে যখন কি না বিশ্ব অর্থনীতি কভিড মহামারীর আঘাতে জর্জরিত। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে বড় ধরনের লক্ষণ নেই আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দাবানল, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরা আরও ভয়ংকর রূপ নিয়ে বিশ্বের প্রতিটি কোণে আঘাত করছে। জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপে চার বছর ধরে এত কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে যে সেখানে জলবায়ুসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ আসন্ন। চীন ও জার্মানিতে প্রাণঘাতী বন্যা, যুক্তরাষ্ট্র ও তীব্র শীতের দেশ কানাডায় শ্বাসরুদ্ধকর উত্তাপ, আফগানিস্তানে খরা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তীব্র ঝড়- সবই ঘনীভূত প্রলয়ের বার্তা। এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মতো যে উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তাদের অর্থায়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবারের কপে বাংলাদেশের নেতৃত্বের চমক দেখতে পারে বিশ্ব। লন্ডনভিত্তিক ফিন্যানশিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়, আমাদের প্রয়োজন একটি বৈশ্বিক জলবায়ু উন্নয়ন পরিকল্পনা (গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান)।’ সবাইকে এক হয়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর