রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ইউনিয়ন পরিষদ

নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন প্রত্যাশিত নয়

ইউনিয়ন পরিষদের ভোটযুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন নিয়ে শেষ পর্যন্ত সর্বংসহ নির্বাচন কমিশনও (ইসি) মাথা ব্যথায় ভুগছে। আচরণবিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে ইসির বৈঠকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও নজর দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- নির্বাচন ভবনে আয়োজিত বিভাগীয় কমিশনারদের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের সময় সহিংসতা হয়। বাংলাদেশেও এটা হয়। সব ঘটনা নির্বাচনের কারণে ঘটছে না। পূর্বশত্রুতার জেরেও ঘটছে। কিন্তু এর মধ্যে থেকেই একটি ভালো নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বৈঠকে একজন নির্বাচন কমিশনার ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপিরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। একাধিক বিভাগীয় কমিশনার বলেছেন, এমপিদের এমন ঘটনা নজরে আসার পর তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনই যে এককভাবে দায়ী তা বলার অবকাশ নেই। নির্বাচন পরিচালনার দায় নির্বাচন কমিশনের। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় তারা নির্বাচন পরিচালনা করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দল বা ব্যক্তিবর্গ নির্বাচনে যাতে প্রতিপক্ষ অনিয়মের আশ্রয় না নিতে পারেন সে ব্যাপারে তীক্ষè দৃষ্টি রাখেন। এ ক্ষেত্রে তারা ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু দেশে কার্যকর বিরোধী দল না থাকায় জাতীয় নির্বাচনে ভ্যানগার্ডদের ভূমিকা ছিল অনুপস্থিত। স্থানীয় নির্বাচনেও দলীয়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরোধী পক্ষের অনুপস্থিতি অন্তর্দলীয় কোন্দল ও হানাহানিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তা যাতে এড়ানো যায় সে ব্যাপারে ইসি শুধু নয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে হবে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই নির্বাচনব্যবস্থার ওপর গণমানুষের আস্থা থাকা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর