শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
জাফর ইকবাল স্যাররা কেন উপাচার্য হন না

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতেই শুনলাম জাফর ইকবাল স্যার সিলেটের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনে দেখলাম তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। বললেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনশন না ভাঙিয়ে যাব না’। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি এবং অধ্যাপক ইয়াসমিন হক মিলে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান। টেলিভিশনে দেখছিলাম, শিক্ষার্থীরা জাফর ইকবাল স্যারকে দেখে আবেগে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন। স্যারও পরম মমতায় তাদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অজান্তেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। চোখ দিয়ে পানি বেরোল। স্মৃতিক্রান্ত হলাম। ১৯৮৪ সাল, এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলাম নিজেও জানি না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল ডেকেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এস এম হল থেকে মিছিল করতে করতে আমরা কজন অবস্থান নিলাম পলাশীর মোড়ে। আলমগীর ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ৮-১০ জন। কিছুক্ষণের মধ্যে বুয়েট থেকে খন্দকার মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল এলো। ফারুক ভাই বিশাল লম্বা। দরাজ গলা। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। প্রচ- জনপ্রিয়। দু-একটি গাড়ি চলছিল, সেগুলো থামিয়ে দেওয়া হলো। ফারুক ভাই বললেন, কোনো ভাঙচুর নয়। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়। আমরা রিকশার যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছিলাম। শান্ত, উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের দুটি গাড়ি এলো দুই দিক থেকে। নেমেই শুরু করল বেধড়ক মার। কিছু বোঝার আগেই আমি লুটিয়ে পড়লাম। জ্ঞান ফিরলে দেখলাম আমি একটি খাটে। চারদিকে তাকিয়ে বুঝলাম এটা কোনো বাড়ি। এরপর একজন পিতৃতুল্য মানুষ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেন। বললেন, এখন ঘুমাও বাবা। মোহসীন স্যার। সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট। পরে শুনেছি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রভোস্ট স্যার জানার পর তাঁর বাংলোয় নিয়ে যান। ডাক্তার ডাকেন। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় হয়ে উঠেছি তখন এ রকমই পিতৃতুল্য কিছু শিক্ষক পেয়েছিলাম যাঁদের সঙ্গে সব কথা বলতে পারতাম আবার প্রচ- শ্রদ্ধা করতাম। জাফর ইকবাল স্যারের মমতা এবং আবেগ দেখে সেসব শিক্ষকের কথা মনে পড়ল। মনে হলো, তাঁরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন না। কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, সরকার কেন এঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে না? এখন উপাচার্য কিংবা শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মমতার বন্ধনটা কেন আলগা? কেন সেখানে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই?

আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি তার আগেই অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী স্যার পদত্যাগ করেছেন। নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক শামসুল হক। তখন উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ কিছুটা হলেও মানা হতো। সিনেট তিনজনের নামের প্যানেল প্রস্তাব করত আচার্যের কাছে। সিনেট নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ ভোট। তিনজনের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন শামসুল হক স্যার। এরশাদ সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া শিক্ষককেই পছন্দ করেছিলেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার ছিলেন জ্ঞানতাপস। সত্যিকার অর্থে একজন অভিভাবক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে বহুবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। যতবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, ততবার মনে হয়েছে নতুন কিছু শিখলাম। কিন্তু এই মানুষটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়নি কোনো দিন। কেন? শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যখন টানটান উত্তেজনা, তখন আমার মনে কিছু একটা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কেন পন্ডিত, শিক্ষার্থীদের কাছে শ্রদ্ধেয় ও জনপ্রিয় শিক্ষকদের বেছে নেওয়া হয় না? কেন অনুগত, অযোগ্য, পদলেহী, চাটুকারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার তীর্থ কেন্দ্র। একজন পন্ডিত, পিতৃতুল্য সেরা শিক্ষকেরই এ পদ পাওয়া উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো জ্ঞানভান্ডার ছিল না। শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ও পরিচিতিও তেমন একটা ছিল না। কিন্তু তিনি শিক্ষাঙ্গনে ন্যূনতম পবিত্রতা কক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হয়তো জ্ঞান, পান্ডিত্যকে ভয় পেতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর একটা ভীতি ছিল। এজন্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো একজন ব্যক্তিত্ববান, আদর্শবাদী শিক্ষককে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব দিতে ভয় পেয়েছিলেন। সে সময় থেকে অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদটি যেন একান্ত দলীয় অনুগতদের জন্য সংরক্ষিত। কোনো সরকারই উপাচার্য নিয়োগে পন্ডিত, গবেষক, উদ্ভাবনী চিন্তাবিদ কাউকে খোঁজে না। একজন দলীয় পাহারাদার খোঁজে। ফলে গার্মেন্ট মালিক, এনজিও নেতা, অনারারি মেজর পর্যন্ত উপাচার্য হচ্ছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য হতে অনেকে তদবির করেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের খাতির করেন। মন্ত্রীর বাড়িতে মাছ, মিষ্টি নিয়ে যান। এখন যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে সমানে যদি আমলারা প্রেষণে উপাচার্য হন, অবাক হব না। অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জ্ঞানচর্চার নিত্যনতুন চিন্তা বিকাশে মনোযোগী নন। তাঁরা ব্যস্ত থাকেন সরকারের মন্ত্রী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে তুষ্ট রাখতে। জ্ঞানবিজ্ঞান চুলায় যাক, সরকার বাহাদুর খুশি থাকলেই তাঁরা নিজেদের সফল মনে করেন। উপাচার্য পদটি যেন এখন প্রকৃত শিক্ষকের জন্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরা যাক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে হলেই কয়েকজন ব্যক্তিত্বের নাম মনে আসে। জ্ঞানচর্চায় তাঁরা প্রত্যেকেই যেন একেকটি প্রতিষ্ঠান। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রঙ্গলাল সেন, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ শরীফ। এঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যায়য়ের উপাচার্য হননি। আশির দশকে প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে অন্তত একজন আলোকিত শিক্ষক ছিলেন। তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা করতাম। আমাদের আইন বিভাগে অধ্যাপক কামরুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিকতায় অধ্যাপক সাখাওয়াৎ আলী খান, ইংরেজি বিভাগে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এ রকম বহু নাম। কিন্তু তাঁরা কখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হননি। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের যে অনাগ্রহ ছিল তা যেমন সত্য, তেমন এসব শিক্ষকও উপাচার্য পদটিকে ঝামেলা মনে করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই সাংবাদিকতায় জড়িয়ে যাই। এর ফলে সব বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটা বিরাট সুযোগ পেয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই নৈকট্য হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারকে একবার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। স্যার তা গ্রহণ করেননি। স্যার আমাকে একদিন বলেছিলেন, ‘কিছুতেই আমি উপাচার্য হব না’। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এক সন্ধ্যায় দীর্ঘ তর্কও হয়েছিল। তাঁর সার কথা- ‘উপাচার্য পদটি কোনো ব্যক্তিত্ববান মানুষের জন্য নয়’। একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকেও। শিক্ষার্থীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার পরও তিনি উপাচার্য হননি। অথচ আমার মনে হয় এ দায়িত্ব নিলে তিনি দেখাতে পারতেন উপাচার্যের কাজ কী? কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়। এই মানুষটির মুগ্ধ ভক্ত আমি। আমি যখন ‘পরিপ্রেক্ষিত’ করি, তখন এক সাক্ষাৎকার নিতে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমি অবাক হয়ে যাই, এত সহজে শুধু কথা বলে একজন মানুষ কীভাবে এত আপন হয়ে যান। এরপর বিভিন্ন সময় নানা কাজে তাঁর কাছে গিয়েছি। সর্বশেষ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎটা ছিল অন্যরকম। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের একটি কর্মসূচি হাতে নিল। ঢাকা, সাভার এবং চট্টগ্রাম থেকে ৪০টি বাচ্চাকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কে প্রধান অতিথি থাকবেন। সেভ-এর সঙ্গে মিটিংয়ে নানা নাম। আমি জাফর ইকবাল স্যারের নাম প্রস্তাব করলাম। সবাই বললেন, স্যার আসলে তো খুবই ভালো, কিন্তু স্যার কি আসবেন? আমি বললাম, শিশুদের ব্যাপারে স্যারের আলাদা দরদ আছে। স্যারকে টেক্সট করলাম। বিকালে স্যার ফোন করলেন। সব শুনলেন। তারপর জানতে চাইলেন কবে অনুষ্ঠান করতে চাই। আমি বললাম, স্যার আপনি যেদিন বলবেন। স্যার একটা তারিখ দিলেন। ব্যস। স্যার তত দিন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন। জঙ্গি মৌলবাদীরা তাঁকে হুমকিও দিচ্ছে। সরকার এজন্য তাঁর বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। অনুষ্ঠানের দিন স্যারের বাসায় গিয়ে দেখলাম নিচে পুলিশ। বেল টিপতেই দেখি স্যার রেডি। আমরা নামলাম। স্যার বললেন, একজন পুলিশ ভাইও আমাদের সঙ্গে যাবেন। চালকের পাশে পুলিশ ভাইকে বসিয়ে আমরা রওনা হলাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্দেশে। আমাদের অনুষ্ঠানের সময় ছিল বেলা সাড়ে ১১টা। আমরা সাড়ে ৯টায় স্যারের মহাখালীর বাসা থেকে রওনা দিলাম। কিন্তু সেদিন এক ভয়ংকর ট্রাফিক জ্যামে পড়লাম। ২ ঘণ্টা জাফর ইকবাল স্যার আর আমি। এ ২ ঘণ্টা যেন আমার জীবনের এক সেরা অভিজ্ঞতা। নানা বিষয়ে আমরা কথা বলছিলাম। একপর্যায়ে স্যারের কাছে জানতে চাইলাম, আপনি কেন উপাচার্য হলেন না? স্যার খুব গুছিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর ব্যাখ্যার সঙ্গে আমি একমত নই। কিন্তু ওইদিন আমি অন্য এক জাফর ইকবালকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। মৎস্য ভবনের কাছে এসে গাড়ি আর কিছুতেই এগোচ্ছে না। প্রায় ১৫ মিনিট। ঘড়িতে সাড়ে ১১টা বাজে। স্যার হঠাৎ বিড়বিড় করছেন, বাচ্চাগুলো অপেক্ষা করছে। এটা ঠিক না। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন অনুষ্ঠান কটায়? বললাম, স্যার অসুবিধা নেই। একটু দেরিতে গেলেও সমস্যা নেই। স্যার একটু রেগে গেলেন। ‘কী বলেন! ছেলেমেয়েরা বসে থাকবে, এটা কী করে হয়। চলেন হাঁটি।’ গাড়ি থেকে নেমে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। পেছনে পুলিশ ভাই। ১০ মিনিট হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যখন পৌঁছলাম তখন সবাই অবাক। এ রকম দায়িত্ববান মানুষের হাতে উপাচার্যের দায়িত্ব গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেহারাই পাল্টে যেত। প্রকৃত শিক্ষকের এ অনাগ্রহে উপাচার্য পদটি চাটুকার, অনুগত, ব্যক্তিত্বহীনদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। (অবশ্য সব উপাচার্যের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। দু-একজন গুণী শিক্ষকও উপাচার্য হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা খুবই কম)। আবার অনেক গুণী, প্রতিভাবান শিক্ষক দেশেই থাকেন না। চাকরি ছেড়ে চলে যান। জাফর ইকবাল স্যার যেমন বিজ্ঞ, বিপুল টাকার হাতছানি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছেন। চাকরি নিয়েছেন, ঢাকা থেকে বহুদূরে। সবাই তো আর সে রকম ঝুঁকি নেন না।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ১৪ দিনের মাথায় টিএসসি গেছি। ঢুকতেই দেখলাম চমৎকার হাতের লেখা একটি পোস্টার। খান মোহাম্মদ ফারাবী বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আয়োজক সংস্কৃতি সংসদ। কিছু না বুঝেই ফরম নিয়ে ফিলাপ করে জমা দিলাম। বিতর্কের দিন দেখলাম বিচারক আলী রীয়াজ, মাহাবুব মোকাদ্দেম আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ডাকসাইটে বিতার্কিকের ভিড়ে আমি এক পিচ্চি। বিরূপাক্ষ পাল যথারীতি প্রথম হলেন। আমি দ্বিতীয়। সেখানেই পরিচয় হলো আলী রীয়াজ স্যারের সঙ্গে। আমার বিতর্কের প্রশংসা করলেন। তাঁর ডিপার্টমেন্টে যেতে বললেন। মুহূর্তেই আপন করে নিলেন। এরপর কবে কীভাবে রীয়াজ ভাই হয়ে গেলেন তিনি, নিজেও জানি না। আলী রীয়াজের সঙ্গে সখ্যের সূত্রেই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যাওয়া-আসা শুরু হলো। আলী রীয়াজ, সুব্রত শংকর ধর আর আনিসুজ্জামান তিন তরুণ প্রভাষক বসতেন কোনার এক রুমে। তিনজন যেন টগবগে দীপ্ত তারুণ্যে। আমার মনে হতো এরা কেউ একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার এক উৎসব। বটতলায় ছাত্রনেতাদের বক্তৃতা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। মেজবাহ কামাল ছাত্রমৈত্রী করেন। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছেন। আলী রীয়াজ বাসদ ছাত্রলীগের নেতা। ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক। সদ্য শিক্ষক। এম এম আকাশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। সদ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আশা সোনালি প্রজন্মের এসব মেধাবী কেউ উপাচার্য হননি। আলী রীয়াজ এখন মার্কিন মুলুকে অধ্যাপনা করেন। সুব্রত দা বিশ্বব্যাংকের বড় কর্তা। আনিস ভাই ট্র্যাজেডির এক করুণ অধ্যায় রচনা করে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অন্য মেধাবীরা দায়িত্ব থেকে সযতেœ নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে দলীয় লেজুড়রাই রাজত্ব করেন। ক্ষমতাসীন দলেও যাঁরা ব্যক্তিত্ববান, প্রতিবাদী, নীতিমান তাঁরাও উপাচার্য পদটি ঝামেলা মনে করেন। ড. আবুল বারকাত, কিংবা ড. সাদেকা হালিম, ড. মিজানুর রহমানের মতো সরকার সমর্থক শিক্ষকেরও উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে সরকারের অজানা শঙ্কায় বুক কাঁপে! আমার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সম্ভবত শেষ মেরুদন্ডসম্পন্ন উপাচার্য। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবার ওপরে স্থান দিতেন। যিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে একটা শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি কখনো শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা সচিবের পিএসের রুমে নতজানু হয়ে বসে থাকেননি। দলীয় বিবেচনায়ও যে ভালো, উপযুক্ত এবং দক্ষ উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়, তার সর্বশেষ প্রমাণ অধ্যাপক চৌধুরী। এখন যাঁরা উপাচার্য হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান তাঁদের কাউকে কাউকে দেখে আমার আহমদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ উপন্যাসের কথা মনে পড়ে। আহমদ ছফার এ উপন্যাসের প্রথম লাইনটা এ রকম- ‘আবু জুনায়েদের উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রাপ্তির ঘটনাটি প্রমাণ করে দিল আমাদের এই যুগেও আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।’... হঠাৎ হঠাৎ উপাচার্য পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তার নাম শুনে মনের অজান্তেই ওই বাক্যটি বেরিয়ে আসে। আমার মাথায় দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, বিতর্কিত হওয়ার পরও উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন না কেন? ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা ধিকৃত, নিন্দিত হওয়ার পরও কেন পদ আঁকড়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন তাঁরা?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী। সামরিক সরকার তাঁর অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢুকিয়েছিল। নির্ভীক এই মানুষটি অভিভাবক হিসেবে এ ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। আর এখন উপাচার্যরা নিজেদের চেয়ার রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে পেটান! কী ভয়াবহ। অধ্যাপক শামসুল হকের বাসভবনে হামলা চালিয়েছিল ছাত্রদলের ক্যাডাররা। উপাচার্য ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। স্যার সে সময় ছিলেন না। ফিরে এসে পদত্যাগে সময় নেননি। আর এখন দেখি উপাচার্যরা শিক্ষার্থীদের সাত দিন অনশনের পরও চেয়ার আঁকড়ে থাকেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দলকানা, চাটুকার, অযোগ্য হলে তা ক্ষমতাসীনদের জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি বুঝি না সরকার কেন এসব লোভাতুর উদ্বাস্তুর ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয়। উপাচার্য পদটিকে কেন অনুগতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানো হয়। তার চেয়ে যদি ‘গাভী বিত্তান্ত’র উপাচার্য আবু জুনায়েদের মতো এদের একটি করে গাভী কিনে দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রক্ষা পেত।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
৯ দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তান গেলেন স্বরাষ্ট্র সচিব
৯ দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তান গেলেন স্বরাষ্ট্র সচিব

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ফেলানীর ছোট ভাইকে চাকরি দিলো বিজিবি
ফেলানীর ছোট ভাইকে চাকরি দিলো বিজিবি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সৌদি সফর শেষে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
সৌদি সফর শেষে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পূজার আমেজ, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পূজার আমেজ, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা’র আয়োজন
শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা’র আয়োজন

৩৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ‘এইচবিও ম্যাক্স’
বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ‘এইচবিও ম্যাক্স’

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সূর্যকুমারের কঠোর শাস্তি দাবি পাকিস্তানের
সূর্যকুমারের কঠোর শাস্তি দাবি পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ
দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি ও বই পড়ার আগ্রহ বিষয়ে ফকিরহাটে শুভসংঘের আলোচনা সভা
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি ও বই পড়ার আগ্রহ বিষয়ে ফকিরহাটে শুভসংঘের আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হবিগঞ্জ সীমান্তে দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
হবিগঞ্জ সীমান্তে দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্ন্যাপচ্যাটে নতুন দুই ফিচার চালু
স্ন্যাপচ্যাটে নতুন দুই ফিচার চালু

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু
টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প
শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা
৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা
বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

২২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন