শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২২ আপডেট:

শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণ মেয়রদের সেরা অর্জন

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণ মেয়রদের সেরা অর্জন

ঢাকা। আমাদের প্রাণের ঢাকা। তীব্র যানজট, ঠাসা মানুষের চাপে দমবন্ধ জীবন। শ্বাস গ্রহণেই যেন মৃত্যুকে আলিঙ্গন। এর মধ্যে তীব্র শব্দের অত্যাচার। রাতের ঢাকায় ছিনতাইয়ের উৎসব। খানা-খন্দে আচমকা পড়ে সর্বনাশের শঙ্কা। রাস্তাঘাট, বাজারহাট, শপিং মল সর্বত্র মানুষের ভিড়। মানুষ মানুষের ওপর। তার পরও এ শহরেই আমরা আঁকড়ে থাকি। এ শহরে মরার মতো আমরা বেঁচে থাকি। কেউ চাকরির জন্য। কেউ চিকিৎসার জন্য। কেউ সন্তানের লেখাপড়ার জন্য। কেউ জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে এ শহরে। ঢাকা নিয়ে মানুষ আর ভাবে না। ঢাকার উন্নতি, বাসযোগ্য নগরী গড়ে ওঠা ইত্যাদি নিয়ে কোনো স্বপ্নও দেখে না। এ শহরের আবর্জনা, দূষণ আর অস্থিরতাকে আলিঙ্গন করে বেঁচে থাকাই হলো পরম সৌভাগ্য।

সম্প্রতি আমাদের এ শহর বিশে^র দুটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বায়ুদূষণে আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছি। আর এবার শ্রেষ্ঠ হলাম শব্দদূষণে। সুইজারল্যান্ডের দূষণ রোধকারী প্রযুক্তি সেবাদাতা সংস্থা আইকিউ এয়ারের ‘বিশ্ব বায়ুদূষণ প্রতিবেদনে’ ঢাকা প্রায়ই শীর্ষে থাকে। শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য দিল্লির সঙ্গে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা করে। কখনো দিল্লি প্রথম, কখনো ঢাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শীর্ষস্থান মোটামুটি পাকাপোক্তই করে ফেলেছে। অন্যদিকে ৬১টি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে শব্দদূষণে সম্প্রতি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ঢাকা। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২২ : নয়েস, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকাকে শব্দদূষণের সেরা খেতাব দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা থাকে সহনীয় মানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এটি নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে।’

দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে ঢাকাকে দুটি শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ স্বীকৃতি নিঃশব্দেই আমাদের আপ্লুত করেছে। এটি ঢাকা মহানগরীর দুই মহান ও কীর্তিমান মেয়রের অসাধারণ অর্জন। এজন্য আমরা তাঁদের সংবর্ধনা দিতেই পারি। ঢাকা মহানগরী বড় হয়েছে। এজন্য সরকার ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি সিটি করপোরেশন গঠন করেছে বেশ ক’বছর আগে। দুই সিটিতে দুই মেয়র। দুজনই দারুণ করিৎকর্মা। টেলিভিশনের সৌজন্যে প্রতিদিনই তাঁদের নানা কসরৎ জাতি প্রত্যক্ষ করে। ঢাকাবাসীর মলিন জীবনে দুই মেয়র কিছুটা হলেও বিনোদনের খোরাক। দুই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে মেয়রদ্বয় নিজেরাই নিজেদের সফল বলে ঘোষণা করলেন। একজন মেয়র ঘোষণা করলেন, ‘আমরা দুই মেয়র মিলে শতভাগ সফল’। বাঃ বেশ! মেয়ররা যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তেমনি স্বঘোষিতভাবেই নিজেদের শতভাগ সফল ঘোষণা করলেন। মেয়রদের এ সাফল্যের ঘোষণায় শিহরিত হয়ে আমি অনুভবের চেষ্টা করলাম মেয়রদের কাজ কী? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়াটা সবচেয়ে নিরাপদ, ঝুঁকিহীন ও কর্মহীন পদ। মেয়রদের প্রথম কাজ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে অতিষ্ঠ জনজীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তোলা। দ্বিতীয় কাজ হলো ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানো। এই যে বায়ুদূষণ কিংবা শব্দদূষণ এ নিয়ে মেয়ররা অবলীলায় বললেন বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার জন্য এটা হচ্ছে। আমাদের কোনো দায় নেই। শুধু কথা আর আশ্বাস এবং কোনো বিষয়ে দায়িত্ব না নেওয়াই মেয়রদের কাজ। আমাদের দুই মেয়র নির্বাচনের সময় যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন তার ১০ ভাগ বাস্তবায়নের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তাঁদের নেই। আমাদের দুই মেয়রের কর্মধারা দুই ধরনের। একজন জনগণকে প্রতিপক্ষ এবং কখনোসখনো গিনিপিগ মনে করেন। জনগণকে ধমক দিয়ে ভয় দেখিয়ে বোঝাতে চান তিনি মেয়র। অন্যজন প্রশাসন এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের জন্য ত্রাস। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সাফল্য খুঁজে বেড়ান। এই যে কদিন পর ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হবে। নানা বেশে মেয়রদ্বয় মাঠে নামবেন। জনগণকে হুমকি দেবেন। নালা, আবর্জনা, খানাখন্দে গিয়ে ফটোসেশন করবেন। নিজেই ফগার মেশিন নিয়ে মডেল হবেন। (গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে) অথচ আবর্জনা, খাল, নোংরা নর্দমা ইত্যাদি পরিষ্কার করা সিটি করপোরেশনের রুটিন কাজ। মিরপুর, মোহাম্মদপুরের মতো মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার কথা বাদ দিন। গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকাগুলো এখন আবর্জনার ভাগাড়। এসব পরিচ্ছন্ন করার সময় নেই মেয়রদের। একজন এখন ব্যস্ত গাড়ির নম্বর প্লেট নিয়ে। জোড়-বিজোড় গাড়ি কবে কোনটা চলবে এমন অভাবনীয় আবিষ্কারের উন্মাদনায় কাঁপছেন আমাদের এক মেয়র মহোদয়। তাঁর আবিষ্কার এতই অভিনব যে তিনি নিজেই নিজেকে একটা পিএইচডি দিতে পারেন। ঢাকায় বিজোড় তারিখে যেমন ১, ৩, ৫ এসব দিনে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি চলবে। যেমন ১৫, ১৭, ১৯ সিরিয়াল। অথচ উত্তর সিটি করপোরেশনের সেবার তালিকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের কোনো কথাই নেই। কিন্তু উনি জোড়-বিজোড় তত্ত্ব দিলেন ঢাকাবাসীকে। মেয়রের এ আবিষ্কারের পর বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, ‘ভাই, আমার গাড়ি ২০ সিরিয়ালের, আমি ব্যাংকে চাকরি করি। আমার স্ত্রী চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ছেলে এবং মেয়ে দুজন দুই স্কুলে। আমি সকালে বাচ্চাদের স্কুলে নামাই, তারপর স্ত্রীকে নামিয়ে অফিসে যাই। ড্রাইভার ছেলেমেয়েকে দুপুরে বাসায় নিয়ে যান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে যান। সেখান থেকে গাড়ি এসে আমাকে নিয়ে যায়।’ তাঁর প্রশ্ন, বিজোড় দিনে আমি কী করব? গণপরিবহনের কী হাল তা কি মেয়র সাহেব জানেন? ব্যাংকার ভদ্রলোকের ওই প্রশ্নে আমি লা-জবাব। সাধারণ মানুষ যখন যানজটে নাকাল হয়, তখন আমাদের মহান মেয়রগণ বলেন, ‘এটা আমাদের কাজ নয়’। যখন রাতে ব্যস্ত সড়কে নিরীহ শিক্ষার্থী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান তখন মেয়ররা নীরব। ভোরবেলায় ছিনতাইকারীদের ছুরিতে যখন নিরীহ নাগরিক মারা যান তখনো তাঁরা ভূমিকাহীন। বেপরোয়া চালকের হাতে যখন স্কুল শিক্ষার্থীর মা পিষ্ট হন তখন মেয়ররা নিশ্চিুপ। এ নীরবতার পক্ষে তাঁদের অকাট্য যুক্তি- ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের নয়। সড়ক দুর্ঘটনাও মেয়রদের কাজের মধ্যে পড়ে না।’ অথচ দুই মেয়রই তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ, বসবাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন। নিরাপদ শহর মানে কী? এমন একটি শহর যেখানে নারী-পুরুষ নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবে। প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবে। কষ্টহীনভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে পারবে। শিক্ষা, চিকিৎসা নিয়ে বিচলিত হবে না। একজন মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে। আমি সাদামাটাভাবে এটাকেই নিরাপদ নগরীর প্রতিচ্ছবি মনে করি। নগরপিতা বা মেয়রের দায়িত্ব যদি নিরাপদ নগরী, বাসযোগ্য শহর বিনির্মাণ হয় তাহলে শহরের প্রতিটি নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা, জীবন-স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের নয়। ভালো কথা। ফুটফুটে শিক্ষার্থী প্রীতি মারা গেলেন। মেয়র হিসেবে তাঁর কাছে যাওয়া, ওই পরিবারকে সহানুভূতি জানানো কি মেয়রের উচিত ছিল না? আমি ধন্যবাদ জানাই তথ্যমন্ত্রীকে অন্তত সেই মানবিকতাটুকু তিনি দেখিয়েছেন। সন্ত্রাস, ছিনতাই বন্ধ যেমন মেয়রের কাজ নয় তেমনি অন্যের জমিতে কী হচ্ছে তা দেখাও তো মেয়রের দায়িত্ব নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম রেলের জমি নিয়ে এক মেয়রের নাটক। রেল কর্তৃপক্ষ এক জমি একটি প্রতিষ্ঠানকে লিজ দিয়েছেন। সে জমিতে কাজ থামিয়ে মেয়র মহোদয় বীরত্ব দেখালেন। রেলমন্ত্রীকে টেলিফোনে রীতিমতো ধমক দিয়ে বোঝালেন তাঁর কী ক্ষমতা। অথচ এই রেলমন্ত্রী যখন ছাত্রলীগ করতেন তখন মেয়র কী করতেন তার খবর হয়তো তিনি নিজেই জানেন না। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরা আসল আওয়ামী লীগকে যে পিষ্ট করছে এটি তার এক উদাহরণ। রেলমন্ত্রী আজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য লড়াই করেছেন। আর গার্মেন্ট ব্যবসায়ী হঠাৎ আওয়ামী লীগার হয়ে মেয়র বনে গেছেন। মেয়রের ওই বীরত্ব দেখে আমার বেশ পুরনো হিন্দি ছবি ‘নায়ক’-এর অনিল কাপুরের কথা মনে পড়ল। আমাদের মেয়ররা যদি এভাবে সিনেমার মতো সব ঠিক করে দিতেন! আমাদের দুই মেয়রই অদ্ভুত। যখনই তাঁদের সমস্যার কথা বলবেন তখনই তাঁরা বলবেন, ‘এটা তো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে না’। আবার জনগণকে নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁরা অবলীলায় জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছেন। যেমন ইউলুপ। মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে যদি আপনি গুলশান বা বনানীতে যেতে চান তাহলে আপনাকে নৌবাহিনীর সদর দফতর পেরিয়ে আবার ঘুরতে হবে। বনানী থেকে যদি আপনি বিমানবন্দরে যেতে চান তাহলে আপনাকে মহাখালী গিয়ে ইউলুপ ধরতে হবে। মহাখালী থেকে বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজটের প্রধান কারণ এসব ইউলুপ। জনসম্পৃক্তহীন, জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না এমন ব্যক্তিই এ রকম জনবিরোধী কাজ করতে পারেন। এখন আবার গাড়ি চলার জোড়-বিজোড় নাটক মহানগরীর মানুষের জন্য নতুন বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমাদের দুই মেয়র মাশাল্লাহ ধনাঢ্য। তাঁদের জোড়-বিজোড় সব ধরনের গাড়িই আছে। কিন্তু ওই ব্যাংকারের মতো হাজারো মানুষের কী হবে? উবার চালকদের কী হবে?

মেয়ররা কীভাবে নগর পরিচালনায় সিদ্ধান্ত নেন তার একটা চমৎকার উদাহরণ পাওয়া যায় লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের কাছ থেকে। সম্প্রতি সাদিক খান পুলিশ ও অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল সময়ে কীভাবে পুলিশকে আরও সংবেদনশীল করা হবে। কীভাবে লন্ডনে অপরাধ কমানো হবে তার একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা করা হয়েছে ওই কৌশলপত্রে। সাদিক খানের এ পরিকল্পনা স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের মতো উদয় হয়নি। এ পরিকল্পনা প্রণয়নে সাদিক খান ৪ হাজার লন্ডনবাসীর মতামত নিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। লন্ডনের মেয়রের কার্যক্রমের পরিধি অনেক বিস্তৃত। মেয়রের অধীনে ১০ জন ডেপুটি মেয়র রয়েছেন। যাঁরা ১০টি মূল বিষয় দেখাশোনা করেন। পরিবেশ, আবাসন, আইনশৃঙ্খলা, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, গণপরিবহন ইত্যাদি। নগরের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্ব লন্ডন মেয়রের হাতে। সে তুলনায় ঢাকার দুই সিটি মেয়রের ক্ষমতা নিতান্তই দুধ-ভাত। এই ক্ষমতাহীনতার মধ্যে তাহলে তাঁরা স্বপ্নের ঢাকার গল্প শোনান কেন? কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণে শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব পাওয়া দুই মেয়রকে এসব মাথায় রেখে কাজ করতে বললেন। কিন্তু অনুষ্ঠানেই দুই মেয়র অজুহাতের পাহাড় জমা করলেন। বললেন সমন্বয়হীনতার সেই পুরনো প্যাঁচাল। দুই মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে কথা হলো। মেয়ররা অভিযোগ নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে ওয়াসার কাঁধে তুলে দিলেন। দুই মেয়র জানালেন জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খাল ভরাট। খালগুলো ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই হস্তান্তরের আগেও একখণ্ড ‘খাল নাটক’ হয়ে গেল। মন্ত্রী ও মেয়ররা গেলেন খাল পরিদর্শনে। একটি খালের মর্মান্তিক মৃত্যু সরেজমিন প্রত্যক্ষ করলেন। আমরা ঢাকাবাসী আশায় বুক বাঁধলাম। এবার নিশ্চয়ই খাল উদ্ধার হবে। খালে নৌকা চলবে। ঢাকা শহরের কয়টা খাল উদ্ধার করেছেন মেয়ররা? আমাদের মেয়রদের ক্ষমতা নেই এ যেমন সত্যি, তার চেয়েও সত্যি ক্ষমতা পেলেও তাঁদের যোগ্যতার অভাব প্রকট হয়ে ওঠে। ঢাকা মহানগরীর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৮ সালে ঢাকার অন্তহীন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম। এ সাক্ষাৎকারের আগে থেকেই মোহাম্মদ হানিফ নগর সরকারের কথা বলে আসছিলেন। ওয়াসা, রাজউক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের অধীন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মোহাম্মদ হানিফ বিএনপির পতন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি ‘জনতার মঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। বিপুল জনপ্রিয়তা, অসাধারণ বাগ্মিতার কারণে জনতার মঞ্চে মেয়র হানিফ ছিলেন অন্যতম আকর্ষণ। ১৯৯৪ সালে মেয়র হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে মেয়র হানিফের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। হানিফ আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে হয়তো তাঁর নগর সরকারের দাবি মানা হবে। ওইদিন সাক্ষাৎকারে নগর সরকার না হওয়া নিয়ে হানিফ তাঁর হতাশার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন তাঁর সীমাবদ্ধতা এবং সমন্বয়হীনতার কথা। কিন্তু এ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পুরান ঢাকায় মেয়র হানিফ বেশ কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছিলেন। ঢাকা শহরকে ভুতুড়ে নগরী থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিয়েছিলেন। মেয়র হানিফের পর মেয়র হয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। খোকাও ঢাকার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। ’৯৬-এর নির্বাচনে ঢাকা মহানগরী থেকে তিনিই একমাত্র বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা মহানগরীর মতো এত বিপুল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত শহরে তিনি ছিলেন খণ্ডকালীন মেয়র। একদিকে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী অন্যদিকে ঢাকা সিটির মেয়র। এ দুই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো দিকেই মনোযোগ দিতে পারেননি।

এই সময়ে খোকার ক্যাডাররা সিটি করপোরেশনকে লুটপাটের আখড়া বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগ আমলেও সাদেক হোসেন খোকা প্রায় দুই বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু মেয়র হিসেবে স্মরণীয় কিছু করতে পারেননি তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাকে উন্নত ও গতিশীল করার জন্য একে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশে^র অনেক বড় শহরেই এভাবে সিটি করপোরেশনকে ভাগ করা হয়েছে কাজের সুবিধার জন্য। যেমন দিল্লির তিনটি সিটি করপোরেশন করা হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব। সে আলোকেই ঢাকায় দুটি সিটি করপোরেশন করা হয়। সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর নির্বাচনও হয়। উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন মেয়র নির্বাচিত হন। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়ে আনিসুল হক প্রথম নগরবাসীর চোখ খুলে দিয়েছিলেন। স্বল্পসময়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন ক্ষমতা কিছু নয় আসল হলো উদ্ভাবনী চেষ্টা আর দক্ষতা। জনগণকে সম্পৃক্ত করা। জনগণের কথা ভাবা। এককভাবে নয়, অংশীজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করা। স্বল্পসময়ে আনিসুল হক ঢাকাকে বদলে ফেলার কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন। তিনিই ঢাকার একমাত্র মেয়র যিনি সমস্যার উৎসমূলে গিয়ে তার সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। তেজগাঁওয়ে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করা, ‘ঢাকা চাকা’র মাধ্যমে তিনি ঢাকার যানজট নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর কিছু কিছু কাজ শেষ হলে অন্তত ঢাকা উত্তর পাল্টে যেত। যেমন কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া, বৃক্ষায়ন ইত্যাদি। আনিসুল হক বলেননি এটা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে নয়। বরং তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছিলেন। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ঢাকা উত্তর নতুন মেয়র পায়। নতুন মেয়র বলেন, আনিসুল হকের অসমাপ্ত স্বপ্ন তিনি সমাপ্ত করবেন। করেছেন বটে। ‘ঢাকা চাকা’র ছোট সাইজের বাসের বদলে তিনি গুলশান-বনানীতে বিশাল সাইজের বাস নামিয়েছেন। এটাই এখন ওই এলাকায় যানজটের কারণ। দুই মেয়র এখন শব্দ আর বায়ু দূষণের মতোই আরেক নতুন অত্যাচার। এখন শব্দের অসহ্য অত্যাচার আর শ্বাস বন্ধ করা বায়ুদূষণের মধ্যে অসুস্থ আমরা প্রশ্ন করতেই পারি, এ শহরে আসলে মেয়রের দরকার কী?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

২৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

৫৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম
আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম

দেশগ্রাম