শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

জাল টাকা

প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে

ঈদ সামনে রেখে জাল টাকার কারবারিরা এখন বেপরোয়া। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন ১০-১২টি চক্র সক্রিয় বলে তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে গোপনে চলে জালনোট তৈরির কাজ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আট জেলায় জাল টাকা সরবরাহ করা হয় বলে জানতে পেয়েছেন। আর জাল রুপি সরবরাহ করা হচ্ছে তিন জেলায়। এ ছাড়া তিন ধরনের জালনোটের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এ জালনোট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনকে শনাক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে পণ্যের মোড়কে জাল রুপির চালান আসছে চট্টগ্রামে। এরপর সেসব জাল মুদ্রা ঢাকায় এনে পাঠানো হচ্ছে সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সেখান থেকে পাচার করা হচ্ছে ভারতে। এ চক্রে দেশে-বিদেশে অন্তত ৩০ জন সদস্য সক্রিয় রয়েছেন। এ চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা বলছে, ঢাকার মানুষ তুলনামূলক সচেতন। তাই ঢাকার বাইরে জালনোটের কারবারিরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। গত কয়েকদিনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে জালনোটের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ও সিরাজগঞ্জে জাল টাকার বাণিজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও লালমনিরহাটে হয় জাল রুপির বাণিজ্য। এসবের সঙ্গে জড়িতের শতকরা ৯৯ জনই জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাজ করেন। জালনোট তৈরিতে বিদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততা আছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজন পুলিশে আটক হয়েছেন। সাধারণত বড় উৎসব এলে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ে। এ সময় নোট জালকারী চক্রগুলোও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এজন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ শপিং মলে জালনোট শনাক্তকরণে মেশিন সরবরাহ করা দরকার। এ ছাড়া নিয়মিত পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে জালনোট বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে। জালনোট প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর