শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ আপডেট:

আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে

গত ৩০ এপ্রিল দীর্ঘ প্রতীক্ষার সমাপ্তি ঘটল গাফফার ভাইকে দেখতে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেয়ে। লন্ডন পুলিশ সব সময়ই আমাকে একা না বেরোনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কেননা সেখানে খুনি তারেক জিয়ার মাস্তান বাহিনীর যারা টার্গেটে আমি তাদের অন্যতম। অতীতে তারেকের মাস্তানরা আমাকে দুই দফা আক্রমণ করেছিল। তাই আমার ছাত্র সলিসিটার মেহেদি হাসানকে নিয়ে বেরুলুম বহু দূরে অবস্থিত বার্নেট হাসপাতালের পথে। পৌঁছে দেখি গাফফার ভাই জাগ্রত, কিন্তু চোখ বুজে যেন কী ভাবছেন। চোখ খোলার পর শুভ সন্ধ্যা জানিয়ে বললেন, চোখ বন্ধ করে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটি মনে মনে গাইতে ছিলাম- যে গানটির প্রথম লাইনগুলো ছিল “আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে, পান্থ পাখির কুজন কাকলি ঘিরে, আগামী পৃথিবী কান পেতে তুমি শোন, আমি যদি আর নাই আসি হেথা ফিরে।” কিংবদন্তি দুজন গীতিকার গৌর প্রসন্ন মজুমদার এবং নচিকেতা ঘোষের লেখা গানটি প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের যৌবনকালে গাওয়া গান হলেও এ গানটিই ছিল তার গাওয়া শেষ গান ও আর সেটি তিনি গেয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে তার প্রয়াণের কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে।

এরপর গাফফার ভাই জিজ্ঞেস করলেন তার লেখা একুশের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি কি আগামী পৃথিবী কান পেতে শুনবে? আমার জবাব ছিল যতদিন এ পৃথিবীতে সূর্যোদয় ঘটবে, যতদিন বাংলা ভাষা বেঁচে থাকবে আপনার সেই কালজয়ী চির অমর গানের স্বরলিপিও ততদিন লেখা রবে পান্থ পাখিদের কূজন কাকলি ঘিরে। আর সেই সঙ্গে আপনার স্মৃতিও চির জাগ্রত থাকবে পৃথিবীর সব বাঙালির মনে। কথাটি শুনেই গাফফার ভাইয়ের চোখ থেকে পানির ঢল নামল। একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা নার্স এসে বললেন গাফফার ভাইকে এমন কিছু না বলার জন্য যাতে তিনি আবেগময় হয়ে পড়েন। মাত্র কদিন আগেই তার তৃতীয় কন্যা বিনোতা চৌধুরী বহুদিন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে অসময়ে ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। মেয়ের এ অকাল মৃত্যু গাফফার ভাইকে মারাত্মকভাবে মর্মাহত করেছে। বলতে গেলে এর পর থেকে তার চোখের পানি আর বন্ধ হয়নি। বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকার জন্য তার লেখাও বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পর তার বহু যুগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেবের মৃত্যুও তার কাছে আরও এক অসহনীয় আঘাত হিসেবেই হাজির হয়। গাফফার ভাইয়ের মধ্যে অতীতে যে সাহস, উদ্দীপনা দেখতাম, তা যেন অনেকাংশেই ম্লান হয়ে গেছে, তার কন্যার অকাল মৃত্যুর কারণে। তবুও তিনি পুরনো স্মৃতি টেনে এনে অনেক কথা বললেন। মনে করিয়ে দিলেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গোটা বিশ্বে তিনিই প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন ‘বাংলার ডাক’ নামে এক পত্রিকা, বঙ্গবন্ধু গবেষক, বিশিষ্ট লেখক প্রয়াত আবদুল মতিন এবং এম আর আখতার মুকুলের সহায়তায়। গাফফার ভাই আবার জোর দিয়ে বললেন, আমার প্রয়াত স্ত্রী লায়লা চৌধুরী হাসির টাইপিং সহায়তা ছাড়া, বাংলার ডাক প্রকাশ করা তার পক্ষে সম্ভব হতো না। সেই পত্রিকায় তিনি সে বছরই লিখেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল চাবিকাঠি নেড়েছিল খুনি জিয়াউর রহমান, যে দাবিটি পরে সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে মৌলবাদ এবং ধর্মান্ধতার উত্থান যে তাকে মারাত্মকভাবে শঙ্কিত করে তুলেছে তা তিনি বারবার প্রকাশ করে বলছিলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্মান্ধতা এবং ধর্মের নামে ব্যবসাকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, কিন্তু জিয়া গং তাকে হত্যা করে পাকিস্তানি প্রভুদের প্রেরণা পেয়ে দেশে আবার ধর্মান্ধতা এবং ধর্মীয় রাজনীতি ফিরিয়ে এনেছে, যাকে পরবর্তীতে জ্বালানি দিয়ে জীবিত রেখেছে জিয়ার স্ত্রী খালেদা। প্রশ্ন করলেন এ ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তিকে পরাস্ত করা কতটা সম্ভব? জানতে চাইলেন হেলিকপ্টারে চড়ে, কোটি কোটি টাকা অনৈসলামিক পন্থায় নিরীহ মানুষদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে যেসব ওয়াজ ব্যবসায়ী ধর্মের নামে ঘৃণার বাণী ছড়াচ্ছে, অন্য ধর্মের লোকদের বিরুদ্ধে কথা বলে সম্প্রীতির পরিবেশ ধ্বংস করছে, নারীদের কর্মে যোগদানের বিরুদ্ধে কথা বলে দেশের ধ্বংস ডেকে আনার পাঁয়তারা করছে, আর দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, সেই ওয়াজগুলো কেন বন্ধ করা হচ্ছে না, কেন এসব ওয়াজ ব্যবসায়ীদের বিচারে তোলা হচ্ছে না। তিনি বললেন টাকা চেয়ে ইসলামের জন্য ভাষণ দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম, অথচ এসব ওয়াজ ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা দাবি করে, হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করে ওয়াজের নামে প্রতিনিয়ত পাপ কাজটিই করে যাচ্ছে। আয়কর না দিয়ে, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ওয়াজের ব্যবসা করে তারা রাষ্ট্রের আইনও ভঙ্গ করছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে গাফফার ভাই পড়াশোনা শুরু করেছিলেন মাদরাসার ছাত্র হিসেবে, তাই ইসলাম ধর্মের ওপর তার জ্ঞানে ঘাটতি আছে তা বলা যাবে না। তাই ওয়াজ ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তিনি যা বললেন তা বিশ্বাস করতেই হয়। তিনি বললেন, ধর্ম পালন করা এক জিনিস আর ধর্মের নামে পয়সা উপার্জন করা অন্য জিনিস, যাকে ধর্ম ব্যবসা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তারা এসব ওয়াজ ব্যবসায়ীকে ঠিকই চিনে। কিন্তু অবসর সময়ে বিনোদনের অন্য কোনো পথ, যথা যাত্রা, নাটক ইত্যাদি খোলা না থাকায় তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই এসব ওয়াজ ব্যবসায়ীর অনুষ্ঠানে যায়। আরেক ওয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আজহারিকে বিলেতে ঢোকার পথ বন্ধ করার জন্য বিলেতের হাই কোর্টে মামলা করে যারা সফল হয়েছিলেন, যথা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা আনসার আহম্মদউল্লা, জামাল খান, স্নিগ্ধা, নূর, মুজিব প্রমুখের প্রশংসা করে তিনি বললেন তারা একটি গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অধ্যাপক ড. লতা সমাদ্দার, হৃদয় মন্ডল, আমুদিনি, ঝুমন দাস, মনোরঞ্জন দাস প্রমুখদের ওপর ধর্মান্ধদের আক্রমণের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন প্রশাসন, পুলিশ এবং এমনকি নিম্ন আদালতগুলোতে এত ধর্মান্ধের অনুপ্রবেশ কীভাবে ঘটল? তিনি আরও বললেন এরা যে দন্ডবিধির ২৯৫ ক ধারায় এদেশ থেকে হিন্দু তাড়ানোর জন্য অপপ্রয়োগ করছে সেটা অনেকটাই পরিষ্কার, ২০০১-এর নির্বাচনের পরে যেমনটি করেছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার, যখন হাজার হাজার হিন্দুকে এ দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমরা ১৫ জনের একটি শক্তিশালী দল যে হৃদয় মন্ডলের সমর্থনে মুন্সীগঞ্জ গিয়ে ধর্মান্ধদের সতর্ক করে দিয়েছিলাম, গাফফার ভাই তাও জেনেছিলেন এবং এ কারণে আমাদের অভিনন্দনও জানালেন। তিনি জানতে চাইলেন বাংলাদেশে এত হিজাব পরিহিত মহিলার আবির্ভাব কীভাবে ঘটল? এটা তো কখনো আমাদের সংস্কৃতির অংশ ছিল না? বললেন আমাদের দাদি-নানিরা তো পর্দা করতেন মাথায় ঘোমটা দিয়ে, তারা তো হিজাব-টিজাব চিনতেন না। আরও বললেন হিজাব দিয়ে মোটেও পর্দা হয় না। তিনি উল্লেখ করেন এর পেছনে আন্তর্জাতিক মৌলবাদী গোষ্ঠীসমূহের যেমন প্রত্যক্ষ মদদ এবং অর্থায়ন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর ভূমিকা। তিনি জিজ্ঞেস করলেন ঢাকার পাকিস্তানি দূতাবাসের বহু অপকর্ম হাতেনাতে ধরা পড়ার পরেও কেন এ দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না? ধর্মান্ধদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সমরে নামার জন্য তিনি শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. মামুন মাহতাব স্বপ্নীল, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলি সিকদার, আবেদ খান, স্বদেশ রায়, রাশেদ খান মেনন, বাদশা, এরোমা দত্ত প্রমুখের নাম উল্লেখ করে প্রশংসা করলেন। বললেন, ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যে গুরুদায়িত্ব পালন করছে, তার ইতিবাচক ফল অবশ্যই ঘটবে। তিনি এটা বুঝতে অক্ষম মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া সরকার কেন মৌলবাদীদের সঙ্গে আপসের পথ বেছে নিয়েছে। এদের এখনই কঠোর হাতে সমূলে ধ্বংস না করলে এরা তো জিয়াউর রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করবে। তিনি বারবার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রক্ষায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, তাই তার হাতকে শক্তিশালী করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছিলাম বলে, জিয়াউর রহমানকে ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে চিহ্নিত করে রায় দিয়েছিলাম বলে গাফফার ভাই বললেন, এসব কথা ইতিহাস থেকে মুছে যাবে না। তিনি বলেন, লন্ডনের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে জিয়ার খুনি পুত্র তারেক রহমান পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলির সার্থক ভূমিকার কথাও মনে করিয়ে দেন। নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে তাকে ততটা চিন্তিত মনে হলো না, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গাফফার ভাইয়ের উৎকণ্ঠা তার চেয়েও অনেক বেশি বলে মনে হলো। তার দুটি বৃক্কই সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে বলে ডায়ালাইসিস সম্ভব নয়। বিভিন্ন কারণে বৃক্ক প্রতিস্থাপনও চলবে না। তাই ইনজেকশনের সাহায্যেই তাকে বেঁচে থাকতে হবে। সম্প্রতি তারেক রহমানের উপদেষ্টা হাসনাত হাসান, আবু তাহের সিংকাপুনি এবং আরও কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের নিয়ে হাউস অব কমন্সে রুম ভাড়া করে, ড. জাফরুল্লাহ এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য সরকারি স্বীকৃতি পায়নি এমন কয়েক ব্যক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রদানের নামে যে নাটক ঘটাল, গাফফার ভাই সেটিকেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, হাসনাত সাহেবের (যিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না) সঙ্গে যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পরিচিত মুখ, যথা শামসুল আলম লিটন নামক বিএনপি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের অতিরিক্ত প্রেস সচিব। তাছাড়া আবু তাহের সিংকাপুনি তো স্বীকৃতভাবেই জামায়াতি পত্রিকা ‘দাওয়াত’-এর সম্পাদক ছিলেন, যে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিল বিলেতে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মইনউদ্দিন। আবু তাহের সিংকাপুনি পাঁচ হাজার যোদ্ধা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলে যে দাবি করেছে, গাফফার ভাই তাকে হেলোসিয়েশন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনটি হলে তো তার বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়ার কথা, অথচ তার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটেও স্থান পায়নি। গাফফার ভাই বললেন, আবু তাহের সিংকাপুনি যাকে সাক্ষী রেখেছেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সেই প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত গিয়াস উদ্দিন সাহেব নির্দ্বিধায় বলেছেন আবু তাহের সিংকাপুনির পুরো পরিবারই জামায়াতি আদর্শের প্রতি অনুগত। অনেকক্ষণ কথা বলার পর নার্স জানালেন এখন বিদায় নিতে হবে, তাই প্রস্থান। কিন্তু প্রস্থানের আগে বললেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে কেউ উৎখাত করতে পারবে না। এর দুই দিন পরেই আমার ¯ন্ডেœহধন্য ছোট বোন সম হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাছনিম ফোন করে জানালেন তার বাসভবনে তিনি গাফফার ভাইয়ের সদ্য প্রয়াত মেয়ে বিনোতা চৌধুরীর স্মৃতির সম্মানে একটি অনুষ্ঠান করবেন। এতে অংশগ্রহণকারীগণ গাফফার ভাইয়ের পরিবারের সদস্য এবং তাদের ঘনিষ্ঠজনদের জন্য হলেও হাইকমিশনার মহোদয়া দুজন বাইরের লোককে আমন্ত্রণ করেছেন, যার একজন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ প্রধান সুলতান শরিফ, আর অন্যজন আমি। হাইকমিশনার মহোদয়া গাড়ি পাঠিয়েছিলেন আমার যাত্রার জন্য। সেখানে উপস্থিত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ বিনোতার বিষয়ে ভাষণদানকালে গাফফার ভাইয়ের জীবনী এবং বাঙালি জাতির অভিভাবক হিসেবে তার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাকে সারা পৃথিবীর বাঙালি জনগোষ্ঠী তাদের বিবেক বলে মনে করেন, যিনি তার একুশের অবিস্মরণীয় গানের জন্য অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্মৃতির জগতে। হাইকমিশনারও গাফফার ভাইকে একজন আলোর দিশারী, বাতিঘর বলে উল্লেখ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা করে, বিশেষ ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে গাফফার ভাইকে হাইকমিশনারের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এ অনুষ্ঠানটি করে যুক্তরাজ্যে আমাদের হাইকমিশনার যে মহৎ কাজটি করেছেন তার জন্য তিনি নিশ্চয়ই সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার। তিনি নিজেও বিশেষভাবে উদ্যোগী ছিলেন, যার আরেকটি কারণ ছিল এই যে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত সব কূটনীতিক তাকে ভোট দিয়ে বছরের সেরা কূটনীতিক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। গাফফার ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে তোলা ছবিটি ঢাকায় অনেককেই পাঠিয়েছিলাম। ছবি দেখার পর ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিক, স্টেটম্যান পত্রিকার সাবেক সম্পাদক, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রী মানস ঘোষ আমাকে জানালেন এ ছবি দেখে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। গাফফার ভাইয়ের সঙ্গে যারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করছেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলি তাদের অন্যতম, আর তাই গাফফার ভাইয়ের স্মৃতিচারণে তার কথা বিশেষ স্থান পেয়েছিল। হাইকমিশনের বাড়িতেই ছিল তার সঙ্গে এবারের শেষ দেখা। বিদায় নেওয়ার সময় গাফফার ভাই কবিগুরুর একটি কবিতার দুটি লাইন আবৃত্তি করলেন, যা ছিল ‘যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই, যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।’ তার এই আবৃত্তি শুনে কান্না থামাতে পারিনি। তবে নিজের মধ্যে বিশ্বাস আনার জন্য মনে মনে মান্না দের সেই বিখ্যাত গানের কথা মনে করে ভাবলাম, এ দেখাই যেন শেষ দেখা না হয়। আশা করব গাফফার ভাই অচিরেই ঢাকা আসতে পারবেন। এই মুহূর্তে তার বড় ইচ্ছা আত্মজীবনী লেখা। তার আগ পর্যন্ত পত্রপত্রিকায় আর লেখার ইচ্ছা তার নেই। ঢাকায় ফেরার পর অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বদেশ রায়, ভারতের মানস ঘোষ, রাশেদ খান মেননসহ বহুজন জিজ্ঞেস করলেন গাফফার চৌধুরী সাহেব কেমন আছেন। তাদের বলতে পারিনি ‘তিনি ভালো আছেন’, কেননা তা হতো সত্যের অপলাপ। সবাই এক বাক্যে বললেন, এই মুহূর্তটায় গাফফার সাহেবের প্রয়োজন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আরও বললেন, তার প্রস্থানের পর যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে, তা পূরণ হওয়ার নয়। গত অর্ধশতক ধরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে যেভাবে শব্দযুদ্ধ চালিয়েছেন, তা কি অন্য কেউ পারবে? সবাই আশা করছেন তিনি ভালো হয়ে যাবেন, ঢাকায় বেড়াতে আসবেন। আশা করি তাদের সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হবে। জয়তু গাফফার ভাই।

                লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
সর্বশেষ খবর
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গরমে জিরা পানিতে ঠান্ডা থাকবে পেট, বাড়বে হজমক্ষমতা
গরমে জিরা পানিতে ঠান্ডা থাকবে পেট, বাড়বে হজমক্ষমতা

৫৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান
সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জমজ সন্তানের মা হওয়ার কথা জানালেন অ্যাম্বার হার্ড
জমজ সন্তানের মা হওয়ার কথা জানালেন অ্যাম্বার হার্ড

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লিভারপুল-আর্সেনালের রোমাঞ্চকর ড্র
লিভারপুল-আর্সেনালের রোমাঞ্চকর ড্র

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি
ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচে জয়হীন ম্যানইউ
প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচে জয়হীন ম্যানইউ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!
অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'
'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ
কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী
বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২
ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান
পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট
ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ মে)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাকে আনফলো করুন, কিছুই বলব না: হিনা খান
আমাকে আনফলো করুন, কিছুই বলব না: হিনা খান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

১২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

প্রিন্ট সর্বাধিক
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!

সম্পাদকীয়

গরু আসার নতুন রুট
গরু আসার নতুন রুট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত
আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর
ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন
টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন

শোবিজ

সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল
সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি
চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি

মাঠে ময়দানে

এক পিস ডাব ২০০ টাকা
এক পিস ডাব ২০০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র
একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা
পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা
প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা

মাঠে ময়দানে

ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ
ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ

শোবিজ

রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা
রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা

মাঠে ময়দানে

বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?
বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?

মাঠে ময়দানে

অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা
অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা

মাঠে ময়দানে

ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড

শোবিজ

তুষির রঙ্গমালা
তুষির রঙ্গমালা

শোবিজ

ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম
ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম

শোবিজ

মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ
মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব পুতিনের
ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব পুতিনের

পূর্ব-পশ্চিম

এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন
এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

প্রথম পৃষ্ঠা

রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে
রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে

নগর জীবন

সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ
সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা

সম্পাদকীয়

ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না
ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা