শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্ববাণিজ্য

স্বল্পোন্নতদের স্বার্থ সুরক্ষা জরুরি

ধনী ও উন্নত দেশগুলোর অনুদার মনোভাবের শিকার হচ্ছে গরিব ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো। বিশ্ববাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রাপ্য সুবিধা দিতে নারাজ কায়েমি স্বার্থের প্রতিভূরা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট দানা বেঁধে উঠেছে। এমন একসময় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকেও সংকট উত্তরণে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বদলে ধনী দেশগুলো ছাড় না দেওয়ার অবিবেচনাপ্রসূত চর্চাকে প্রাধান্য দিয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশের মতো দেশগুলো অনুদার মনোভাবের শিকার হতে পারে আগামীতে এমন আশঙ্কায় ভুগছে। কারণ এর ফলে বাংলাদেশ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হারাবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার এবারের সম্মেলনের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল গভীর সমুদ্রে অবাধে মাছ শিকারে ভর্তুকি বন্ধ, কৃষিতে ভর্তুকি কমানো, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখা ইত্যাদি। এসব দাবির কোনোটাই পুরোপুরি পূরণ হয়নি। তবে করোনা-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি উন্নত দেশগুলোর আর্থিক ও বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খাদ্য চলাচলে বাধা না দেওয়া- এসব ইস্যুতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আলোচনা হয়েছে। ইস্যুগুলোর মীমাংসার জন্য সম্মেলনের সময় এক দিন বাড়িয়েছে ডব্লিউটিও। তার পরও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো অমীমাংসিত রেখেই শেষ হতে পারে সম্মেলন। সম্মেলনের শুরু থেকে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর যেসব দাবি ছিল সেগুলো থেকে অনেকটাই সরে আসতে বাধ্য হয়েছে কোনো কোনো দেশ। উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে এবং যেসব দেশ ইতোমধ্যে উত্তরণ করেছে তাদের টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখার ব্যাপারে সহায়তা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ডব্লিউটিও মতবিনিময় প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। আমরা আশা করব, বিশ্বের শান্তি- স্থিতিশীলতার স্বার্থে ধনী দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থের দিকে নজর দেবে। এসব দেশের মানুষকে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর