আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিষেবার মান যেন দিন দিন নামছে। পাসপোর্ট আর জনহয়রানি সমার্থক শব্দ হতে চলেছে। প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার মানুষ আসে পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে। তাদের সঙ্গে থাকে প্রায় সমসংখ্যক স্বজন। পাসপোর্টের ভুলত্রুটি সংশোধনের
জন্যও অফিসটিতে প্রতিদিনই অনেকে আসছে। এত মানুষের সেবা দেওয়ার মতো জনবল ও অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ভিড় দেখে অনেকে দালাল চক্রের ওপর ভরসা করতে বাধ্য হয়। অনলাইনভিত্তিক পাসপোর্ট পরিষেবা হওয়ায় দালালদের শরণাপন্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে বাস্তবতা বলে দেয় সে আহ্বানে মানুষ সাড়া দিচ্ছে না আস্থার সংকটের কারণে। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকরা অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করার দীর্ঘদিন পর সিরিয়াল পাচ্ছেন। জমা দিতে গিয়ে ভিড় ঠেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে আবেদন জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট আনতে গিয়েও ব্যয় হচ্ছে দীর্ঘ সময়। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের ভিড় কমাতে নতুন দুটি অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসিং সেন্টার বা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালুর চেষ্টা চলছে। এর একটিতে ঢাকা পূর্বাঞ্চল যথাক্রমে মতিঝিল, পল্টন, রামপুরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীর চর, খিলগাঁও, চকবাজার, দোহার ও বংশাল এবং ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল যেমন আদাবর, সাভার, ধামরাই, শাহআলী, তুরাগ, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। ঢাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন জেলার নাগরিকরা এ অফিসগুলো থেকে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে। পাসপোর্ট কেন্দ্র দুটি অতি দ্রুত চালু করা দরকার। পাসপোর্ট বিভাগের কর্মীদের অদক্ষতায় ভুলত্রুটি ঘটে অহরহ। যা রোধে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কেন্দ্রগুলোয় দক্ষ লোকদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ভুল সংশোধনে পাসপোর্ট গ্রহীতাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর প্রবণতা রোধ করাও জরুরি। পাসপোর্ট অফিসে কর্মরতদের সততা ও দেশপ্রেম নিশ্চিত করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক।