রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু ও করোনা

সতর্কতার বিকল্প নেই

ডেঙ্গুর থাবায় রাজধানীসহ সারা দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে করোনাভাইরাসের পঞ্চম আগ্রাসনের। একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনার থাবা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ডেঙ্গুতে মারা গেছেন দুজন। এ নিয়ে চলতি বছর ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছর দেশের হাসপাতালগুলোয় ১৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ১০৯। ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৮৯১। বর্তমানে হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ৫১৪ জন চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ হয়ে দেখা দেয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বেশি হয়। কিডনি, লিভার ফেইলিউর হয়। সে কারণে ডেঙ্গুতে শিশুদের মৃত্যুহার বেশি। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলা শিশুরা ঘুমালে মশারি টানাতে হবে। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোথাও স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় নজর রাখতে হাসপাতালগুলোকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট, চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোগী ব্যবস্থাপনায় নজর রাখতে বলা হয়েছে। শিশুদের ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো না হলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেরি হয়ে গেলে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়। শিশুদের মৃত্যুর পেছনে এটা একটা বড় কারণ। জ্বর এলে অভিভাবকরা অবহেলা করে হাসপাতালে আসেন দেরিতে। শুরু থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হওয়ায় রোগীর অবস্থা জটিল হয়। ডেঙ্গুর ভয়াল থাবার পাশাপাশি সারা দুনিয়া থেকে করোনাভাইরাস লোপ পেতে চললেও বাংলাদেশে সংক্রমণের হার আড়াই মাস পর ১৫ শতাংশ ছড়িয়ে গেছে। শুক্রবার মারা গেছেন একজন। করোনাভাইরাস যাতে আবার বড় ধরনের থাবা বিস্তার না করতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহারে অবহেলা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। বিশেষ করে মসজিদ মন্দির গির্জা প্যাগোডার মতো উপাসনালয়সহ সমাবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর