সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি

আইন প্রয়োগকারীদের কঠোর হতে হবে

দেশে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে আটক করছে অবৈধ অস্ত্র। এর হোতাদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তারপরও অবৈধ অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম্য থামছে না। ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত ডিঙিয়ে আসছে অস্ত্রের চালান। দেশেও তৈরি হচ্ছে ছোটখাটো আগ্নেয়াস্ত্র। নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বাড়ছে। অতি সম্প্রতি বেনাপোল সীমান্তে ধরা পড়েছে ৭টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড গুলি। ভারত থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের  চালান আসছে এমন সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার রাত ১২টায় অগ্রভুলাট ও দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি নাইন এমএম পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। বিজিবির ধারণা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করতে ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র ভারত থেকে আনা হচ্ছিল। আটক অস্ত্র ব্যবসায়ী বিজিবির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকার করেছেন। অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার গাবতলী থেকে একটি প্রাইভেট কারসহ পাঁচজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে ম্যাগাজিন, গুলিসহ ৮টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ৩০ আগস্ট র‌্যাব-৭ বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব জঙ্গল চাম্বল গ্রামের একটি পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। এ কারখানার উৎপাদিত অস্ত্রগুলো ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে সরবরাহ করা হতো। অবৈধ অস্ত্র দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। অস্ত্রধারী মানুষবেশী শকুনদের দাপটে প্রতিটি জনপদ অনিরাপদ হয়ে উঠছে। টেন্ডার বাণিজ্যের ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে অস্ত্রবাজদের হাতে। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সততার সংকট থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কোন এলাকায় কারা অবৈধ অস্ত্রধারী এটি সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় শতভাগ লোকেরই জানা। নতজানু মনোভাব পোষণ না করলে অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা কঠিন হওয়ার কথা নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর