রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘাতক রোগ স্ট্রোক

ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতার বিকল্প নেই

স্ট্রোক সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে ঘাতক রোগে পরিণত হয়েছে। একসময় একে ভাবা হতো প্রবীণদের রোগ। কিন্তু এখন শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। বয়স বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। দেশে তৃতীয় মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্ট্রোককে দায়ী করা হয়। বয়স্ক শুধু নয়, ৪০ বছরের নিচের তরুণ এমনকি শিশুরাও স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এই বয়সী রোগীদের আক্রান্ত হওয়ার হারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকার বাইরে অপ্রতুল। অথচ দূরদূরান্ত থেকে ঢাকায় রোগী নিয়ে আসতে রাস্তায়ই নষ্ট হচ্ছে জীবন বাঁচানোর সুযোগ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই স্ট্রোকের ঝুঁকিতে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে প্রতি ১০০ জনে ৩৬ জন স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া রোগটিতে আক্রান্ত ১৯ শতাংশের দেহে অতিরিক্ত মেদ, ১৭ শতাংশ মানসিক চাপে ভোগেন। ২৩ শতাংশ জাঙ্কফুডে আসক্ত। স্ট্রোক হলে ব্রেনে প্রতি মিনিটে ২০ লাখ নিউরন ধ্বংস হয়। তাই প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরের ৪ ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার। এ সময় রোগীকে হাসপাতালে আনলে ওষুধের মাধ্যমে কিংবা অপারেশন করে সুস্থ করতে পারেন চিকিৎসক। দেরি হলে পঙ্গুত্ব ও জীবনহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্ট্রোকের রোগীকে দ্রুত নিয়ে আসার সুবিধার্থে এর লক্ষণগুলো জানা জরুরি। মুখ এক পাশে বেঁকে যাওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ঠিকমতো সাড়া না দেওয়া, একটা জিনিস দুটা দেখতে পাওয়া, অনেক সময় দেখতেও পান না রোগী। শরীরে ভারসাম্য না পেলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্ট্রোক হয়েছে। স্ট্রোকে আক্রান্তের পর দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্ট্রোকের আগ্রাসন ঠেকাতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল, ধূমপান ও স্থূলতা এড়াতে হবে। খাদ্য তালিকায় চর্বিজাতীয় খাদ্য না থাকাই উত্তম। তার বদলে খেতে হবে বেশি বেশি শাকসবজি, ফলমূল। তাতে স্ট্রোককে না বলা শুধু নয়, সুস্থ জীবনযাপনও নিশ্চিত হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর