শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ আপডেট:

আইএমএফের কাছে নতিস্বীকার নয়

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
আইএমএফের কাছে নতিস্বীকার নয়

চিন্তা-চেতনায় জনগণ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। দেশের সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক অধিকার সরকারের। সরকার জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উক্ত কাজের ব্যত্যয় ঘটতে পারে তবে সেই ব্যত্যয়ের জন্য সরকার জনগণের কাছে দায়ী। সরকার জনগণের প্রয়োজনে এবং তার পররাষ্ট্রনীতির আওতায় পৃথিবীর যে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে পাারে। সে ঋণ শর্ত যুক্ত বা শর্ত মুক্ত হতে পারে। তবে যারা ঋণ দেবে তাদের সে সব শর্ত মেনে সরকার সেই ঋণ নেবে কিনা তা সরকারের একান্ত বিবেচনার বিষয়। আদর্শগতভাবে সরকার জনগণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সহজ শর্তে ঋণ নেবে তাহাই বাস্তবতা। তবে সময়ের আলোকে জনগণের প্রয়োজনে বা জরুরি চাহিদা পূরণে বা জনগণের কোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনের জন্য সরকার কঠিন শর্তেও ঋণ নিতে পারে। এমনকি সরকার তার কায়েমি স্বার্থেও বিদেশি ঋণ নেওয়ারও সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করে। যদিও এ ধরনের ঋণ নিলে জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে।

যে কোনো আদর্শবাদী সরকার ঋণ নেওয়ার আগে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে যে কোনো দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পারদর্শী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর সঙ্গে গোপন বা খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। এ ব্যাপারে সরকার জনমতও গ্রহণ করতে পারে। সাধারণত সরকার জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে বা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বা প্রকল্প প্রাথমিকভাবে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। সাময়িক আর্থিক ঘাটতির কারণে দেশের প্রবৃদ্ধি ও জনগণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সরকার তার সার্বভৌম ক্ষমতা বলে যে কোনো সূত্র থেকে স্বীয় বিবেচনায় শর্ত মুক্ত বা যুক্ত ঋণ নিতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হতে উত্তরণের জন্যও ঋণ নিতে পারে। এমনকি রাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে বা যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হলে যুদ্ধের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়াও দেশের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়লে বা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে সরকার জরুরি ভিত্তিতে চরম প্রতিকূল শর্ত মেনেও ঋণ নিতে পারে। তবে সর্বোত্তম ঋণ হলো যে ঋণ নিয়ে দেশে সামষ্টিক উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের চাহিদা পূরণ করে ব্যাপক হারে বিদেশে রপ্তানি করার সক্ষমতা সৃষ্টি করে। এ ধরনের ঋণ নিয়ে বিদেশের বাজারের চাহিদা পূরণে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করে ব্যাপক হারে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, উৎপাদন সক্ষমতা ও জাতীয় আয়ও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। এর ফলে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ এবং ঋণ গ্রহণ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে কোনো ঋণ নেওয়ার জন্য তিনটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করা আবশ্যক। প্রথমত বিবেচনা করতে হবে ঋণের প্রয়োজনীয়তা দ্বিতীয়ত ঋণটি যথাযথভাবে ব্যবহার করার সক্ষমতা এবং তৃতীয়ত ঋণটি সময়মতো পরিশোধ করার নিশ্চিত সম্ভাবনা। যে কোনো ঋণ গ্রহণ করার আগে এই তিনটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করে ঋণের আবশ্যিকতার ইতিবাচক নির্দেশিকায় সরকার ঋণ নেওয়ার বা নিতে চেষ্টা করার সব ধরনের বৈধতা যে কোনো সরকারের আছে। ঋণ নেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক বৈপরীত্য বাধা থাকতে পারে যা বিবেচনা করা বা না করা সরকারের নিজস্ব এখতিয়ার।

সরকার কোনো ঋণ চাইলেই দাদনকারীরা বা ঋণ দিতে সক্ষম রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান ঋণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে তা ভাবা স্বাভাবিক নয় এবং কেও ভাবছেও না। ঋণ প্রদানকারীরা যে কোনো ঋণ প্রদান করার আগে প্রথমেই তারা বিবেচনা করবে চাহিদাকৃত ঋণ প্রদান করার সক্ষমতা আছে কিনা বা তাদের চলমান ঋণ প্রদান নীতির আওতাভুক্ত কিনা। তার পরে অবশ্যই তারা দেখবে চাহিদাকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহারের সুস্পষ্টতা ও স্বচ্ছতা। তৃতীয়ত দেখবে ঋণ গ্রহীতা প্রতিশ্রুত মুনাফাসহ ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করার সক্ষমতা। চতুর্থত দেখতে পারে ঋণের জামানত বা রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি কতটুকু আছে। সব ঋণ প্রদানকারী তাদের প্রদত্ত ঋণ যথা সময়ে আদায়ের লক্ষ্যে তাদের সুবিবেচনায় ও অনুকূল যে কোনো শর্ত আরোপ করার সম্পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ কোনো ঋণ প্রদানকারী রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারে না বা থাকা উচিত নয়। ঋণ প্রদান করার আগে তাদের সম্ভাব্য শর্ত নিরূপণের স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে সরেজমিন যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করার অধিকারও তারা রাখে। তবে তা কোনো অবস্থাতেই সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করার সুযোগ থাকতে পারে না। সরকারের মতামতের সঙ্গে অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তাই দ্বিমত বা অন্য কোনো মত দেওয়ার অধিকার রাখে না। এ ধরনের আলোচনা অধীনস্থ কর্মকর্তাদের সীমা লঙ্ঘন করতে অনুপ্রাণিত করে যা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকিস্বরূপ।

সরকার বিদেশি রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে তা যেমন বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রায় গ্রহণ করা হয় তেমনি সেই ঋণ প্রতিশ্রুত মুনাফাসহ যথা সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায়ই পরিশোধ করতে হয়। কাজেই ঋণ প্রদানকারীদের মূল ফোকাস বা গুরুত্ব দেওয়া উচিত প্রাপ্ত ঋণ গ্রহণ করে সরকার সেই ঋণ যথা সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করার সক্ষমতার ওপরে। সেই সক্ষমতা অর্জন নিশ্চিত করার জন্য ঋণে বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করার ক্ষমতা অবশ্যই ঋণ প্রদানকারীর থাকবে। সরকারের ঋণ গ্রহণ ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক ঋণের মতো নয়। ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক ঋণের জন্য প্রর্যাপ্ত জামানত বা নিশ্চিত পালনীয় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকার ঋণ গ্রহণ করে রাষ্ট্রের পক্ষে, ফলে রাষ্ট্র নিজেই সরকারের গৃহীত সব ঋণের জামানতকারী বা স্থির নিশ্চয়তাকারী। সরকারের ঋণ গ্রহণ করার সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি, রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থান, বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণে ঋণ গ্রহণকারী রাষ্ট্রের সক্ষমতার অংশ, বিশ্ব বাজারের তার অবস্থান, নিজস্ব চাহিদা পূরণের সক্ষমতা ও বিশ্ববাজারে রপ্তানির সুযোগ এবং সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের জনগণের আর্থ-সামাজিক ও মানবিক অবস্থান ও তা উন্নত করার উত্তরোত্তর প্রচেষ্টার ওপর। ঋণ প্রদানে কোনোভাবেই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করার শর্তাবলি কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত হতে পারে না।

কভিট উত্তর বিশ্ব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতিতে মূলত তিনটি কারণে জরুরি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য অতি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য যে কোনো শর্তে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। প্রথম কারণ হলো জনগণের চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপক ঘাটতি। দ্বিতীয় কারণ হলো চলমান প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য বৈদেশিক উপকরণাদি সংগ্রহ করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা। তৃতীয়ত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করার অতি প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন আনুষঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাদি সংগ্রহ নিশ্চিত করার জন্য এবং দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত উচ্চপ্রযুক্তিগত বিদেশি কর্মশক্তির ব্যয়ভার বহন তথা প্রদান করার জন্য ক্রমবৃদ্ধিপ্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা পূরণের জন্য। এই তিনটি কারণেই একের সঙ্গে অন্য কারণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমদানি কমালে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। এতে জনরোষ বৃদ্ধি পায়। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বা পদক্ষেপ স্থগিত করতে গেলে ব্যাপক কর্ম সুযোগ হ্রাস পায় এবং বেকারত্ব অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে যায়। যা জনরোষের কারণ হয়ে ওঠে। তৃতীয়ত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে না পারলে রপ্তানিমুখী শিল্পে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। পাশাপাশি আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাদি সংগ্রহে অক্ষমতা উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি করে যার ফলে বাণিজ্যিক ক্ষতির সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে উচ্চপ্রযুক্তি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি কর্মশক্তির বেতন-ভাতা বাবদ প্রদত্ত বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে আধুনিক প্রযুক্তিগত শিল্পের উৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হয়।

উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেশের মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে জনজীবন দিন দিন চরম বিপর্যয়ের দিকে অতি বেগবান হচ্ছে। এ অবস্থার ইতিবাচক জরুরি পরিবর্তনের জন্য স্বল্প মুনাফা বা সুদে নমনীয় শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করার প্রয়োজনের সঙ্গে প্রায় সবাই একমত। সেই লক্ষ্যেই সরকার সম্প্রতি আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সেই ঋণ প্রদানে আইএমএফ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে অযথা কালক্ষেপণ করছে এবং জনগণের দুর্বিষহ অবস্থাকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আইএমএফের এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের প্রায় সবার কাছে আইএমএফের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। আইএমএফের শর্তের সঙ্গে জনগণ একমত হতে পারছে না। যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলের ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই ভর্তুকির সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ বৈদেশিক ঋণ আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ করার পরে অভ্যন্তরীণ রাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি করে পরিশোধ করার সুযোগ নেই। উল্টো ভর্তুকি তুলে নিলে ডিজেলসহ সব জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকসহ আপামর জনগণ আরও বিপর্যস্ত হবে। জ্বালানি তেলের ভর্তুকি তুলে দিলে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা প্রচন্ড প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পতিত হবে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানিমুখী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে রপ্তানি সক্ষমতা দারুণভাবে কমে যাবে এবং সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও সংকুচিত হয়ে যাবে। জ্বালানি তেলের মূল্যে ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে মূল্যস্ফীতি আকাশগামী হবে। যার ফলে জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হবে।

আইএমএফের আরেকটি শর্ত হলো ব্যাংকের সংস্কার ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা। আইএমএফের গৃহীত ঋণের সঙ্গে তথাকথিত সংস্কারের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাংক কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না এবং খেলাপি ঋণ বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় না। বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বৈদেশিক কোনো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ও দায়বদ্ধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, যার ওপর বৈদেশিক কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠান খবরদারি করতে পারবে। বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রার কোনো সমস্যা নেই যে, তার অভাবে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ ধরনের সংস্কারের কথা বলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা নিয়ে অযথা প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক কিছু বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের সব বৈদেশিক লেনদেনে তারা ফাও কিছু কমিশন কামিয়ে নেয়। তাদের এই ফাও আর্থিক কামাই নিশ্চিত করার জন্য প্রায় সব ব্যাংকের উচ্চতর কর্মকর্তা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের নামে বিদেশে প্রমোদে ঘুরিয়ে আনে এবং বিভিন্ন উপহারাদি প্রদান করে থাকে। তাই এই শর্তের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমানোর যে সুপারিশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ জনস্বার্থ পরিপন্থী। এটিও করা হয়েছে কায়েমি স্বার্থে এবং দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্বার্থ বিবেচনা করে। এই দেশের ব্যাংকের সব দায়ভার সরকারের। আমানতের মাত্র শতকরা ২০ ভাগ অর্থ আমানত রেখেই ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। সেখানে জনগণের জমানো টাকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কত দেবে সেটি নির্ধারণ করা যে কোনো সরকারের জনকল্যাণকামী একটি অতি শুভ পদক্ষেপ। সঞ্চয়পত্রে উচ্চ মুনাফা জনগণের আর্থিক নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করে। অথচ দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কায়েমি স্বার্থ জনগণের স্বার্থের চেয়ে আইএমএফ বড় করে দেখছে যা সত্যিই দুঃখজনক। প্রান্তিক জনগণই সরকারের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে থাকে।

বাংলাদেশ আইএমএফের একজন সক্রিয় সদস্য। আইএমএফের তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার। ইতোমধ্যে আইএমএফের সব সদস্য রাষ্ট্র তাদের বার্ষিক চাঁদা ও বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে অনেক তহবিল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-আইএমএফের বর্ধিত ঋণ সহায়তা তহবিল (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) এবং নতুন উদ্যোগ, সহনশীলতা ও টেকসই সহায়তা (আরএসটিএফ) কর্মসূচি। উক্ত তহবিলগুলো থেকে পর্যাপ্ত ঋণ পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। আইএমএফ আমলা শাসিত একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক দাতা সংস্থা। এর মূল দায়িত্বই হলো জাতিসংঘের সনদের আওতায় বিশ্ব অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অনুন্নত, স্বল্প উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ও জনপদের উন্নয়নে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। বিশ্বের মুদ্রা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা তাদের অন্যতম প্রধান কাজ। তাছাড়া যেসব শর্ত নিয়ে আইএমএফ দর কষাকষি করছে তা বাস্তবায়ন করার জন্যও ঋণের প্রয়োজন পড়বে। তাই সব বিবেচনায় বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় আইএমএফের বিভিন্ন তহবিল থেকে বিনা সুদে বা শতকরা ১ ভাগের কম সুদে ঋণ পাওয়ার অগ্রাধিকার দেশ। আইএমএফের আমলাদের অহেতুক কালক্ষেপণ না করে জনগণের ভোগান্তি ও আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় থেকে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া তাদের চরম দায়িত্ব। জরুরি ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করার জন্য প্রয়োজনে আইএমএফের সফররত দলটি সামনে বা তাদের অবস্থানরত হোটেলের সামনে বা চলমান পথে জনগণের বিক্ষোভ করা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
সর্বশেষ খবর
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!
অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'
'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ
কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী
বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২
ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ
আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা
কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত
ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান
পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট
ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!

সম্পাদকীয়

গরু আসার নতুন রুট
গরু আসার নতুন রুট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত
আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর
ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

এক পিস ডাব ২০০ টাকা
এক পিস ডাব ২০০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল
সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

একদিকে গরম আরেকদিকে বজ্র
একদিকে গরম আরেকদিকে বজ্র

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা
পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন
এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে
রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে

নগর জীবন

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না
ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সরাসরি আলোচনা চান পুতিন
সরাসরি আলোচনা চান পুতিন

প্রথম পৃষ্ঠা

অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা

সম্পাদকীয়

সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ
সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় হয় নৈতিক সমাজ
মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় হয় নৈতিক সমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন
হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা

প্রথম পৃষ্ঠা

অ্যাডামসের বিদায় ঘণ্টা
অ্যাডামসের বিদায় ঘণ্টা

মাঠে ময়দানে

টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন
টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন

শোবিজ

ঢাকায় প্রকাশনা চীনা প্রেসিডেন্টের বই
ঢাকায় প্রকাশনা চীনা প্রেসিডেন্টের বই

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১৮৬ ক্লিনিক ও হাসপাতাল
নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১৮৬ ক্লিনিক ও হাসপাতাল

নগর জীবন

১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড

শোবিজ

গণতান্ত্রিক বিশ্ব খুনি আওয়ামী লীগের পাশে নেই
গণতান্ত্রিক বিশ্ব খুনি আওয়ামী লীগের পাশে নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা
লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক
২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক

দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বিএনপিতে
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বিএনপিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি

দেশগ্রাম