সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইলিশের মৌসুম

বদলে যাচ্ছে প্রজননকাল

মাছের রাজা ইলিশ। ইলিশ উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশ প্রথম। বাংলাদেশের ইলিশ স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়। সেহেতু ভারতে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ উৎপাদিত হলেও বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকে সে দেশের বাংলাভাষী মানুষ। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে এ বছর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। জেলেদের দুঃখের দিনেরও অবসান ঘটেছে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায়। পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্যও বয়ে এনেছে স্বস্তি। কারণ দেশের আমিষ চাহিদার এক বড় অংশ পূরণ করে ইলিশ। ইলিশ ধরা বন্ধ হলে বেড়ে যায় সব মাছের দাম। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে কোরাল, বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাঘাইড়সহ অনেক মাছ ধরাও বন্ধ থাকে। শনিবার সকাল থেকে বরিশাল মোকামে আসতে থাকে শত শত মণ ইলিশ। বেলা ১১টার মধ্যে অন্তত দেড় হাজার মণ ইলিশ সরবরাহ হয় পোর্ট রোড মোকামে। বেশির ভাগ ইলিশের আকার বড়। কিছু জাটকাও দেখা গেছে। এ ছাড়া অন্তত ২০০ মণ নদীর পাঙ্গাশ এসেছে আড়তে। দীর্ঘদিন পর মোকামে বিপুল পরিমাণ ইলিশ, পাঙ্গাশ আসায় তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ইলিশের দাম কিছুটা কম হলেও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সরবরাহ ও দাম দুটিই বেশি। ইলিশ ধরা শুরু হওয়ায় এবং বাজারে বিপুল পরিমাণ আমদানি হওয়ায় অন্য মাছের মূল্যও কমেছে। নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় জাটকা শিকারে প্রশাসন কঠোর হলে নদ-নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজারে যেসব ইলিশ এসেছে তার ৭৫ ভাগের পেটে ডিম রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটায় ইলিশ প্রজননের মোক্ষম সময় কিছুটা পিছিয়ে গেছে। সারা বছর ইলিশের কমবেশি প্রজনন হলেও অক্টোবরে প্রজনন হয় সবচেয়ে বেশি। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিলেই হয়তো ভালো হতো। আগামী বছর এ বিষয়ে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর